আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

বিধি-নিষেধ অমান্য করে পদ্মায় স্পিডবোট দিয়ে যাত্রী পারাপার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সদরপুর(ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সদরপুর-চরভদ্রাসন উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা পদ্মা নদীর আকোটেরচর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট দিয়ে বিধি নিষেধ অমান্য করে স্পিড বোটে নিয়মিত পদ্মা নদী পারাপার করা হচ্ছে ঢাকাগামী যাত্রীদের।

এ আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাটটির অবস্থান জেলার সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে। উক্ত ঘাট থেকে মাত্র এক কি.মি. উত্তর দিকে পদ্মা নদীর জল সীমানায় রয়েছে চরভদ্রাসন উপজেলার গোপালপুর-মৈনট আন্তঃ জেলা ঘাটের অবস্থান।

বিধিমতে, শুধুমাত্র আন্তঃজেলা ঘাট দিয়েই বিভিন্ন জেলার যাত্রী পারাপার করা বৈধ। আর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাটগুলো তাদের নিজস্ব চৌহদ্দীর মধ্যে থেকে নৌযান চলাচল করতে পারবে।

কিন্তু পদ্মা নদীর আকোটেরচর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট ইজারাদার স্বপন পাটনীর পক্ষে স্থানীয় প্রভাবশালী শাহীন আনোয়ার ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাটটি ইজারা নিয়ে ঘাটের চৌহদ্দী সীমানা অতিক্রম করে ঢাকা জেলাধীন দোহার উপজেলার বিলাশপুর-আকোটেরচর ঘাট হয়ে অবৈধভাবে ঢাকাগামী যাত্রীদের স্পিডবোটে পারাপার করে চলেছেন।

উক্ত ঘাট মালিকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে পার্শ্ববর্তী চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর-মৈনট আন্তঃজেলা ঘাটটি চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একই সাথে উপজেলার গোপালপুর-মৈনট আন্তঃজেলা ঘাটের অতীত ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এবং ভবিষ্যতে সরকার এ ঘাট থেকে মোটা অংকের রাজস্ব হারাতে পারে বলেও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আকোটেরচর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট থেকে আন্তঃজেলা ঘাটের চলমান কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ন অবৈধ উল্লেখ করে বার বার অফিসিয়াল চিঠি ইস্যু করলেও বাস্তবে স্থানীয় প্রশাসন কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেয়নি বলে গোপালপুর-মৈনট ঘাট মালিক কর্তৃপক্ষ হতাশা ব্যাক্ত করেছেন।

এদিকে, গত একমাস যাবৎ সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাত দিয়ে আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট দিয়ে আন্তঃজেলা ঘাটের যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণ অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। একই সাথে আকোটেরচর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট মালিক কর্তৃপক্ষ উক্ত ঘাট দিয়ে খুব সহজে এবং কম খরচে ঢাকা যাতায়াতের সুখবর উল্লেখ করে এলাকা জুড়ে আরেকটি মাইকিং করে চলেছেন। দিনরাত এ দুই ধরনের মাইকিং শুনে জনমনে রহস্যের সৃষ্টি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

সম্প্রতি আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট থেকে দোহার উপজেলার বিলাশপুর ঘাট দিয়ে লঞ্চ/স্পিড বোটে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ণ অবৈধ এবং তা স্থায়ী বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ সদরপুর, চরভদ্রাসন ও দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বরাবর ০৫.৪১.৩০০০.০০৯.০৬.০০৫. ২১-৬৯ (সং) এবং ০৫.৪১.৩০০০.০০৯.০৬.০০৫. ২১-৭৭ (সং) নং স্মারকে দুটি পত্র দিয়েছেন।

একই সাথে উক্ত ইউনিয়ন ঘাট থেকে দোহার উপজেলার বিলাশপুর ঘাট দিয়ে লঞ্চ/স্পিড বোটে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ণ অবৈধ বলে উল্লেখ করে এবং ভবিষ্যতে ইজারাদার চুক্তি ভঙ্গ করলে উক্ত ইউনিয়ন ঘাটটি বাতিল করার অনুরোধ জানিয়ে গত ১৩ মার্চ ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ডিও লেটার ইস্যু করেছেন। এরপরও আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট থেকে বহাল তবিয়তে অবৈধ উপায়ে নিয়মিত আন্তঃজেলা ঘাটের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে আকোটেরচর আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের আগের অবস্থান থেকে সরিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে কলাবাগানের ঝোপের মধ্যে নতুন করে ঘাট বসানো হয়েছে। চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে পদ্মা পারের বিশাল কলাবাগানের মধ্যে দিয়ে অটোবাইক, রিক্সা ও ভ্যান চলাচলের জন্য পথ তৈরী করা হয়েছে।

উক্ত কলা বাগানের মধ্যে আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাটের ব্যানার ও সাইনবোর্ট টাঙিয়ে পদ্মা পারে বাঁশের মাচাল বেধে তৈরী করা হয়েছে স্পিডবোট ঘাট। এ ঘাট দিয়ে নিয়মিত ঢাকার যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। উক্ত ঘাটে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে চলমান স্পিডবোটগুলো দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট ইজারাদার স্বপন পাটনীর পক্ষে শাহীন আনোয়ার জানান, আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাটটি এ বছর আমি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছি এবং ইজারামূল্য পরিশোধ করেছি। কিন্তু প্রশাসন আমাকে ঘাট বুঝিয়ে দেয় নাই।

তিনি আরও জানান, এ ঘাট থেকে পদ্মার অপর পারের দোহার উপজেলার বিলাশপুর ঘাটের মাধ্যমে স্পিডবোটে নিয়মিত আমি ঢাকার যাত্রীদের পারাপার করে চলেছি। এ সময় ঘাট পরিচালনা বিধি নিষেধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মনগড়া বিধি উল্লেখ করে জানান, আন্তঃ ইউনিয়ন ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে দেশের যেকোনো প্রান্তে যাওয়া যাবে কিন্তু যাত্রী আনা যাবে না।

ঘাটের আরেক অংশীদার শেখ সামাদ বলেন, যেহেতু সরকার নাম দিয়েছে আকোটেরচর লঞ্চ ঘাট, তাই লঞ্চতো পানির উপর দিয়েই চলবে, স্থলেতো আর লঞ্চ চলবে না।

উক্ত ঘাটের পার্শ্ববতী গোপালপুর-মৈনট আন্তঃজেলা ঘাট মালিক আবুল কাশেম খান জানান, এ বছর আমরা ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ইজারা মূল্যে এ ঘাট নিয়েছি। আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট মালিক শাহীন আনোয়ার আমাদের সাথে দ্বন্দ্ব করে এ বৈধ ঘাটের ক্ষতি করার জন্য পার্শ্ববর্তী আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট দিয়ে ঢাকার যাত্রীদের স্পিডবোটে পারাপার করে চলেছেন।

তিনি আরো জানান, উক্ত ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ২/৩শ যাত্রী অবৈধভাবে পারাপার হচ্ছে। বার বার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও আমরা কোনো ফল পাচ্ছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে এতো টাকা দিয়ে এ ঘাট আর কেউ নিবে না।

এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারেক মাহমুদ বলেন, আকোটেরচর ইউনিয়ন ঘাট দিয়ে অবৈধ উপায়ে আন্তঃজেলা ঘাটের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে বেশ কিছু দিন যাবৎ আমি অভিযোগ শুনছি। কিন্তু সময়ের অভাবে উক্ত ঘাটে যাওয়া হয় নাই এবং বিষয়টি দেখার জন্য অফিসের কাউকেই পাঠাতেও পারি নাই।

তিনি আরও বলেন, আসলে ওই ঘাটে মোবাইল কোর্ট করার মত পরিস্থিতি নাই, তবে তদন্ত করে আমরা ঘাটটি বাতিল করে দিতে পারবো।


আরও খবর



মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে মখলিছ মিয়ার বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। একই পরিবারের শিশুসহ পাঁচ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়ায় গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহতরা হলেন- ফয়জুর রহমান (৫২), শিরি বেগম (৪৫), সামিয়া (১৬), সাবিনা (১৩) ও সায়েম উদ্দিন (৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বসতঘরের ওপর পরলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়া আক্তার (৬) নামে এক শিশু আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন বলেন, মরদেহগুলো জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন ফের পেছাল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৫ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালত নতুন দিন ধার্য করেন। এদিন এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কারাগারে থাকা আসামি ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতুকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী গাজি জিল্লুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত বছরের ৫ জুন শাহজানপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। প্রতিবেদনে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।

তবে এক্সেল সোহেল নামে এক আসামির পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিচারের জন্য ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২০ জুন এ মামলায় বিদেশে পলাতক দুই সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।

চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সদস্য কাইল্যা পলাশ, একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ঘাতক সোহেল, সুমন শিকদার মুসা, মুসার ভাগনে সৈকত, মুসার ভাতিজা শিকদার আকাশ, ইমরান হোসেন জিতু, মোল্লা শামীম, রাকিব, বিডি বাবু, ওমর ফারুক, কিলার নাসির, রিফাত, ইশতিয়াক হোসেন জিতু, মাহবুবুর রহমান টিটু, হাফিজ, মাসুম ও রানা মোল্লা। এদের মধ্যে ২৪ জনই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের মধ্যে মুসা, শুটার আকাশ ও নাসির উদ্দিন মানিক আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানার ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনের বাটার দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হামলা করেন। তারা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আশরাফুল আলম সজিব, ভোলা

Image

ভোলা শহরের ওয়েস্টার্নপাড়া এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাঁর স্বামীকে আটকে করেছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মনির হোসেন মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত মাকসুদা আক্তার বরিশাল জেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামীর নাম মো. আহসান হাবিব। তিনি ভোলা সদর রোডের আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার। তাঁর বাড়িও শায়েস্তাবাদ এলাকায়। তিনি সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। গত ১৭ মার্চ স্ত্রীকে নিয়ে ওয়েস্টার্ন পাড়া এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস শুরু করেন।

ওসি জানান, স্ত্রীর সঙ্গে আহসান হাবিবের মনোমালিন্য ছিল। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। তাঁর স্ত্রী বরিশালের একটি কলেজে পড়াশোনা করত। গেল ১৭ মার্চ তিনি স্ত্রীকে বরিশাল থেকে ভোলায় নিয়ে আসেন। স্ত্রী তাঁর সঙ্গে ভোলায় থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেন। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় মাকসুদা আক্তার বাসার একটি খুঁটির সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।

এ মৃত্যুর ঘটনায় মাকসুদার পরিবার স্বামী আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় হাবিবকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ রবিবার কোর্টে সোপর্দ করা হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টটরেট (ইডি)। মদনীতি কেলেঙ্কারির মামলায় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইডির ১২ সদস্যের একটি দল তল্লাশির ওয়ারেন্ট নিয়ে আম আদমি পার্টি প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাসায় যায়। গ্রেফতারের আগে সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মদনীতি কেলেঙ্কারির মামলাটি তারা মানিলন্ডারিংয়ের দিক থেকে তদন্ত করছিল।

ইডির দল বাসায় ঢুকে কেজরিওয়াল ও তার স্ত্রীর ফোন নিয়ে নেয়। এছাড়া দুটি ট্যাবলেট ও একটি ল্যাপটপ থেকে তথ্য স্থানান্তর করে।

ইডির দল যখন তাকে বাসায় জিজ্ঞাসাবাদ করছিল তখন বাইরে পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স মোতায়েন ছিল। এসময় সেখানে দলের অনেক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে গ্রেফতারের প্রতিবাদ করতে থাকেন।

এ সময় দিল্লির মন্ত্রী অতিশি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ইডি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। দুই বছর আগে থেকে তদন্ত শুরু হলেও ১০ হাজার বার তল্লাশি চালিয়েও দলের নেতা এবং মন্ত্রীদের কাছ থেকে ইডি বা সিবিআই এক রুপিও উদ্ধার করতে পারেনি।

কেজরিওয়ালকে নির্দোষ দাবি করে অতিশি বলেন, তাদের লড়াই চলবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। আজ রাতেই এই মামলার শুনানির জন্য আমাদের আইনজীবী কোর্টে যাবেন।

স্বাধীন ভারতে কেজরিওয়ালই প্রথম যিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হলেন। তবে গ্রেফতার হলেও কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



দুই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এলো মার্চে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

দেশে মার্চ মাসে বৈধপথে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ২ বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা (প্রতি এক ডলার ১১০ টাকা হিসাবে)।

এ হিসাবে দৈনিক গড়ে আসছে ৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার বা ৭০৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বেশি। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন বা ২১৭ কোটি ডলার।

সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে বৈধ চ্যানেলে ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। এর ম‌ধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩৮৭ কোটি টাকার বেশি এসেছে।

আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৮ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। ৮১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪