আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিধিনিষেধ শিথিল করে ৮ নির্দেশনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
এর আগে দুপুরে ১১ আগস্ট থেকে চলমান বিধিনিষেধ ধাপে ধাপে শিথিল করে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহণও আস্তে আস্তে চালু হবে

দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে। নতুন প্রজ্ঞাপনে আটটি বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে যেসব নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-

১. সব সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে।

২. বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৩. সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহণ চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহণ সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

৪. শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাটসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা রাখা যাবে।

৫. সকল প্রকার শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।

৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

৭. সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে; এবং

৮. গণপরিবহণ, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এর আগে দুপুরে ১১ আগস্ট থেকে চলমান বিধিনিষেধ ধাপে ধাপে শিথিল করে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহণও আস্তে আস্তে চালু হবে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এর কিছু পরেই এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।

নভেল করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি রোধে চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) আগামী ১০ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ২৩ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ চলছে। সরকার প্রথমে এটি কঠোরতম লকডাউন হিসেবে ঘোষণা দিলেও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ১ আগস্ট থেকে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাগুলো খুলে দেয়।

গত ৩ আগস্ট সরকারের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১১ আগস্ট থেকে রুটেশন পদ্ধতিতে গণপরিবহণ, লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল করবে বলেও জানানো হয় ওই বৈঠক থেকে।


আরও খবর



হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দাবদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এমন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? আমরা আপিলে যাবো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে চলমান তাপ প্রবাহে এসি ছাড়া প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সম পর্যায়ের মাদরাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। তবে যেসব স্কুলে এসির ব্যবস্থা আছে বা পরীক্ষা চলমান আছে সেসব স্কুলের জন্য এবং ও লেভেল, এ লেভেল পরীক্ষা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে আদেশে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।

এদিকে আগামী ২ মে পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে গণশিক্ষা ও প্রাথমিক মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তীব্র দাবদাহের দরুন শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের রাজধানী দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (০১ মে) সকালে ই-মেইলে এই হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর স্কুলগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে কয়েকটি স্কুল চত্বর খালি করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড এবং দমকল বাহিনী। পুরো ঘটনায় তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সকালের দিকে দ্বারকার স্কুল, চাণক্য়পুরীর সংস্কৃতি স্কুল, নয়ডা দিল্লি পাবলিক স্কুল, ময়ূর বিহারের মাদার মেরি স্কুল, পুষ্প বিহারের অ্য়ামিটি স্কুল, ডিএভি স্কুলে মেইল আসে। এরপর থেকে প্রায় ১০০টি স্কুলেই একই উড়ো ই-মেইল আসে।

স্কুলগুলোকে তল্লাশি চালাতে পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড। পরে দমকল বাহিনীকেও খবর দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো স্কুলেই বোমা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া এনডিটিভিকে বলেন, যেসব স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, আমরা সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, কারণ সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।’

পুলিশের মতে, হুমকিমূলক ই-মেলের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কে এবং কোথায় থেকে ই-মেইলটি পাঠানো হয়েছে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবান থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৮ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার  দিকে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ ই বেঙ্গলের দোপানিছড়াপাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা যায়, টহল দল কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে। এ সময় আট জনকে আটকের পাশাপাশি নয়টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, দুইটি মোবাইল ফোন এবং দুইটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে হামলা, টাকা লুটের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় আসে কেএনএ। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ যৌথ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।


আরও খবর



৩০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। ফলে ভর্তি হয়ে কেউ প্রতারিত হলে ইউজিসি কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কীকরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য রয়েছেন। এ ছাড়া অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মধ্যে ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য নেই। ইউজিসি বারবার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না এসব বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউজিসি জানিয়েছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ ও কমিশনের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত/অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য কমিশন থেকে ইতোমধ্যে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেট-এ স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যর নিয়োগ করা ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

আরও বলা হয়েছে, কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উপর বর্তাবে না।

ইউজিসির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস না থাকা, অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়াসহ নানা আইনভঙ্গের কারণে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার সনদের কোনো বৈধতা নেই। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ। আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতেও সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিভাগের অনুমোদন আছে কি না-সেটিও ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেখে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মঞ্জুরি কমিশন।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ব্যাংক ও বাসার নিরাপত্তায় সিএমপির নির্দেশনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে নগর ছেড়ে অনেকে যাচ্ছেন গ্রামে। এসময় ফাঁকা থাকবে বাসা। পাশাপাশি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকছে। আর এই সুযোগই নেয় অপরাধীরা। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, বাসার নিরাপত্তায় দরজায় অধিক তালার ব্যবহার করা, নগদ অর্থ বা স্বর্ণালংকার ফাঁকা বাসায় রেখে না যাওয়া, সিসিটিভি ক্যামেরা ও অ্যালার্ম সিস্টেমের মতো প্রতিরোধমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া, আবাসিক এলাকায় রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা, নতুন নিয়োগ দেওয়া নিরাপত্তাকর্মীদের এনআইডি কার্ড ও ছবি সংরক্ষণ করা, সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি ঘোরাফেরা করলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় থানাকে জানানো ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভল্টের নিরাপত্তা জোরদারসহ পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা যাতে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন সে বিষয়টি তদারক করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরের জন্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে পালাক্রমে নিয়োজিত রাখা, ব্যাংকের ভল্টের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার কাভারেজ নিশ্চিত করা এবং সন্দেহজনক কোনো বিষয় নজরে এলে তা কাছের থানায় জানানো এবং ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কি-না তা নিশ্চিত করা।

ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে, সিঁধ কেটে চুরি ও ডাকাতি যাতে না হয়, সে জন্য স্বর্ণের দোকানের ওপরে ও আশপাশের এলাকায় যারা বসবাস করেন, তাদের ওপর বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

এ সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করা এবং প্রতিদিন এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে তল্লাশি চৌকি পরিচালনা করা হবে। একসঙ্গে তিনজন আরোহী নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের চালকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর