আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি-জামায়াত চক্র সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা চালায়: জয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সব ধর্মের মানুষের জন্য শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র যখন দেশ পরিচালনা করেছে, তখন রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় কর্মসূচি চালানো হয়েছিল।

দুর্গা বিসর্জন উপলক্ষে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, এই বছর পূজাটি উৎসবের মধ্যে উদযাপিত, যা আওয়ামী লীগ সমুন্নত রেখেছে।বাসস

সংখ্যালঘুদের ওপর ধর্ষণ, হত্যা, লুটপাট ও উপাসনালয় ও বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলাসহ অন্তত ২৮ হাজার হামলার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, বিএনপি জামায়াতের আমলে সংখ্যালঘুদের জীবন ওলট-পালট হয়ে গিয়েছিল। সংখ্যালঘু নেতারা এই বছর প্যান্ডেলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।

বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে সংখ্যালঘুরা তাদের উপর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয়েছিল এ কথা স্বীকার করতে তারা অনিচ্ছুক এ কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয় বলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামায়াত ইসলামীর প্রচারণার বিষয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা সম্প্রতি নিন্দা জানিয়েছে। 

সজীব ওয়াজেদ বিএনপি জামায়াতের এই ধরনের অপরাধ করার বিষয়টি অস্বীকার করাকে একটি ব্যর্থ ভাবমূর্তি তৈরির মহড়া বলে অভিহিত করেছেন এবং ১৯৭১ সালে সংঘটিত সবচেয়ে খারাপ গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চক্রান্তের মতো ঘৃণ্য বলে তুলনা করেছেন।

আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহনের সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে মনে করিয়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নে প্রতিটি ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সাথে বসবাস করতে পারে, এটা আমাদের অঙ্গীকার। এছাড়াও তার পোস্টে একটি সংক্ষিপ্ত ডকুমেন্টারি রয়েছে, যা মিডিয়া রিপোর্টের একটি সিরিজ সংকলন এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বিএনপি জামায়াত সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দুদের উপর সংঘটিত অনেক নিষ্ঠুর সহিংসতার একটি ফ্ল্যাশব্যাক।

২০০১ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসার পরপরই, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস চালানো হয়, যার মধ্যে ধর্ষণ লুণ্ঠন এবং উপাসনালয় ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

ভোলার একটি প্রত্যন্ত উপজেলায় ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর প্রায় ২০০ হিন্দু মহিলার ধর্ষণের রিপোর্টের ঘটনা উল্লেখ করে, ভিডিওটি মিডিয়া রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়েছে যেগুলো বিএনপি জামাত ক্যাডারদের সরাসরি জড়িত থাকার দাবি করেছে। ভিডিওটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, একজন চার বছরের নাবালক বা একজন ৭০ বছর বয়সী কেউই এই সন্ত্রীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।

সম্প্রদায়ের নেতারা বলেছেন, ধর্ষণের মতো নৃশংসতা সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানোর জন্য করা হয়েছিল, তাদের দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ করে যে যারা বর্বরতায় অংশ নিয়েছিল তাদের প্রতি ছিল সরাসরি বিএনপি জামায়াত নেতাদের সমর্থন। এই ধরনের নিছক নৃশংসতার মুখোমুখি হয়ে, শত শত হিন্দু সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সংখ্যালঘুদের জন্য সবচেয়ে বড় দোষ ছিল আওয়ামী লীগকে সমর্থন করা, ভিডিওটিতে বলা হয়।

ভিডিওটি বিএনপি জামায়াতের লোকদের আরেকটি চক্রান্তের কথাও মনে করিয়ে দেয়। যাতে তারা ৫ মার্চ, ২০০৩ তারিখে নীলফামারীর একটি প্রত্যন্ত ইউনিয়নে ভক্তদের মন্দিরে প্রার্থনায় যোগদান বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল।

আওয়ামী লীগের প্রতি স্থানীয় বাসিন্দাদের সমর্থনে ক্ষুব্ধ, বিএনপি জামায়াতের ক্যাডাররা একটি মন্দির ঘেরাও করে যাতে কেউ ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে না পারে।

বগুড়ায়, প্রতিমা ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে যখন সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের ওপর নতুন করে ভয়াবহ ভীতি ছড়ানো হয়েছে। শনাক্ত হওয়ার ভয়ে, হিন্দু মহিলারা এমনকি কপালে সিঁদুর লাগাতে বা চুড়ি পরা থেকে বিরত থাকে, যা তাদের অগ্নিপরীক্ষার একটি নির্দেশক। দেশকে সাম্প্রদায়িকতায় পরিণত করার লক্ষ্যে এমন নৃশংসতার প্রতিবাদে সম্প্রদায়ের নেতারা অনশন করেছিলেন।

সংক্ষেপে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নিপীড়নের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের নির্মূল করা বিএনপি জামায়াতের শেষ শাসনের বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জয় তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন।

নিউজ ট্যাগ: সজীব ওয়াজেদ জয়

আরও খবর



দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা, মে মাসে মিলতে পারে স্বস্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী টানা ২৯ দিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। চলমান এ তাপপ্রবাহ আরও দুইদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে এবারের তাপপ্রবাহ। ১৯৯২ সালেও মাস জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ হয়েছিল। তবে তার বিস্তৃতি এবারের মতো ছিল না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ ঢাকা বিভাগে এই বৃষ্টির প্রকোপ বেশি থাকবে।

সোমবারের আবাওহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, যশোর ও রাজশাহী জেলা সমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গের ৭ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কোথাও তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রির বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে। সোমবার ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

অধিদপ্তর জানায়, পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।

এছাড়া উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাতাসে আর্দ্রতা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ থাকতে পারে।


আরও খবর



২১ নাবিক ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহ নিয়ে, দুজন বিমানে

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহতে চড়েই দেশে ফিরবেন জাহাজটির ২১ নাবিক। বাকি দুই নাবিক ফিরবেন বিমানযোগে। জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী বিমানযোগে অথবা জাহাজে দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছিল। এরপর নাবিকেরা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের পথে আছে। ওই বন্দরে ২২ এপ্রিল জাহাজটি পৌঁছার কথা রয়েছে। সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপরই দেশের পথে রওনা হবেন নাবিকেরা।

কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছিলাম। ২১ নাবিক জাহাজে ও বাকি ২ জন বিমানে বাংলাদেশে আসবেন। তবে চাইলে সবাই উড়োজাহাজে আসতে পারবেন, যদি তারা আসতে চান। তবে ২১ নাবিক জানিয়েছেন তারা এমভি আবদুল্লাহকে নিয়েই বাংলাদেশে ফিরবেন।’

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিওবা তখন সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল জাহাজটি। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মির ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার (১৩ এপ্রিল) জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।


আরও খবর



কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার কত, তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনসহ তিনজনকে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাহ ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গতকাল ২৩ এপ্রিল স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া একটি রিট দায়ের করেন। রিটে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্টাদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। এছাড়া সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়।

রিটকারী আইনজীবী জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৪০ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়া একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বাদ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুই জন মারা গেছেন। হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও চার জন। হিট স্ট্রোকে যে দুজন মারা গেছেন তারা হলেন- ওমর আলী (৬৫) ও আব্দুল বাতেন মাঝি (৬০)। তাদের দুই জনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায়।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওমর আলীকে আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এবং আব্দুল বাতেন মাঝিকে সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।

ওমর আলী চরকিশোরগঞ্জের বাবু হাজারীর ছেলে এবং আব্দুল বাতেন মাঝি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মানিকপুরের ওলিউল্লা মাস্টারের ছেলে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, সকালে ওমর আলী মাঠে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর আব্দুল বাতেন মাঝি বাজার এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের দুজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ ছিল।

তিনি আরও বলেন, আরও চার জনকে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং একজনকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।'


আরও খবর