আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ধর্মপাশায় আ.লীগের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৯ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শহীদুল ইসলাম, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

আন্দোলনের নামে বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য, ভাংচুর, পুলিশ হত্যা, পুলিশ লাইন হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অগ্নিসংযোগ এবং মিডিয়া কর্মীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

রবিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা বারোটায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিসের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন তালুকদার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইকরাম হোসেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি সাফায়েত হোসেন লিটন, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহ আব্দুল বারেক ছোটন, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরমান আহমেদ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।


আরও খবর



জেরুজালেমে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে তুরস্কের নাগরিক নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলিদের দখলকৃত জেরুজালেমে একজনের ছুরিকাঘাতে দেশটির এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন হামলাকারী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশটির ওল্ড সিটিতে হয় এ ঘটনা। হামলাকারী ওই ব্যক্তি তুরস্কের নাগরিক বলে জানিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। খবর রয়টার্সের।

বিবৃতিতে বলা হয়, জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চলে দায়িত্ব পালন করছিলেন বর্ডার পুলিশের ওই কর্মকর্তা। এ সময়, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে দুর্বৃত্ত।

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত আরেক কর্মকর্তা গুলি চালায় হামলাকারীকে লক্ষ্য করে। মৃত্যু হয় ৩৪ বছর বয়সী তুর্কি নাগরিকের।

ফিলিস্তিনিদের পবিত্র ভূমি হিসেবে বিবেচিত জেরুজালেমে মাঝে মাঝেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ফিলিস্তিনিদের। হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা করে। এর পর ইসরাইল গাজায় সংঘাত শুরু করে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।


আরও খবর



শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ঈদ উদযাপিত হবে কাল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে। যদিও গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ঈদ উদ্‌যাপিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত ছিল।

এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভা করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি জামাত। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, এমপি, সচিব, বিদেশি কূটনীতিকসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সব স্তরের মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাতে অংশ নেবেন। নারীদের নামাজের জন্য রাখা হয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।

২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। এ ছাড়াও অনেক মুসল্লি মূল প্যান্ডেলের বাইরে ঈদের জামাত আদায় করে থাকেন।

এই ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে, বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন ক্বারি মো. ইসহাক মোয়াজ্জিন।

দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

তৃতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। এতে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম ইমাম হিসেবে এবং খাদেম মো. আব্দুল হাদী মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন।

সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় চতুর্থ জামাতে ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির হিসেবে বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন থাকবেন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

তবে এই পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের দিকে নজর সবার। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বেশ তৎপর। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই এবার দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। তাই-তো তৃতীয় কোনো প্রার্থী থাকলে সেদিকেও নজর দিতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) তাদের নিজস্ব বলয়ে রাখতে চাইছেন উপজেলাগুলো। আবার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও চাচ্ছেন, তাদের বলয়ের মধ্যে থাকুক উপজেলার চেয়ার। এমন এক বা একাধিক বলয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে প্রার্থীদের।

তবে, একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান না। কোনো রকম প্রভাব ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা তাদের।

বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। তার মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রার্থী। তবে, বিএনপি ও জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেক প্রার্থী এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দৌড়ে আছেন। এ নিয়ে চিন্তিত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। তাদের এক পক্ষ হস্তক্ষেপ চান, অপর পক্ষ হস্তক্ষেপ চান না বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র মতে, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে থাকার রেষ কাটতে না কাটতে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের সব জের যেন উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ পাচ্ছে। অনেকের মতে, তৃণমূলে আরও বড় হচ্ছে বিভেদের দেয়াল। গেল সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্যের যে বাঁক-বদল হয়েছিল, আসছে উপজেলার ভোটে তা আরও নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় নিকটাত্মীয়দের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা-বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য হলো, এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী-মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিকটাত্মীয়ের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা এগুলো জানি। তদন্ত করে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

“প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল থেকে প্রতীক ও কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে না। এতে যে যার মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। এজন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আবার কেন্দ্র থেকেও পছন্দের প্রার্থী সমর্থনের ইশারা দিচ্ছেন কেউ কেউ। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

বর্তমান সংসদ সদস্য ও তার আশেপাশের নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দল) একশ ভাগ প্রভাব বিস্তার করবে। আমি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছি, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাচ্ছি, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। ভোট দিতে পারে।”

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।”

জানা গেছে, ২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, শুরুতে এ নির্বাচনে কিছু জায়গায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের পাশের এক উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যে সমস্যা হয়েছিল, উপজেলাতেও সেটা হচ্ছে। স্বতন্ত্র এমপিরা মাঠ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও বসে নেই। তারাও নিজেদের বলয় টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। এতে অন্যান্য প্রার্থীরা বিপদের মুখে পড়েছেন। কেউ দেখাচ্ছেন সাংগঠনিক ভয়, আবার কেউ দেখাচ্ছেন এমপির ভয়। কেউ ঢাকায় বসে, আবার কেউ এলাকায় বসে রাজত্ব চাচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। কারও ইশারায় কাজ করা যাবে না। সবাই হস্তক্ষেপ করতে চাইবে, কিন্তু প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



মৌসুমের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাধারণত বর্ষার ঠিক আগে আগে শুরু হয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২ জন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।  

ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত রোগ। এ রোগের ভাইরাসের একমাত্র বাহক স্ত্রী এডিস মশা। এ মশার মাধ্যমে ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হলে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালেও মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত বাহক অন্য জায়গায় ভ্রমণের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অন্য জায়গায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তাকে এডিস মশা কামড়ালে সেই মশার ভেতরেও ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, আর সেসব মশা যাদের কামড়ায় তাদের ডেঙ্গুরোগ হতে পারে।

বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায় বলে এ সময় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এমন ধারণা প্রচলিত থাকলেও বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বছরের যেকোনও সময় এ মশার বংশবিস্তার ঘটে এবং ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রোগী ছিল ১ হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯ জন এবং মার্চে ৩১১ জন। এপ্রিলের ৯ দিনে রোগী পাওয়া গেছে ৮৪ জন।

গত বছর এযাবৎকালের সর্বাধিক ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়। তবে তখন রোগী বেশি ছিল মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছর জানুয়ারিতেই হাজারের বেশি রোগী পাওয়া গেছে, যা আগে কখনও পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে রোগী পাওয়া যায় ১২৬ জন, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রোগী ছিল ৩২ জন।

বিগত দিনগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুও বেড়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে মারা গেছেন ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে ৫ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন এবং মার্চে কোনও মৃত্যু ছিল না। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডেঙ্গুতে কেউ মারা যায়নি। তার আগে ২০২১ সালেও এই সময়ের মধ্যে এই রোগে মৃত্যুর কোনও ঘটনা ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কীটতত্ত্ববিদ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এবারে পরিস্থিতি গতবারের চেয়ে নাজুক হতে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু সেই পূর্বাভাস দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো যথেষ্ট আছে। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে বেশি রোগী হলে তা সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বছরজুড়ে চালাতে হবে। গত বছর আমরা গ্রামাঞ্চলে রোগী পেতে শুরু করেছি। এ বছর এই পরিমাণটা আরও বাড়তে পারে। বাড়লে আমাদের চিকিৎসা সক্ষমতার ওপর অনেক চাপ পড়বে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গুরোগী পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গুরোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে আজ পর্যন্ত প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এডিস মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা পরের কথা। চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা এরইমধ্যে একটা মিটিং করেছি। এখন আবার বসবো যেন চিকিৎসায় কোনও ঘাটতি না হয়।


আরও খবর



বাজারে ক্রেতা কমেছে গরুর মাংসের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে ক্রেতা কমেছে গরুর মাংসের। দোকানগুলোতে আগের মতো খুব একটা ভিড় নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতির জন্য পণ্যটির অযৌক্তিক মূল্য নির্ধারণকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ভোক্তার আমিষের জোগানে প্রয়োজনে আমদানি করা হোক গরুর মাংস।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ একটি গাড়িকে ঘিরে নারী-পুরুষের দীর্ঘ সারি। কারণ, সেখানে সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে দুধ, ডিম আর মাংস। এই দৃশ্য রাজধানীর খামারবাড়ির বঙ্গবন্ধু চত্বরের। এই গাড়িতে ৪ ধরনের পণ্য পাওয়া গেলেও ক্রেতারা আসেন মূলত গরুর মাংস কিনতে। কেননা বাজারের তুলনায় সাশ্রয় হয় ১৫০ টাকা। তবে সবার ভাগ্যে তা জোটে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বেশিরভাগেরি ফিরতে হয় খালি হাতে। চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়াই এর মূল কারণ।

এক ক্রেতা বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। কিন্তু গাড়ি এসেছে বেলা ১১টায়। ইতোমধ্যে লম্বা লাইন হয়েছে। এই অবস্থায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে। আরেক ক্রেতা বলেন, এখানে কষ্ট করে লাইন ধরা লাগে। এর মধ্যে কেউ পায়, কেউ পায় না। কারণ, অনেক মানুষ হয়। খামারবাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে কারওয়ান বাজার। এখানকার মাংসের দোকানগুলোর চিত্র বঙ্গবন্ধু চত্বরের ঠিক বিপরীত। গরুর মাংসের পসরা সাজিয়ে বসলেও দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার।

বিক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও নেই চাহিদা। কারণ ৭৫০ টাকা কেজিতে মাংস কিনতে নারাজ ভোক্তারা। এক বিক্রেতা বলেন, ক্রেতারা কম দামে মাংস চায়। ফলে বেচাকেনা তেমন হচ্ছে না। কারণ, সস্তায় গরু পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কম দরে মাংস বিক্রি করতে পারছি না।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে দেশে চাহিদার তুলনায় ১০-১১ লাখ টন গরুর মাংস উদ্বৃত্ত থাকে প্রতিবছর। তাই বাজারের এই অস্বাভাবিক দাম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। তার মতে, গরুর মাংসের দর হওয়া উচিত ৬০০ টাকার নিচে।

তিনি বলেন, গরুর উৎপাদন খরচ ৬০০ টাকার কম। ফলে এই দামে বিক্রি করেও লাভ থাকে। তাই ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কাম্য নয়। এই দরে যারা বিক্রি তারা আমাদের তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ী নয়। তাদের আমরা চিনি না।

অতিমুনাফালোভীরা সিন্ডিকেট করে বাড়াচ্ছে মাংসের দাম। তাই প্রয়োজনে পণ্যটি আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব আলী বলেন, ডিম আমদানির খবরে মূল্য হ্রাস পেয়েছে। আমার মনে হয়, গরু আমদানি করলে এর মাংসের দাম কমে যাবে। এক্ষেত্রে ব্রাজিল, মেক্সিকো থেকে তা আনা যায়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যমতে, দেশে জনপ্রতি মাংসের চাহিদা দৈনিক ১২০ গ্রাম।


আরও খবর