বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার সড়ক, রেল এবং নৌপথ অবরোধ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালের দিকে রাজধানীসহ দেশের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। যদিও অবরোধ শুরুর আগেই গতরাতে বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি দেশজুড়ে অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তার প্রায় ৮ বছর পর আবারও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সকালে এমনিতেই যানবাহন কিছুটা কম থাকে। তবে সড়কে নির্বিঘ্নেই যান চলাচল করতে দেখা গেছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকালে যারা কাজে বেরিয়েছেন অথবা বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করছেন তাদের তেমন কোনো বাধা কিংবা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
এদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। অন্যান্য সময় হরতাল-অবরোধ বিএনপি কার্যালয়ের সমানে যেরকম পরিস্থিতি দেখা যায় এবার তা একেবারেই আলাদা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে কোনো নেতাকর্মী দেখা যায়নি। কার্যালয়ের গেটে কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলছে, সামনে একেবারেই ফাঁকা। রাস্তার পাশে কিছু পুলিশ সদস্যকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ কর্মসূচি থেকে পরদিন দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী। এরপর একদিন বিরতি দিয়ে টানা তিন দিন (মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি) দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে দল দুটি।
এদিকে অবরোধ শুরুর আগে গতরাতে চট্টগ্রামে একটি ও গাজীপুরে দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার চট্টগ্রামের দামপাড়া এবং গাজীপুরের মাস্টারবাড়ি ও ভাওয়াল কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।