পরিবহণে অগ্নিসংযোগ
ও ট্রেন লাইনচ্যুত করে বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর
বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) রোববার দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদমাধ্যমের
খবরের বরাত দিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিএনপি-জামায়াতের
সহিংসতায় চার শতাধিক ক্রুড বোমা সরবরাহ করেছেন মুকিত ওরফে মাওলানা। নির্বাচন বানচাল
ও ভোটারদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে দলটি এসব কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
অগ্নিসংযোগ,
রেললাইন উপড়ে ফেলা বিএনপির তথাকথিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য বলেও উল্লেখ করেন
সজীব ওয়াজেদ।
গত ২০ নভেম্বর
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে আটক হয়েছেন মুকিত
ওরফে মাওলানা। তাকে কারা এ হামলা করতে বলেছিল সেসব তিনি জানিয়েছেন।
যদিও এসব সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ডে নিজেদের কর্মীরা জড়িত নয় বলে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপি নেতা
রিজভী এক টুইট করে দাবি করেন, বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিতে তারা এসব সহিংসতা করে বিএনপির
ওপর দায় চাপাচ্ছে।
সজীব ওয়াজেদ
লেখেন, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও অন্যরা বিশ্বকে বোকা বানাতে প্রতিদিন অস্বীকারের
নাটক মঞ্চস্থ করছেন।
রিজভী বাসে
হামলায় বিএনপি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও সংবাদমাধ্যমে রিজভীর নেতৃত্বে ৩০ জনেরও
কম নেতাকর্মীর মিছিল থেকে চলন্ত বাসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা রিজভীর
মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন।
নিজের ভেরিফাইড
এক্স অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট করে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, মুকিতকে কারা নিয়োগ করেছে,
তার সঙ্গে কাদের সখ্য সেটি এখানে দেখা গেছে। বিএনপি নেতৃত্বের মিথ্যাচারেরও প্রমাণ
এটি।
ঢাকায় মার্কিন
দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য এই সন্ত্রাসমূলক
কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিকর মনে করবে কি না বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।