আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি-যুবদল নেতাকে মুক্তিযুদ্ধের ১২টি বই পড়ার সাজা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিকের করা সাইবার মামলায় বগুড়ার বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১২টি বই পড়ার সাজা দিয়েছেন আদালত। তাদের কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের জন্য আদালত এই বই পড়াসহ সাতটি শর্তে প্রবেশন দিয়েছেন। রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ আদেশ দেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুই আসামি হলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজগর তালুকদার হেনা ও শহর যুবদলের আহ্বায়ক আদিল শাহরিয়ার গোর্কী। মামলার বাদী বগুড়ার স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক মহাস্থানের প্রকাশক তানভীর আলম রিমন।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, প্রবেশনের সাত শর্তের মধ্যে তৃতীয় শর্তে রয়েছে দুই আসামিকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা ১২টি বই পড়ার কথা। বইগুলো হলো একাত্তরের দিনগুলি (জাহানারা ইমাম), একাত্তরে চিঠি (রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের লেখা), মা (আনিসুল হক), মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল (ড. কামাল হোসেন), আমার মুক্তিযুদ্ধ (আনিসুজ্জামান), উষার দুয়ারে (আনিসুল হক), দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ (রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী), আমি বিজয় দেখেছি (এম আর আক্তার মুকুল), চরমপত্র (এম আর আক্তার মুকুল), আমি বীরাঙ্গনা বলছি (নীলিমা ইব্রাহিম), হাঙর নদী গ্রেনেড (সেলিনা হোসেন) এবং রাইফেল রোটি আওরাত (আনোয়ার পাশা)।

ওই দুজনকে প্রবেশনের জন্য দেয়া প্রথম শর্তে বলা হয়েছে, তাদের মামলার বাদী তানভীর আলম রিমনের কাছে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। দ্বিতীয় শর্তে আসামিদের ১০টি করে ফলজ ও বনজ বৃক্ষের চারা রোপণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাকি শর্তগুলোর মধ্যে আছে, আসামিদের নিজ নিজ আইডি থেকে সাইবার সচেতনতা বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে, প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত হবেন না বা একই ধরনের অপরাধ করবেন না এবং আদালত ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে যথাসময়ে উপস্থিত হবেন।

ক্ষতিপূরণ হিসেবে দুই আসামিকে এক লাখ করে দুই লাখ টাকা আদালতে জমা দেয়ার আদেশও দিয়েছেন বিচারক। ক্ষতিপূরণের এক লাখ পাবেন বাদী, এক লাখ পাবে রাষ্ট্র।

আইনজীবী ইসমত আরা বলেন, আসামিরা প্রবেশনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের প্রবেশন আদেশ বাতিল করা হবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী প্রত্যেকে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করবেন। পাশাপাশি তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের। প্রবেশন কর্মকর্তা প্রতি তিন মাস পরপর প্রবেশনার আসামিদের প্রবেশন শর্ত প্রতিপালন ও গতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেবেন আালতে। তাদের প্রবেশন সন্তোষজনক হলে এই দণ্ড তাদের চাকরিসহ ভবিষ্যৎ জীবনে কোনো ধরনের অযোগ্যতা বলে গণ্য হবে না।

মামলার বাদী তানভীর আলম রিমন বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক মহাস্থানগড় পত্রিকার প্রকাশক। তিনি জানান, বগুড়ার বিএনপির রাজনীতি নিয়ে তিনি তার পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজগর তালুকদার হেনা তাকে হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। পোস্টে তাকে অত্যন্ত অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করা হয় এবং তাকে যেখানে দেখা যাবে সেখানেই মারধরের জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়। যুবদল নেতা আদিল শাহরিয়ার গোর্কীও তার ফেসবুকে এই সাংবাদিকের ছবি পোস্ট দেন এবং ক্যাপশনে আপত্তিকর কথাবার্তা লেখেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এর মধ্যে রাজশাহীতেও সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে মামলাটি ঢাকা থেকে রাজশাহী আসে।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এতে ঘটছে একের পর এক রেকর্ড। সর্বশেষ কার্যদিবস শুক্রবারও সোনার দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে দামি এই ধাতু। প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ২৩০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

শুধু শুক্রবার নয়, মার্চজুড়েই বিশ্ববাজারে সোনার দাম এমন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা দুই দশমিক ২৬ শতাংশ। মার্চ মাসে বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় উত্থান হলেও এখনো দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে সোনার চাহিদা বাড়লে ও তেজাবী সোনার দাম বাড়লে নতুন করে আবার দাম বাড়ানো হতে পারে।

এ বিষয়ে বাজুসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, সোনার অস্বাভাবিক দাম হওয়ার কারণে দেশের বাজারে বিক্রি অনেক কমে গেছে। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা বাড়লে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানো হতে পারে। এ জন্য আগামী কয়েকদিন স্থানীয় বাজারের চিত্র পর্যবেক্ষণ করবে বাজুস।

নতুন করে দাম বাড়ানো হলে বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। অবশ্য বর্তমানে রেকর্ড দামেই বিক্রি হচ্ছে দামি এই ধাতু। দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ আট হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে রোববার (৩১ মার্চ) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর এরই মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৮০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে।

বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে এখন প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা দুই দশমিক ২৬ শতাংশ।

আর মার্চ মাসেরে শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ৪৩ দশমিক ৬৩ ডলার। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

এদিকে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংর চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ডটা আমরা দেখেছি প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার এই বছর হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বাবাজারে সোনার দাম বাড়ছে, আমাদেরকেও তার সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে হবে। আমরা বেশি দামে কিনলে, বেশি দামে বিক্রি করবো। এর বিকল্প নেই। দাম বেশি হওয়ার কারণে এখন আমাদের সেল কম হচ্ছে। দামটা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দামটা কমলে হয় তো তখন মানুষ আবার কেনাকাটা শুরু করবে।


আরও খবর
লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪




বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় বিষণ্ন ঈদ গাজায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর ধর্মীয় এ উৎসবকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ-উল্লাস। তবে বিশ্বে এমনো এক প্রান্ত রয়েছে যেখানে শুধুই স্বজন হারানোর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ। বিধ্বস্ত কংক্রিটের ভাঁজে ভাঁজে রক্তের ছাপ। ধূলিসাৎ হয়ে গেছে মসজিদ, পার্ক, ঐতিহাসিক ভবনসহ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বুলেট-বোমা, ক্ষুধায় এবার বিষণ্ন ঈদ গাজায়। বাড়িতে খাবার নেই। নতুন পোশাক নেই। জীবনেরও কোনো নিয়শ্চয়তা নেই। ইসরাইলের অমানবীয় অত্যাচারে আনন্দহীন ঈদ কাটাবে গাজাবাসী। আলজাজিরা।

গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে তা প্রত্যক্ষ করা হৃদয়বিদারক। ইহুদিবাদীরা তাদের পৈশাচিক আচরণ এবং ঘৃণ্য পেশা দিয়ে শোক ও বেদনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে গাজায়। অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে শুধুই দুর্ভিক্ষ। অনেকেই স্বজন হারিয়ে একাকী ঈদের দিনটি কাটাবে। তবুও অসংখ্য গাজাবাসীর আশায় দিন কাটাচ্ছে তাদের দুঃখের অবসান হবে। তাদের মতে, শহিদদের রক্ত ইসরাইলের বর্বর সামরিক দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির পথকে উন্মুক্ত করে দেবে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। সোমবার দলে দলে ফিলিস্তিনিরা বিধ্বস্ত শহরে ফিরছেন। দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আংশিক সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর এই ফিরে আসা শুরু হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে। খান ইউনিসে অনেকেই নিজের শহরকে চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ও হাসপাতাল। সড়কগুলোতে বুলডোজার চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। বাস্তুচ্যুত হওয়া নাজওয়া আয়াশ নামের আরেকজন বলেছেন, তার পরিবারের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের তৃতীয়তলায় তিনি যেতে পারছেন না। কারণ সিঁড়ি নেই। ধ্বংসস্তূপ বেয়ে উপরে ওঠে তার ভাই সন্তানদের জন্য কিছু জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন। বাসেল আবু নাসের আরেক বাসিন্দা বলেছেন, শহরটি ধ্বংসনগরী হয়ে গেছে। জীবনের কোনো স্পন্দন নেই। তারা কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি।

যুদ্ধবিধ্বস্ত অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক সরকার। এছাড়া গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

রোববার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এ ঘোষণা দেন। এক বিবৃতিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশ গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। তাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুবিধার্থে এই সহায়তা দিচ্ছে ইরাক।

অন্যদিকে অবরুদ্ধ গাজায় ৩০০টিরও বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতিদিন ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি। দুর্ভিক্ষগ্রস্ত অঞ্চলটিতে খাদ্য সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরাইলকে ক্রমবর্ধমানভাবে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এরই মধ্যে দেশটি সোমবার ফিলিস্তিনি এই ভখণ্ডে ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করানোর কথা জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটির অনাহারে ভোগা লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জন্য গাজায় সোমবার প্রবেশ করা এই সংখ্যক ট্রাক যথেষ্ট নয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি বিবৃতিতে ইসরাইলের কোঅর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ইন দ্য টেরিটরি (সিওজিএটি) বলেছে, ত্রাণবাহী গাড়িবহরের ২২৮টি ট্রাকে খাদ্যপণ্য ছিল। এই ট্রাকগুলো মোট সংখ্যার ৭০ শতাংশ। রাফাহ থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন, অন্য ট্রাকগুলোও কারেম আবু সালেম সীমান্ত দিয়ে গিয়েছিল। এই সীমান্তটি ইসরাইলিদের কাছে কেরেম শালোম নামে পরিচিত। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তা বহনকারী গাড়ি বহরের অধিকাংশ গাড়িই পানি, চিনি, আটা ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।


আরও খবর



মিলারসহ ২২৭ মার্কিনির ওপর মস্কোর নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারসহ ২২৭ মার্কিন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ সামরিক অভিযান সমর্থন করার জন্য রুশ নাগরিকদের ওপর মার্কিন কর্তৃপক্ষ যে ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার প্রতিক্রিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করেছে, সরাসরি রাশিয়াবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে মার্কিন নাগরিকদের দেশটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ তালিকায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন সুলিভান, সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান ও সাবেক মার্কিন অর্থমন্ত্রী ল্যারি সামার্স রয়েছেন।

লকহিড মার্টিনের আর্থিক পরিকল্পনার ভাইস প্রেসিডেন্ট শামালা লিটলফিল্ড এবং সামরিক ঠিকাদার ব্ল্যাকওয়াটারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড ক্লার্কসহ মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতের নির্বাহীদেরও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়ার স্টপ লিস্ট’ সম্প্রসারণের বর্তমান উদ্দেশ্য হলো, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ওয়াশিংটনের এই সহজ সত্য সম্পর্কে সচেতনতা সুসংহত করা, যে কোনও আগ্রাসী প্রচেষ্টা বিনা শাস্তিতে ছেড়ে দেওয়া হবে না, প্রত্যেকটির প্রতিক্রিয়া পাবে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকসহ শিক্ষাবিদদেরও টার্গেট করা হয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেন সংঘাত বৃদ্ধির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নজিরবিহীন তলানিতে নেমে গেছে। ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা মস্কোর ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং রাশিয়াও এর জবাব দিয়েছে।


আরও খবর



বরই পাড়তে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের (ভিডিও)

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে ওই ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

মারা যাওয়া দুই শিশু হলো- একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে কাওসার আলী (৭), আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মোহাম্মদ রাজু (১২)। তাঁরা দুইজনেই সম্পর্কে চাচাতো ভাই।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে কাওসার বাড়ির পাশে বরই গাছে বরই পাড়তে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এসময় রাজু তাকে উদ্ধার করতে পুকুরে লাফ দেয়। পুকুরে পানি বেশি থাকায় তাঁরা দুজনেই গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.বি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



যুথির জামিন শুনতে বিব্রতবোধ: নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দিলেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ভোট গণনা ও ফলাফল নিয়ে মারামারির ঘটনায় হওয়া মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর আগাম জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দিলেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতির দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এই আগাম জামিন শুনানির জন্য এরই মধ্যে নথি পৌছে দেয়া হয়েছে। এর আগে (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিম ও বিচারপতি সাহেদ নুরুদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য গেলে বিব্রত বোধ করেন ওই বেঞ্চ। পরে নথি পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু বলেন, আগাম জামিন আবেদন গ্রহণ করেননি হাইকোর্ট। একজন জামিন শুনানিতে বিব্রতবোধ করায় আবেদনপত্র ফেরত দেয়া হয়েছে। আমরা চারজনের জামিন আবেদন করেছিলাম।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) ভোট গণনা ও ফলাফল নিয়ে মারামারির অভিযোগে করা মামলায় জামিন নিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী ও অন্যান্যরা। তিনি ছাড়া মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা) জামিন আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে। নাহিদ সুলতানা যুথীর আইনজীবী জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় অ্যাডভোকেট যুথী এক নম্বর আসামি।


আরও খবর