আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপির কাঁধে সওয়ার হতে চায় জামায়াত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিএনপির দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনেও সওয়ার হতে চায় বিএনপির কাঁধেই। চার দলীয় জোটের শরিক হিসেবে দলটি এখনও বিএনপির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে। তাদের এ মাখামাখি সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান গুঞ্জন থাকলেও জামায়াত নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আগের মতোই আছে। কেউ কেউ এ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চাইলেও কোনো লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন না থাকায় আগামী নির্বাচনে তারা সরাসরি অংশ নিতে পারবে না। তাই বিএনপিই হচ্ছে তাদের একমাত্র ভরসা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে চারদলীয় জোটের (পরে ২০ দলীয় জোট) অন্যতম প্রধান শরিক জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব বেড়েছে বিএনপির। কিন্তু জামায়াত এই দূরত্বের কথা বরাবরই অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে বিএনপির সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক কোনো দূরত্ব নেই। কৌশলগত কারণে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলই নিজেদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াতের দাবি, জোট ও রাজনৈতিক বিষয়ে এখনো তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। অনেকেই বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ নেই। জামায়াতে ইসলামীর বেশকয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশ্য তেমন কোনো তৎপরতা নেই। তবে ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী ফ্যাক্টর। সংগঠনটির সাংগঠনিক শক্তি যেমন আছে তেমনি আর্থিকভাবেও সংগঠনের অবস্থান জোরালো। মাঠ পর্যায়েও দলের সাংগঠনিক অবস্থান বেশ শক্ত এবং জনসমর্থনও আছে বলে দাবি জামায়াত নেতাদের। তবে তারা বলছেন, রাজনৈতিক মহলের সমালোচনা এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন মহলের চাপ রয়েছে জামায়াতের উপর। যাতে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কটা না থাকে। তারপরও তারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত কেউ কাউকে ছাড়বে না, ছাড়ার কথাও ভাবে না।

এদিকে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে সমমনা ছোটবড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি। সেই সংলাপে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপ করলেও জামায়াতের বিষয়ে বিএনপি নিরব রয়েছে।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ করছেন কি না? জবাবে তিনি বলেছিলেন, কেন নয়? বৃহত্তর ঐক্য গড়তে সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ধারাবাহিকতায় আমরা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও আলোচনা করব, দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

জামায়াতও চায় একটা সুযোগ। কারণ নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দলের রাজনৈতিক মোড় ঘোরানোর একটা সুযোগ হিসেবে দেখছেন দলটির নেতারা। সেজন্য তারা বার বার বলছে, বিএনপির সঙ্গে তাদের সখ্যতা আগের মতোই আছে। এদিকে বর্তমানে জামায়াতের কার্যক্রম চলছে গোপনে ও প্রকাশ্য দুইভাবেই। এতে করে জামায়াত আরও শক্তিশালী হচ্ছে। যদিও ঢাকায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও মহানগর কার্যালয় দুটিই গত এক দশক ধরে বন্ধ রয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকে দলের কোনো নেতা অফিসমুখী হননি। তবে রাজধানীতে দলীয় পোস্টার লাগানো ছাড়াও দলটির অধিকাংশ সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও অনলাইনে।

জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, দলটির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। এ বিশেষ সেল তিন ধরনের কাজ করবে- প্রথমত, আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী দলের নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর রাখা, দ্বিতীয়ত, নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা কারাগারে রয়েছে তাদের জামিনসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তৃতীয়টি, আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে সরকারের রোষানলে পড়ে পালিয়ে বেড়ানো দলের নেতা-কর্মীদের পরিবারকে যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় সেই বিষয়ে খোঁজখবর রাখা।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। মিটিং, মিছিল, সমাবেশ করা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রতিহিংসায় জামায়াতের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আদায়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে আন্দোলন করতে হবে। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপে জামায়াত ইস্যুতে বিএনপিকে নতুন করে অস্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ নেই। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। কাউকে না কাউকে তো কিছু ছাড় দিতেই হবে। কারণ আজকে যারা আওয়ামী লীগ সরকারে বিরুদ্ধে ঐক্যে পৌঁছাতে যাচ্ছেন তাদের অনেকের জীবনের বেশি সময় কেটেছে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে। তারাই যখন জামায়াত নিয়ে কথা বলে তখন বিষয়টা ভুতের মুখে রাম নাম ছাড়া অন্য কিছু নয়। এর মধ্যে রাজনীতিতে নানামুখী অস্থিরতা সৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেটা আংশিক সত্য হলেও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বিবেচনায় রেখে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে শরিক হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা দরকার।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, রাজপথ এখন অনেকটাই ঠান্ডা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি নেই। ইস্যুভিত্তিক বেশকিছু কর্মসূচি বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হলেও জোটগতভাবে কবে শেষ কর্মসূচি পালন করেছে সেটি মনে করা কঠিন। জামায়াতে ইসলামী অতীতে এদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিল, এখনো আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ভাবলে মনে হবে- বর্তমান সরকারকে মেনে নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট। কিন্তু বাস্তবে কি তাই? সেক্ষেত্রে যদি সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তাহলে রাজনীতিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের নির্দলীয় সরকারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত অনড় থাকবে বলেও আমি মনে করি।

অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, দল গোছাতে বিএনপি দীর্ঘ সময় নিলেও জামায়াতে ইসলামী খুব একটা সময় নিচ্ছে না। দলটির অধিকাংশ সাংগঠনিক কার্যক্রম গোছানো। রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে যেসব সাংগঠনিক শাখা কমিটি করতে পারেনি সেগুলোর কমিটি দ্রুতই গঠনের কাজ শেষ হবে।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। তাদের ভাষ্য, জামায়াত কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। আইনি জটিলতায় তাদের নিবন্ধন আটকে আছে। বিএনপির এক নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনরা যদি এতো কিছু করতে পারে তাহলে জামায়াত কে নিষিদ্ধ করছে না কেন?

নিউজ ট্যাগ: জামায়াতে ইসলামী

আরও খবর



সব রেকর্ড ভেঙে যশোরে তাপমাত্রা ৪৩.৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চলতি মৌসমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে ১৯৮৯ সাল থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি বিরাজ করছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ১২ শতাংশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ৫৭%। এরপর দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৪%।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। আরো দু'একদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ মওসুমের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ছিল তাপমাত্রা ৪৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২৬%। সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৪৯%। দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ %।

কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারছেন না। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরী প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এতো উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিট স্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামীকাল (আজ) সকালে ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে।’

শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকালে ব্যাংকক পৌঁছান। তাকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড সফরকে প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।


আরও খবর
ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪




প্রথম সিনেমা ফ্লপ, যা বললেন মন্দিরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নাটকের অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রায় তিন বছর আগে। নাম কাজলরেখা। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে তৈরি এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা। গিয়াউদ্দিন সেলিম পরিচালিত এ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে।

কিন্তু মুক্তির পর আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। ঈদসিনেমার ভিড়ে যে কটি প্রেক্ষাগৃহ ভাগে পেয়েছে, সেখানে দর্শকদের যেতে যেন খুব কষ্ট! মোট কথা, ঈদে কাজলরেখা ফ্লপ। কিন্তু যে কজনই সিনেমাটি দেখেছেন, তারা মন্দিরার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রীও বেশ সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, জীবনের প্রথম সিনেমায়ই নামভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয় ছিল। সেলিম ভাইয়ের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রত্যাশা ছিল, সিনেমাটি দর্শকের কাছে ভালো লাগবে। বিশেষত আমার চরিত্রটি। দর্শক আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যে অনেক শ্রম দিয়েছি, কষ্ট করেছি-দর্শকের কাছ থেকে তার বিপরীতে যে ভালোবাসা, যে সম্মান আমি পেয়েছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ।

সেরা নাচিয়ে খ্যাত মডেল, অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী ২০১২ সাল থেকে মিডিয়াতে কাজ করছেন। ওয়াহিদ আনামের নির্দেশনায় প্রতিযোগিতা নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এরপর বিভিন্ন পরিচালকের নির্দেশনায় তিনি মোশাররফ করিম, তাহসান, আফরান নিশোর বিপরীতেও অভিনয় করেছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের অংশ ছিল বাংলাদেশ। ওই সময় বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের অংশ থাকা অবস্থায় পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হতেন এ অঞ্চলের মানুষ। শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিকামী মানুষ পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে ৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, যে সময় বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন তাদেরকে বলা হতো, এই অংশটি পাকিস্তানের ওপর একটি বোঝা। কিন্তু ওই বোঝাই এখন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশের দিকে তাকালে তিনি লজ্জিত হন। কারণ বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) একটি মতবিনিময় সভা করেন শেহবাজ শরীফ। ওই সময় তাদের তিনি বলেন, আমি খুবই তরুণ ছিলাম। আমাদের বলা হতো বাংলাদেশ আমাদের ওপর একটি বোঝা। আজ সবাই জানেন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ওই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা এখন যখন বাংলাদেশের দিকে তাকাই লজ্জিত হই।

শেহবাজ শরীফের সঙ্গে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ব্যবসায়ী নেতারা গতকাল বুধবার সিন্ধ সিএম হাউজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের সঙ্গেও ব্যবসা বিষয়ক আলোচনা শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরীফ। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য শেহবাজ শরীফের ওপর চাপ রয়েছে।


আরও খবর



যৌন নিপীড়ন করে হত্যা করা হয় ইরানি কিশোরী নিকা শাকারামিকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০২২ সালে ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে নিখোঁজ হয় ১৬ বছরের নিকা শাকারামি। এক সপ্তাহ পরে একটি মর্গে তার মরদেহ খুঁজে পায় পরিবার। এ ঘটনার পর ইরান সরকার একটি তদন্ত করে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়। কিন্তু পরিবারের দাবি বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইরান সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।  খবর বিবিসি

ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ফাঁস হওয়া এক গোপন নথিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর তিনজন ওই কিশোরীকে যৌন হয়রানির পর হত্যা করে।

যে গোপন নথি ফাঁস হয়েছে তার একটি শুনানির সারাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) ওই শুনানি করেছিল। ওই নথিতে নিকার হত্যাকারীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যে জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা সত্য লুকাতে চেয়েছিলেন, তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

গোপন নথির তথ্য বলছে, ওই কিশোরী বিক্ষোভ করার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি গোয়েন্দা দল তাকে নজরে রেখেছিল। এর একটি হলো টিম টুয়েলভ। তারা ওই কিশোরীর ওপর সন্দেহে করে বিক্ষোভকারী সেজে বিক্ষোভে অংশ নেয়। পরে তাদের ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সে পালিয়ে যায়।

ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, পালিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর তাকে খুঁজে বের করা হয়। তাকে আটকের পর ওই দলটির গাড়িতে তোলা হয়। এটি ছিল একটি ফ্রিজার ভ্যান। তবে তাতে বাহিনীর কোনো চিহ্ন ছিল না।

টিম টুয়েলভের তিন সদস্য নিকার সঙ্গে ফ্রিজার ভ্যানের পেছনে বসেছিলেন। তারা হলেন আরশ কালহর, সাদেগ মনজাজি এবং বেহরুজ সাদেগি। আর ওই দলের নেতা মোর্তেজা জলিল সামনে চালকের পাশে বসেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিকাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া যায়, তা খোঁজার চেষ্টা করছিল দলটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোর্তেজা জলিল পরামর্শ নেয়ার জন্য আইআরজিসির সদর দপ্তরে ফোন করেন। তাকে কুখ্যাত এভিন কারাগারে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পথে মোর্তেজা ফ্রিজার ভ্যানের পেছন থেকে ধস্তাধস্তির আওয়াজ পান।

বেহরুজ সাদেগি তার জবানবন্দিতে বলেছেন, আটককেন্দ্র থেকে নিকা শাকারামিকে গাড়িতে তোলার পর সে অন্ধকারের মধ্যে চিৎকার করছিল এবং স্লোগান দিচ্ছিল। তখন আরশ কালহর তার মোজা দিয়ে নিকার মুখ চেপে ধরেন। নিকাও তখন ধস্তাধস্তি শুরু করে। আরশ কালহর জানান, এরপর তিনি মুঠোফোনে টর্চের আলো জ্বালিয়ে দেখতে পান, সাদেগ নিকার ওপর যৌন নিপীড়ন চালাচ্ছেন এবং পরে তারাও তাতে শামিল হন।

একপর্যায়ে গাড়ির সামনে বসা মোর্তেজা চালককে গাড়ি থামাতে বলেন। পরে গাড়ির পেছনের দরজা খুলে দেখা যায় নিকার মৃতদেহ পড়ে আছে। তার মুখ ও মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল।

২০২২ সালের অক্টোবরে বিবিসির ফারসি সংস্করণ নিকার মৃত্যুসনদ সংগ্রহ করে। সেখানে বলা হয়েছিল নিকাকে শক্ত কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এদিকে বিবিসির পক্ষ থেকে ইরান সরকার ও রেভল্যুশনারি গার্ডকে প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্যগুলো জানানো হয়েছিল। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি।


আরও খবর