আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

বিএনপির রাজনীতি এখন গভীর সংকটে

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিএনপির রাজনীতি এখন শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।

দেশের রাজনীতি এখন সংকটময় অবস্থায় নিমজ্জিত বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে কোনো সংকটময় পরিস্থিতি নেই, বরং বিএনপির রাজনীতি এখন গভীর সংকটে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশ ও জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিএনপিই নিজেদের জন্য সংকট তৈরি করেছে।

বিএনপির নেতারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কর্মীদের উত্তাল আন্দোলনের দিবাস্বপ্ন দেখাচ্ছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে বিএনপির নেতাদের বক্তব্য এখন আত্মরক্ষার ঢালমাত্র।

বিএনপির আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবেমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কচুরিপানা নয় যে বিএনপির হাঁকডাকে ভেসে যাবে।

জনগণ তাদের আন্দোলনের অনেক মৌসুমি হাঁক-ডাক শুনেছে, আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপির নেতাদের শীতনিন্দ্রায় চলে যাওয়াও দেখেছে তাদের কর্মীরা, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার মানবিক, সুদক্ষ নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল জনগণ অন্য কারও সন্ত্রাসনির্ভর আন্দোলনের হাঁকডাকে ভয় পায় না।

বিএনপি নতুন করে আন্দোলনের যে হাঁকডাক দিচ্ছে, তা অতীতের ধারাবাহিকতায় আরেকটি ব্যর্থ প্রয়াসের পূর্বাভাস মাত্র বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের শেকড় এ দেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান মানুষের মণিকোঠায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে অনেক হত্যা,সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্র হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।

এ ছাড়া গতকাল শনিবার সংসদীয় বোর্ডের সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলাজনিত নির্দেশনা দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অনুমতি ব্যতীত কোথাও কেউ কোনো কমিটি বিলুপ্ত, কমিটি গঠন অথবা ব্যক্তি বা দল থেকে কাউকে অব্যাহতি দিতে পারবে না।

সব পর্যায়ে দলীয় শৃঙ্খলা কঠোরভাবে মেনে চলার জন্যও সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




সোয়া ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ডেমরার আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় একটি ভবনে কাপড়ের গুদামে লাগা আগুন সোয়া আট ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (মিডিয়া) রায়হানুল আশরাফ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। আগুন পুরোপুরি নেভানোর কাজ চলছে এখন। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১১টি ইউনিট রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫মিনিটের দিকে ভবনের তিনতলায় গোডাউনে আগুন লাগে। চারতলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও পাঁচটি ইউনিটসহ মোট ১০ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়।

এদিকে, আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

সকালে ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, চারতলা ভবনের পুরোটাতেই খেলাধুলার সামগ্রী রয়েছে। ভবনটিতে স্টোরেজ (গুদাম) নীতিমালা মানা হয়নি। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় আগুন আর নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই ভবনে পানির রিজার্ভ ট্যাংক নেই, সিঁড়িও বেশ সংকীর্ণ। আশপাশে পানি না থাকায় ড্রেনের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। ঢাকা ওয়াসাও পানি দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কোনো ব্যর্থতা নেই। এ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের কাঠামোগত শক্তি কমে গেছে। কয়েক জায়গায় ছাদ ফেটে গেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। আগুন পুরোপুর নেভাতে সময় লাগতে পারে। পুরো ভবনে দাহ্য পদার্থ আছে, খেলাধুলার সামগ্রী বেশি। প্লাস্টিকের পরিমাণও অনেক। সব ফ্লোরেই আগুন ছড়িয়েছে।

আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভবন বা গুদামের মালিকপক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, আমরা মালিকদের খোঁজার চেষ্টা করছি।

নিউজ ট্যাগ: ডেমরা

আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদযাত্রায় যানজট, যাত্রী হয়রানি ও সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে ৮ ও ৯ এপ্রিল ২ দিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে বলা হয়, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে এক কোটি, গাজীপুর থেকে ৪০ লাখ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১২ লাখসহ ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। এসব যাত্রীর ঈদের আগের চারদিনে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ, ট্রেনে ৪ লাখ, প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাসে ৩৫ লাখ, মোটরসাইকেলে ১২ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, উড়োজাহাজে প্রায় এক লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে।

গণপরিবহন সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে এবং খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী পরিবহনে ১৮ লাখ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এছাড়াও আন্তঃজেলায় যাতায়াত করবে প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি যাত্রী। এতে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদবাজার, গ্রামের বাড়ি যাতায়াতসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহনে বাড়তি প্রায় ৬০ কোটি ট্রিপ হতে পারে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গণপরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা এবার রোজা ৩০টি সম্পন্ন হলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। ঈদের আগে ১০ এপ্রিল মাত্র একদিন সরকারি ছুটি রয়েছে। ঈদের পরে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পযর্ন্ত ৫ দিনের লম্বা ছুটি রয়েছে। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় মুসলমানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে লম্বা ছুটির সুবাধে গ্রামের বাড়ি যাবে। তাই যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।

আগামী ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ পাড়ি দেয়ার সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সব পথে যাতায়াত পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে। তাই ৮ এবং ৯ এপ্রিল দুই দিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হলে ৫ এপ্রিল থেকে সবাই স্বচ্ছন্দে, ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবে। গণপরিবহন সংকট ও যাত্রী ভোগান্তি থেকেও মুক্তি মিলবে। এই কারণে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি করছি।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে দেশে ৭১৪টি স্পটে যানজট হতে পারে এমন খবর গণমাধ্যমে এসেছে। যার মধ্যে ১৪০টি স্পটে প্রখর নজরদারি দরকার। ১০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২১৮টি অতিঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনার স্পটের বিষয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সতর্ক করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এসব স্পটেই ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এবারের ঈদযাত্রায় রাজধানীবাসী যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে।

তাই এই মুহূর্ত থেকে রাজধানীর প্রতিটি সড়কের ফুটপাত হকার ও অবৈধ পার্কিং মুক্ত করার দাবি জানাই। রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের প্রবেশদ্বারগুলোতে যাত্রীদের অসহনীয় যানজটে পড়তে হবে। এসব যানজট নিয়ন্ত্রণে রাস্তার মোড় পরিষ্কার রাখা ও ছোট যানবাহন বিশেষ করে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। তা না হলে আগামী ২৫ রমজান থেকে ঈদের দিন সকাল অবধি রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল অচল হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কিছু অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন নেতাদের চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারণে জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট হয় বলে যানজটমুক্ত করার দাবি জানান। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ও পরিবহন সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাতে কিছু কিছু অসাধু পরিবহন মালিক-চালক মরিয়া হয়ে উঠেছে। কোনো পথে ঈদের ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়ে যাওয়ার কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন কম ভাড়ায় বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, খোলা ট্রাকে অথবা পণ্যবাহী পরিবহনের ছাদে যাতায়াতে বাধ্য হয়। এতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্যা প্রাণহানী ঘটে থাকে।

এসময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে অতীতের বিভিন্ন সময়ের মতো কেবল কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি নয় প্রকৃতপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেলসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা ডব্লিউএইচও’র

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সেই সঙ্গে পানিবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগটি ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ডব্লিউএইচওর হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ তথা ৭ লাখ। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত দুতিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত ও উদ্বেগজনক প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করছি। এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা এবং নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।

কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে সরঞ্জাম।

এ কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল রয়েছে বলেও জানায় ডব্লিউএইচও।

গ্যাভির কর্মসূচি বিভাগের প্রধান নির্বাহী অরেলিয়া এনগুয়েন এক বিবৃতিতে বলেন, কলেরা প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে যে তৎপরতা চলছে, এ কর্মসূচি তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।


আরও খবর



গাজায় ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৬৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৫ জন। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সম্প্রতি গাজার খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও অবরুদ্ধ উপত্যকাটির মধ্যাঞ্চলে নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

এদিকে ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার আল-জাজিরাকে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় হানিয়ের পরিবারের আরও সদস্য এর আগে নিহত হয়েছেন। তার আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে নিহত হন তার এক নাতি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ হাজার ৫৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৯৪ জন।


আরও খবর



পাকিস্তানে ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে নিহত ৩৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক দিন ধরে অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের অনেকেই মাঠে গম চাষের সময় বজ্রাহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা ফসলের মাঠ দেখা যায়। আকস্মিক বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পরিবহন ব্যবস্থায়ও বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানে চরম আবহাওয়া বিপর্যয় বেড়ে চলেছে।

২০২২ সালে আকস্মিক বন্যায় দেশটির বেশ কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে যায়। এতে ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরও কয়েক হাজার। ওই সময় বন্যার কারণে কয়েক লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে এবং কয়েক মাস ধরে সুপেয় পানির অভাবে ভুগতে থাকে।

খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানসহ ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা সাম্প্রতিক ঝড়ের কারণে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার পূর্বাভাসের সঙ্গে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানের সবচেয়ে জনাকীর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, গত শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে প্রদেশটিতে বজ্রপাতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সর্ব পশ্চিমের প্রদেশ বেলুচিস্তানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রদেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বেলুচ উপকূলীয় শহর পাসনির বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নূর আহমেদ কালমাতি পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনকে বলেন, বসতি এলাকায় এবং প্রধান বাণিজ্যিক অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়ায় পাসনিকে এই মুহূর্তে একটি বড় হ্রদের মতো দেখাচ্ছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ আফগানিস্তানেও ভারী বন্যার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার আফগান কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃষ্টির কারণে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শত শত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাকিস্তানে ২০২২ সালের বন্যায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নেরও ভূমিকা ছিল। জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পঞ্চম সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে পাকিস্তান।


আরও খবর