আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বিএসএফের গুলিতে কিশোরীর মৃত্যু, মরদেহ সীমান্তের ওপারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্বর্ণা দাস (১৪) নামে এক কিশোরীর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাতে উপজেলার লালারচক সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তার লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

সোমবার সন্ধ্যার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৬ ব্যাটালিয়নের একটি দল নিহতের বাড়িতে যায়। এ সময় খবরটি এলাকায় জানাজানি হয়।

স্বর্ণা উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। সে স্থানীয় নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।

পরেন্দ্র দাস জানান, তার চার ছেলে-মেয়ে। এক ছেলে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ত্রিপুরায় থাকেন। ছেলেকে দেখতে স্ত্রী সঞ্জিতা মেয়ে স্বর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় তাদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এক দম্পতিও ছিলেন। রাত ৯টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলে মারা যায়। তাদের সঙ্গে থাকা দম্পতিও আহত হন। গুলি থামার পর সঞ্জিতাসহ বাকিরা লালারচক গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নেন। পরে আহত দম্পতিকে চিকিৎসার জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিএসএফের গুলিতে কিশোরী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের লালারচক বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক ওবায়েদ জানান, কয়েকজন বাংলাদেশি চোরাইপথে ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন বলে তারা জেনেছেন। তবে এখনো ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিহত কিশোরীর মরদেহ হস্তান্তর করেনি।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। প্রথম সন্তানের বাবা-মা হলেন দীপিকা পাডুকোন ও রণবীর সিং। আজ রবিবার মুম্বাইয়ের এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন তিনি। দুই থেকে তিন হলেন দীপিকা-রণবীর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানা যায়, যদিও এখনও পর্যন্ত নিজেদের পক্ষ থেকে সন্তান আগমনের আনুষ্ঠানিক খবর ঘোষণা দেননি রণবীর-দীপিকা।

এর আগে গত শুক্রবার গণেশ চতুর্থীতে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে প্রার্থনা করতে দেখা যায় রণবীরদীপিকাকে। এর পরদিন শনিবার বিকেলে মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে দেখা যায় এ দম্পতিকে।

অন্তঃসত্ত্বা দীপিকাকে হাসপাতালে দেখা যেতেই তার মা হওয়ার গুঞ্জন বেড়েছে। যদিও অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২৮ সেপ্টেম্বর ভূমিষ্ঠ হতে পারে তাদের প্রথম সন্তান। কিন্তু তার অনেক আগেই হাসপাতালে হাজির তারকা জুটি। এর পরদিনই সন্তান এল দীপিকার কোলে। কিছু দিন আগেই মাতৃত্বকালীন ফটোশ্যুটে ধরা দেন দীপিকা। অভিনেত্রীর বেবিবাম্প প্রকাশ পায় সেই সব ছবিতেই।

দীপিকাকে সর্বশেষ দেখা গেছে কল্কি ২৮৯৮ এডি ছবিতে। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন এই ছবির শুটিং করেছিলেন অভিনেত্রী। ছবিতেও এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এছাড়াও দীপাবলিতে দীপিকার পরবর্তী সিনেমা সিংহম এগেইন মুক্তি পাবে।


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হয়েছেন ফারুক আহমেদ। বুধবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জরুরি সভায় তাকে সভাপতি করা হয়।

ক্রীড়াঙ্গনে গত কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন, বিসিবি সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন নাজমুল হাসান পাপন। আর তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। পাপনের আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বুধবার সেই গুঞ্জনই সত্যি হলো।

এর আগে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জরুরি সভা শুরু হয়। আর সেখানেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন নাজমুল হাসান পাপন। পরে সেখান থেকেই ফারুক আহমেদকে নতুন সভাপতি করার সিদ্ধান্ত আসে।

এদিকে মন্ত্রণালয়ে বোর্ড সভা ডাকায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে বিসিবি মঙ্গলবার রাতে খুদেবার্তায় গণমাধ্যমকে জানায়, বুধবার সচিবালয়ের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিসিবির বোর্ড পরিচালকদের একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। বিসিবি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গুরুত্বপূর্ণ এই সভার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছে।

বোর্ড সভায় অংশগ্রহণ করতে বুধবার সকালে মন্ত্রণালয়ে আসেন ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম। এ ছাড়া ইনাম ও মাহবুব আনামকেও দেখা গেছে। পাশাপাশি আম্পায়ার্স কমিটির সদস্য ইফতেখার আহমেদ মিঠুও যোগ দেন বৈঠকে।

অন্যদিকে, পরিচালকদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন আকরাম খান, সাইফুল আলম স্বপন, ফাহিম সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজন ও সালাউদ্দিন চৌধুরী। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভায় পরিচালক বোর্ডের সদস্যদের অন্তত ৯ জন উপস্থিত থাকলেই চলবে।

উল্লেখ্য, ফারুক আহমেদ দুই মেয়াদে বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রথম মেয়াদে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত, আর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে কলহের জেরে তিনি পদত্যাগ করেন।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এবার রিকশাচালকদের শাহবাগ অবরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ চেয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন প্যাডেল চালিত রিকশা চালকরা। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

রিকশাচলকরা জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে দীর্ঘদিন ধরেই তারা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের কথা না শোনায় আজ রাস্তায় নেমে এসেছেন।

রিকশাচলকরা বলেন, অটোরিকশা চালকরা ১০০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা হলেই চলে যায়। তাদের জন্য প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা যাত্রী পান না এবং ন্যায্য ভাড়া পান না। সারাদিন রিকশা চালিয়ে তারা পর্যাপ্ত টাকা উপার্জন করতে পারেন না।

তারা আরও বলেন, অটোরিকশা চলার অনুমতি নেই ঢাকায়। তারপরও দেদারছে চলছে অটোরিকশা। পায়ের রিকশার বৈধতা আছে, নাম্বার আছে। এর জন্য প্রতি বছর ৩০০ টাকা ফি দিতে হয়। এই শেখ হাসিনা অবৈধ অটোরিকশা চালানোর অনুমতি দিয়ে আমাদের বৈধ রিকশাকে অচল করে দিয়েছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করার জন্য ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাত বছরে মোট তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ থ্রি-হুইলার ও ইজিবাইক বন্ধ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে অটোরিকশার আমদানিও নিষিদ্ধ করা হয়।


আরও খবর



আরব সাগরে গভীর নিম্নচাপ, ঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর আরব সাগরের দিকে একটি গভীর নিম্নচাপ এগিয়ে আসছে। এটি এখন অবস্থান করছে আরব সাগর উপকূলে অবস্থিত ভারতের গুজরাটের উপদ্বীপাঞ্চল সৌরাষ্ট্রের ওপর।

শুক্রবারের মধ্যে নিম্নচাপটি উত্তর আরব সাগরের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ফলে সেখানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। এর প্রভাবে গুজরাটের ভারুচ, কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র জেলায় অত্যন্ত ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস জানানো হয়েছে।

দেশটির গণমাধ্যমগুলো শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গুজরাটের ভারুচ, কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র জেলায় খুব ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) পর্যন্ত গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে ভারি থেকে খুব ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

সাধারণত আগস্ট মাসে আরব সাগরে খুব একটা ঘূর্ণিঝড় এর আশঙ্কা থাকে না। গুজরাটের উপদ্বীপাঞ্চলে সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৬৪ সালের আগস্টে। তাই এই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এটি ওই অঞ্চলে সৃষ্টি হওয়া দ্বিতীয় আগস্ট ঝড়হবে।

ভারতের আবহাওয়াবিদদের একাংশ বলছেন, বর্ষার মৌসুমে এ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বিরল। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর শক্তিশালী প্রতিরোধের জন্য নিম্নচাপগুলো ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে না।

ইতোমধ্যে টানা বৃষ্টিতে গুজরাটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গুজরাটের দ্বারকা, মোরবি, বরোদাসহ একাধিক জেলায় সেনাবাহিনী নামিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি গুজরাটের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

অন্যদিকে, শনিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি পাকিস্তানের দুটি জেলায় বন্যা নিয়েও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পাবনায় এগারো বছরেও মেলেনি নৈশ প্রহরীর সন্ধান

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

পাবনা'য় নিজ বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণে করে নিয়ে যাওয়ার ১১ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি নৈশ প্রহরী খবির প্রামাণিক (৪০)'র। রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘ এগারো বছরে নেওয়া হয়নি কোন মামলা। এমনকি ভুক্তভোগীর পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে করা হয়েছে অসহনীয় নির্যাতন, দেওয়া হয়েছে হত্যার হুমকি।

ঘটনাগুলো ঘটেছে আতংকের জনপদ খ্যাত পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চর-বলরামপুর এলাকায়। দীর্ঘ এগারো বছর পরে আশার আলো দেখতে পেয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। অপহরণ হওয়া খবির প্রামাণিককে ফিরে পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পরিবারের সদস্যরা।

অপহরণের শিকার খবির প্রামাণিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চর-বলরামপুর গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ হন পাবনা জেলার সদর উপজেলাধীন ভাঁড়ারা ইউনিয়নের অন্তর্গত  চর-বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী খবির প্রামাণিক।

অপহরণের শিকার খবির প্রামাণিকের স্ত্রী চাম্পা খাতুন (৩৫) বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে মনছের প্রামাণিকের ছেলে রিপন (৩২) ও উম্বার প্রামাণিকের ছেলে ইকবাল (৩০) আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আমার স্বামী আর ফিরে আসে নি। ওরা আমার স্বামীকে খুন করেছে নাকি গুম করেছে তা জানি না। ঐদিনের পর আমার স্বামী ফেরত না আসলে ওদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে আমাদের মারধর করে ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। বিগত সরকারের আমলে আমরা কথা বলতে পারি নি। এখন যেহেতু দেশ স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীন দেশে  আমরা আমার স্বামীকে ফেরত চাই, আর যদি আমার স্বামীকে ওরা মেরে ফেলে তাহলে আমি ওদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।

অপহরণের কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান চর- বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পদের নিয়োগ নিয়ে একই গ্রামের মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোহাম্মদ (৫০)'র সাথে ঝামেলা ছাড়াও ইবাদুল ও মাবুদ হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি করায় আমার স্বামী কে অপহরন করা হয়।

পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য খবির প্রামাণিককে রিপন ও ইকবাল বাড়ি থেকে নিয়ে গেলেও এই অপহরণ ও গুমের সাথে মৃত রজব আলীর ছেলে আহসান (৪০), মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোহম্মদ (৫০),মৃত সুরুজ মন্ডলের ছেলে আজাহার মন্ডল (৬০), মৃত রিকাত প্রামাণিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম সাকু (৪৮), নাদের প্রামাণিকের ছেলে কুদ্দুস (৪৫), নাদের প্রামাণিকের ছেলে শফিকুর (৩৬), ময়ছের প্রামাণিকের ছেলে শাহিন (৩৭),মৃত কাশেম প্রামাণিকের ছেলে নাহের প্রামাণিক (৪৫), মৃত বাছের মালিথার ছেলে মোতাহের মালিথা, আক্কাস মালিথার ছেলে শামছুর (৩৬), রজব খাঁ'র ছেলে রানু খান (৪৫), লুকাই খাঁ'র ছেলে বক্কার (৫৫), আকবার প্রামাণিকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪৫) ও মৃত কফিলউদ্দিন খন্দকারের ছেলে আতাউর রহমান (৫৫) সরাসরি জড়িত। অনতিবিলম্বে এই সকল অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি অপহরণ ও গুমের রহস্য উদঘাটন করে খবির প্রামাণিককে পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪