আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ৫

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মিয়ানমারে বুধবার সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। খবর রয়টার্সের।

দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কেইল শহরের এক অধিবাসী রয়টার্সকে জানান, জান্তা সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়েছে। ওই অধিবাসী জানান, তাকে এক প্রত্যক্ষদর্শী এ তথ্য জানিয়েছেন যিনি পাঁচটি মরদেহের ছবি তুলেছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ও বারবার গুলির শব্দ শোনা গেছে। মিজিমা ও ইরাবতী সংবাদমাধ্যম জানায়, পাঁচজন মারা গেছেন ও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটির সকল স্তরের জনগণ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। প্রায় প্রতিদিনই এসব বিক্ষোভে গুলি চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৫৮০ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন।

মিয়ানমারের এই জনবিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত তরুণরাই। বিক্ষোভের আয়োজন ও প্রচারণার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই তাদের প্রধান মাধ্যম। জান্তা সরকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও মোবাইল ডেটা সার্ভিস ব্যাপক বিঘ্নিত করার কারণে বিক্ষোভকারীদের প্রচারণার কাজ বেশ ব্যহত হচ্ছে।

ইন্টারনেটে প্রতিবন্ধকতার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হলো নেটব্লকস। নেটব্লকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাল্প টকার রয়টার্সকে বলেন, ফেব্রুয়ারী থেকে তথ্যের অতল গহ্বরে মিয়ানমার ধাপে ধাপে ধসে পড়েছে।

তিনি বলেন, যোগাযোগ এখন খুব বেশি রকমের সীমিত এবং অল্প কিছু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছে।

প্রিন্ট মিডিয়া বন্ধ থাকায় বিক্ষোভকারীরা তাদের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এখন বিকল্প উপায় ব্যবহার করছে। তারা এ-ফোর সাইজের কাগজে দৈনিক খবরের প্যাম্ফলেট তৈরি করে তা ডিজিটালভাবে শেয়ার করার পাশাপাশি ছাপিয়েও জনগণের মধ্যে বিতরণ করছে।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর



চীনের মহাসড়কে ধস, নিহত অন্তত ১৯

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে গভীর রাতে একটি মহাসড়কের একাংশ ধসে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। বুধবার (১ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এস১২ হাইওয়ের ১৭.৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) প্রসারিত অংশ ধসে পড়ে। এতে ১৮টি গাড়িতে কয়েক ডজন লোক সেখানে আটকা পড়ে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ৩০ জনকে হাসপাতালে জরুরি সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জীবন বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে নেই।

এদিকে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫০০ জনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে মহাসড়কটি ধসে পড়েছে তা এখনো স্পষ্ট না।


আরও খবর



১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে অনেকেই যুক্তরাজ্যে আবেদন করেছিল। এদের মধ্যে যাদের আবেদন ব্যর্থ হয়েছে সেসব বাংলাদেশিকে ফাস্ট-ট্রাক (দ্রুত) পদ্ধতিতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে দেশটি।

গত এক বছরে শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে থাকার প্রয়াসে প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা দিয়েছে। দেশটির গণমাধ্যম টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবদনে বলা হয়েছে, আশ্রয়ের আবেদন খারিজের পাশাপাশি যারা বিদেশি অপরাধী ও যাদের ভিসার বৈধ মেয়াদ অতিবাহিত হয়ে গেছে তাদেরকেও ফেরত পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো সহজ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য। লন্ডনে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিটি হয়।

যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বলেছেন, লন্ডনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্রবিষয়ক যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ প্রথম যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে চুক্তির ব্যাপারে দুই দেশ সম্মত হয়। ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় দেশ অংশীদারত্ব জোরদারে অঙ্গীকার করে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতা জোরালো করতে প্রতিশ্রুতি দেয়।

ওয়ার্কিং গ্রুপ বিদ্যমান ভিসা রুটগুলোর মাধ্যমে বৈধ অভিবাসনের সুবিধা অব্যাহত রাখা, অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলা, তথ্য ভাগাভাগি জোরদার করা, গুরুতর সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলায় নিজ নিজ পন্থা সম্পর্কে পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

মিশা সওদাগর ভোট পেয়েছেন ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। আর অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। তার থেকে ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার, তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট, ও ডি এ তায়েব, তিনি ২৩৪ ভোট পেয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, তিনি পেয়েছেন ২৩৭ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, তিনি পেয়েছেন ২৫৫ ভোট, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, তিনি পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন, তিনি পেয়েছেন ২৩৫ ভোট এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা, তিনি পেয়েছেন ২২৮ ভোট, রোজিনা, তিনি পেয়েছেন ২৪৩ ভোট, আলীরাজ, তিনি পেয়েছেন ২৩৯ ভোট, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, তিনি ২১৮ ভোট, শাহনূর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, নানা শাহ, তিনি পেয়েছেন ২১০ ভোট, রত্না কবির, তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট ও চুন্নু, তিনি পেয়েছেন ২৪৮ ভোট।

কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি, তিনি পেয়েছেন ২২০ ভোট, ও সনি রহমান, তিনি ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি।


আরও খবর



সড়ক দুর্ঘটনায় ‘অড সিগনেচার’ ব্যান্ডের পিয়াল নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ব্যান্ড অড সিগনেচার। এ দুর্ঘটনায় ব্যান্ডটির গায়ক ও গিটারিস্ট আহাসান তানভীর পিয়াল ও গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। খবরটি অড সিগনেচার ব্যান্ডের ফেসবুক পেজ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ (১১ মে) ভোর সাড়ে ৫ টায় মহাসড়কের চৈতাব এলাকায় ড্রীম হলিডে পার্কের সামনে হানিফ পরিবহণ ও মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

অড সিগনেচারের পেজ থেকে এদিন সকালে একটি পোস্টে বলা হয়, সিলেট যাওয়ার পথে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে অড সিগনেচারের গাড়ি মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এতে ব্যান্ডের সকল সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়। ড্রাইভার সাহেব সালাম আর ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য আহাসান তানভীর পিয়াল এই দুর্ঘটনায় নিহত হন। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নরসিংদী ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন জানায়, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহণ একটি যাত্রীবাহী বাস ড্রীম হলিডে পার্কের সামনে পৌঁছালে সে সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালক ও এক যাত্রী নিহত হন। আহত হয়েছেন মাইক্রোবাসের আরও তিন যাত্রী। দুর্ঘটনার পর হানিফ পরিবহনের বাসটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তার পিছু নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকা থেকে আটক করে। তবে এরইমধ্যে বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ খবর শুনে মুহূর্তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীতাঙ্গনে। ব্যান্ডটির অনুরাগীরা নেট দুনিয়ায় নিহত পিয়ালের জন্য শোক প্রকাশের পাশাপাশি বাকি সদস্যদের সুস্থতা কামনা করেছেন।

অড সিগনেচার তরুণ প্রজন্মের কাছে খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ব্যান্ড। ২০১৭ সালে এর আত্মপ্রকাশ। শ্রোতাদের কাছে গল্প ভিত্তিক গানের কারণে জনপ্রিয় দলটি। ব্যান্ডটির গানগুলোর মধ্যে ঘুম, আমার দেহখান, দুঃস্বপ্ন অন্যতম।


আরও খবর



পাইলট আসিম জাওয়াদের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের তৃতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে এই বীর সৈনিককে সমাহিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে সেওতা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে, সকালে জন্মভিটা মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের নিষ্প্রাণ দেহ ফিরে। বাবা-মার একমাত্র সন্তান এই বৈমানিকের মরদেহ পৌঁছানোর খবরে এক নজর দেখার জন্য পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন। ছাত্রজীবনের তুখোড় মেধাবী এ বীর সৈনিকের মরদেহ দেখে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্থানীয়রা জানান, আসিম জাওয়াদ তাদের গর্ব, তাদের অহংকার। তিনি ছাত্রজীবনে নানান স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। কর্মজীবনেও ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক। তার এ চলে যাওয়া আমাদের জন্য, দেশের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

এর আগে সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে আসিম জাওয়াদের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর দ্বিতীয় জানাজা ও ফিউনারেল প্যারেডের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশারের প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।

সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বীর সৈনিক স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়নের পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়ে গুরুতর আহত হন উইং কমান্ডার সোহান ও স্কোয়াড্রন লিডার আসিম। পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ।

আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের ড. আমান উল্লাহ ও নীলুফা আক্তারের ছেলে।

তিনি ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১০ সালের  ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ থেকে বিএসসি (এ্যারো) পাস করেন আসিম।

চাকরিকালে আসিম বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি পেশাদারী দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ মফিজ ট্রফি’, বিমান বাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমান বাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনীর কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ Chief of Air Staffs Trophy for Best in Flying (Indian Air Force)  অর্জন করেন।


আরও খবর