আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিক্ষোভের জেরে পিছু হটলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিচার ব্যবস্থা সংশোধনের পরিকল্পনা থেকে পিছু হটেছেন ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এ মাসের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের ওপর সংসদকে আরও ক্ষমতা দেওয়ার দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। কিন্তু এ বিষয়টি সাধারণভাবে নেয়নি সাধারণ ইসরায়েলিরা। তারা টানা কয়েকদিন এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।

আর এমন বিক্ষোভের মুখে বিচার ব্যবস্থা সংশোধনের পরিকল্পনা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সোমবার রাতে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, আমাদের জনগণের মধ্যে ফাটল আটকাতে এ পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে। তার এ ঘোষণার পর রাস্তা থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা। তবে এখন প্রশ্ন উঠেছে, বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার জন্য নেতানিয়াহু সাময়িক সময়ের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা।

বর্তমান সরকারের এ বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিরদ্ধে একত্রিত হন ইসরায়েলে সব মানুষ। গত দুই দিন তাদের মধ্যে অভূতপূর্ব একতা দেখা যায়। সোমবার ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় ট্রেড ইউনিয়ন ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়। প্রধান বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দোকান, ব্যাংক এমনকি হাসপাতালের সেবা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। তাদের এক হওয়ার একটাই কারণ ছিল  প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে নতুন এ সংশোধনের পরিকল্পনা থেকে সরে যেতে বাধ্য করা। আগামী সপ্তাহে এটি সংসদে তোলার কথা ছিল তার।

ইসরায়েলের ইতিহাসে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে সবচেয়ে উগ্রডানপন্থি সরকার। ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের যে কমিটি বিচারক নিয়োগ দেয়, তাদের ওপর কর্তৃত্ব স্থাপনের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত সংস্কার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যদি এটি আইন হিসেবে পাস হতো তাহলে চাইলেই সুপ্রিম কোর্টের রায় বাতিল করে দিতে পারত সংসদ। এছাড়া আইনটি পাস হলে সুপ্রিম কোর্ট কখনো প্রধানমন্ত্রীকে আনফিট বলা অথবা ক্ষমতাচ্যুত করতে পারত না।

নেতানিয়াহু দাবি করেছিলেন, এ আইনটি হলে বিচারকদের ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ হতো। কিন্তু সমালোচকদের দাবি, নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এমন বিতর্কিত পরিকল্পনা করেছিলেন। এদিকে নেতানিয়াহু সোমবার এই আইন পাসের কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বিরোধীদল ও বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, এ পরিকল্পনা পুরোপুরি বাদ দিতে হবে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সরকারপ্রধান।

পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেই সঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ছাড়াও শিশু সমাবেশে অংশ নেবেন তারা।

অন্যদিকে, জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০) খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার ও সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

এছাড়াও আগামীকাল সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সভায় সভাপতিত্ব করবেন।


আরও খবর



মধ্যপ্রদেশে পিকআপ উল্টে নিহত ১৪, আহত ২১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরিতে একটি পিকআপ উল্টে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মারাত্মক এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২১ জন। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের বরাতে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের একটি দল একটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেবরি গ্রামে বাড়ি ফিরছিল। পথে ডিন্ডোরি জেলার বাডজার গ্রামের কাছে পিকআপের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা ও পুলিশ।

এদিকে দুর্ঘটনার পর মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব নিহতদের পরিবারকে চার লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে স্থানীয় প্রশাসনকেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



৪৫ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলিতে এস আলম সুগার মিলের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। বুধবার (০৬ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত এস আলম সুগার মিলের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, আগুন তেমন আর নেই। মাঝেমধ্যে ফুলকি দেখা যাচ্ছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।

এদিকে, চিনির কাঁচা রাসায়নিকের গলিত পোড়া বর্জ্য কারখানার ড্রেন দিয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলিতে। এতে করে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আর অপরিশোধিত চিনির ধোঁয়ায় উপস্থিত লোকজনের চোখ জ্বলছে, ছড়াচ্ছে গন্ধও।

কারখানার মূলফটক থেকে গুদাম পর্যন্ত পুরো রাস্তায় অপরিশোধিত চিনি গলে লালচে কালো কাদার মতো তরল ছড়িয়ে আছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটাচ্ছেন। আগুনের বিস্তার ঠেকাতে গুদামের মুখে দেওয়া হয়েছে বালি। গুদামের ছাদের বেশিরভাগ টিন কালো হয়ে বেঁকে গেছে। ধোঁয়া ছড়াচ্ছে আশপাশে। কারখানা এলাকার ভেতরের রাস্তায় জমা চিনি গলা আস্তরণ এস্কেভেটর দিয়ে সরানো হচ্ছে। অপরিশোধিত চিনির ধোঁয়ার তীব্রতায় উপস্থিত লোকজনের চোখ জ্বলছে। চিনি গলে যাওয়ার গন্ধও ছড়াচ্ছে। চিনির কাঁচামালের আগুনে পোড়া বর্জ্যগুলো কারখানার ড্রেন দিয়ে সোজা চলে যাচ্ছে কর্ণফুলি নদীতে। এতে করে নদী ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

এস আলম সুগার মিলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী জানান, কারখানার পুরো প্রসেসিং যন্ত্রপাতি এবং কারখানা নিরাপদ রয়েছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য গোডাউন থেকে কারখানার মূল প্ল্যান্টে আসার বেল্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সোমবার (০৪ মার্চ) বিকাল ৩টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ চিনিকলে আগুন লাগে। রমজান মাস ঘিরে বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করেছিল এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত এক লাখ মেট্রিক টন চিনি রাখা ছিল ওই চিনিকলে।


আরও খবর



স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান : শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

স্বাধীনতার এতদিনেও দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সে পথেই বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু নিরলস চেষ্টা করতে থাকেন। কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পেছনের দিকে হাঁটতে থাকে। সব ধরনের উন্নয়ন থমকে যায়। সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণা করার পরিবর্তে পশ্চাৎপদ হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন হওয়ার পর ফের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ফিরে এসেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে লাল-সবুজ পতাকার যে অভিষ্ট লক্ষ্য, তা পূরণ হওয়ার পথে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি পরপর ক্ষমতায় থাকার কারণে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে বড় ধরনের সফলতা এসেছে। এই সফলতা পূর্ণাঙ্গতা পাবে যদি আমরা সুশাসন দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি দমন করে আরও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারি। তবেই আমরা স্বাধীনতার পরিপূর্ণ সাফল্য পাবো।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারাই স্বাধীনতার ঘাটতি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের অর্জন আকাশসম। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যেতে পারছি। কিন্তু দুর্নীতি, অনিয়ম স্বমূলে উৎপাটন করতে পারিনি। স্বাধীনতার এত বছরেও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি স্বমূলে উৎপাটন করতে না পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে আমি মনে করি, কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

সুশাসনের স্বার্থেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। জনগণ যেন তার সব স্তরের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারে। এটিকে নিশ্চিত করা দরকার। কারণ মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল জনগণ তার পছন্দের ব্যক্তিকে প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই করতে পারবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক দুর্নীতিবাজের সাজা হচ্ছে। কিন্তু সুকৌশলে দুর্নীতির ফের বিস্তার ঘটছে। দুর্নীতি কমছে না এটিই আমাদের জাতি হিসেবে লজ্জার।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



কি প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন সাকিব, জানালেন মেজর হাফিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিনের বাসায় সাকিবের বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি পর্বের ছবি প্রকাশ্যে আসা নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।

আজ মঙ্গলবার বনানীতে নিজের বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

এ সময় হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই দেশে নানা ধরনের তৎপরতা শুরু হয়। আমি সমরিক বাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পরেও অনেক অবসরপ্রাপ্ত অফিসার, আমার সিনিয়র-জুনিয়র তাদের সঙ্গে আমার ওঠা বসা। তারা আমার বাসায় আসেন, আমি তাদের বাসায় যাই। এভাবে সেনাবাহিনীর পুরোনো সদস্য হিসেবে তাদের সঙ্গে আমার সখ্যতা গড়ে ওঠে। বিএনপির সঙ্গে মাঝে মাঝে আমার দ্বিমত থাকে। যা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পায়। অনেকেই মনে করেছে বিএনপি ত্যাগ করার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি। সরকারের পক্ষ থেকে যারা যোগাযোগ করেছে তাদেরকে আমি বলেছি, ৩২ বছর পর আমার পক্ষে দল ত্যাগ করা সম্ভব না। বয়স হয়েছে, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চাই।

বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক কিছু করা হয়েছে। যা আপনারা সবাই জানেন। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের পক্ষ থেকে এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা বিএনএম এ যোগ দিতে আমাকে অনেকবার অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত বন্ধুরা কয়েকবার আমার বাসায় এসেছেন। আমি প্রত্যেকবার বলেছি যে, না এ ধরনের কোন চিন্তা ভাবনা আমার মধ্যে নেই। আমি রাজি হয়নি।

তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাই সাকিব আল হাসানকে আমার কাছে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি দেশ সেরা ক্রিকেটার। বিশ্বখ্যাত অলরাউন্ডার। সাকিব আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করে। তাকে বিএনএম এর দুজন নেতা আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি বলেছি- রাজনীতি করা তোমার বিষয়। তুমি এখনো খেলাধুলা করছো, রাজনীতি করবে কিনা চিন্তাভাবনা করে দেখ। আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়। এ ঘটনা নির্বাচনের চার-পাঁচ মাস আগে হবে। যা হোক, যখন ক্ষমতাসীনদের চাপ বাড়তে লাগলো, এমনকি তৎকালিন তথ্যমন্ত্রী ঘোষণাই দিয়ে দিলেন হাফিজ সাহেব শীঘ্রই নতুন দল গঠন করবেন এবং নির্বাচনে যাবেন। তার পরের দিনই নির্বাচনের দুই মাস আগে আমি একটা সংবাদ সম্মেলন করি। সেখানে সবকিছুই বলেছি।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, সাকিব আল হাসান ও আমার একটি ছবি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্র নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশ করছে। আমি সামান্য ব্যক্তি। তারপরও ৩৭ বছর ধরে রাজনীতি করছি। দুইবার মন্ত্রী ও ৬ বার এমপি ছিলাম। ওইসব সংবাদে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা লক্ষ্য করছি। দলের নেতাকর্মীরাও এতে বিচলিত হন। জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতে এসব করা হয়েছে। আমি এমন কিছু করিনি যার জন্য লজ্জ্বিত হতে হবে।


আরও খবর