আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিমান বাহিনীর কমান্ড সেফটি সেমিনার ২০২৩ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কমান্ড সেফটি সেমিনার- ২০২৩ ফ্যালকন হল, ঢাকা সেনানিবাসে ২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি সেমিনারে চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত থেকে ফ্লাইট সেফটি ট্রফি বিতরণ করেন।

বিমান বাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং ২০২২ সালে উল্লেখযোগ্য ২৪,২৯৪ নিরাপদ উড্ডয়ন ঘন্টা অর্জন করায় বিমান বাহিনীর সকল সদস্যদের প্রশংসা করেন। বিমান বাহিনী প্রধান বলেন, অপারেশনাল উড্ডয়ন কার্যক্রমে বছরটি পরিপূর্ণ ছিল। তিনি জাতিসংঘে নিয়োজিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সমস্ত কর্মকর্তা, সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে তাদের কার্যক্রম পালন করার জন্য প্রশংসা করেন। তিনি মাতৃভূমি রক্ষায় বিমান বাহিনী সদস্যদের সদা প্রস্তুত থাকার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি বিগত বছরে অনুষ্ঠিত পদ্মাসেতু উদ্বোধনী ফ্লাইপাস্ট, বিমান বাহিনীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী দিবস উদ্যাপন, প্রেসিডেন্ট প্যারেড, কিলো ফ্লাইটের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গ্রæপ ক্যাপ্টেন (অবঃ) শামছুল আলম, বীরউত্তম এর ফিউনারেল প্যারেড ফরমেশন ফ্লাইপাস্ট এবং বিজয় দিবস ফ্লাইপাস্ট সফলভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রশংসা করেন। তিনি বছরজুড়ে সংঘঠিত বিমান মহড়া, সরকার ও সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে বহুবিধ অপারেশনাল কার্যক্রম নিরাপদ ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আফগানিস্তানের কাবুলে মানবিক সাপোর্ট মিশন পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা অর্জনের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। অতি সম্প্রতি তুরষ্ক এবং সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিমান বাহিনীর ভয়সী প্রশংসা করেন।

অবশেষে তিনি উড্ডয়ন নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অভিজ্ঞতা, পেশাদারিত্বের এবং সহযোগীতার সংমিশ্রণের সুযোগ তৈরী করার জন্য কমান্ড সেফটি সেমিনার-২০২৩ এর মহৎ উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানান। ভবিষ্যৎ উড্ডয়ন নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে তিনি উপস্থিত সকল এয়ারক্রু, টেকনিশিয়ান, কন্ট্রোলারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিবিড় তত্ত¡াবধান বাড়ানোর পাশাপাশি অতীত অভিজ্ঞতালব্ধ ব্যবহারিক জ্ঞানের সফল প্রয়োগ ও উড্ডয়ন নিরাপত্তা প্রক্রিয়াসমূহ কঠোরভাবে অনুসরণের আহবান জানান। উল্লেখ্য যে, পরিচালক, উড্ডয়ন নিরাপত্তা পরিদপ্তর, প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০২২ সালের বিমান বাহিনীর উড্ডয়ন সংক্রান্ত সকল অর্জন ও ঘটনার পর্যালোচনা উপস্থিত সকলের মাঝে তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারকে আন্তঃ ঘাঁটি ফ্লাইট সেফটি ট্রফি এবং ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টরস্ স্কুল (এফআইএস) কে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ নিরাপদ উড্ডয়ন ঘন্টা অর্জনের জন্য আন্তঃ বহর খাদেমুল বাশার ফ্লাইট সেফটি ট্রফি প্রদান করা হয়। এছাড়াও ১, ৩, ৮, ৯, ১৮, ২৫, ৩১ ও ৩৫ নং বহর, ১০১ এসএফইউ, ১০৩ এটিটিইউ, ১০৫ এজেটিইউ, এফআইএস, ইঅঘটঅট, ইঅঘঅগটঐট কে এক্সিডেন্ট ফ্রি ইয়ার এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। প্রথমবারের মত এ বছর সেরা বিমান প্রকৌশল বহর হিসেবে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার এর বিমান প্রকৌশল বহরকে গ্রাউন্ড এবং ফ্লাইট সেফটি ট্রফি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিমান সদর ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটিসমূহের মনোনীত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিমানসেনাগণ উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য সদস্যগণ ভিডিও টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

 


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সকল মাংসের দোকান বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

টানা তিন দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারিভাবে মাংসের দাম নির্ধারণ করায় এই কর্মসূচি পালন করছে তারা। এর আগে গত সোমবার সকালে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

সরেজমিনে বুধবার সকালে শহরের আনন্দবাজার, মেড্ডা বাজার, ফারুকী বাজার, বর্ডার বাজার, কাউতলী বাজার ও বউ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সব মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে। সেখানে মাংস ক্রয় করতে এসে কাঙ্ক্ষিত মাংস না পেয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাদের দাবি, আগের ৭৫০ টাকা প্রতি কেজি মাংসের মূল্যে বহাল রাখার। এই দাবি পূরণ করা না হলে মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এ দিকে পবিত্র মাহে রমজান মাসে বাজারে এসে কাঙ্ক্ষিত গরুর মাংস কিনতে না পেরে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মাংস ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন ও শামীম জানান, আমরা জনগনের চাহিদা ও ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই মাংস বিক্রি করে থাকি। সরকার আমাদের যে বাজার দর দিয়েছে ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা দর। এই দরে মাংস বিক্রি করে আমাদের ব্যবসার লোকশান হবে। তাই আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা খামারী এবং ব্যাপারি থেকে গরু কিনে থাকে, তারা চামড়াসহ গরু কিনে বাজারে জবাই করে থাকেন। এতে ৭২০ টাকার মতো প্রতি কেজিতে দাম পড়ে। এ অবস্থায় সরকার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে। তা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অবশ্যই দাম সমন্বয় করতে হবে। কারণ খামারে গরুর দাম কমাতে হবে। দাম পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এই মাংসের বাজার বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের উপায় নেই।

মাংস ক্রয় করতে আসা ক্রেতা মো. সায়েম জানান, গত তিনদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাজারে মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে আমরা জনগণ খুব বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। রমজান মাস হওয়ায় হুজুরদের দাওয়াত করতে হয়, মাংসেরও প্রয়োজন হয়। আমরা এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানাই।

ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, মাংসের বাজারে অস্থিরতা ও চলমান সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

বৈঠকে জেলা প্রশাসক সরকার নির্ধারিত মূল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে এইটুকুই বলতে পারি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেউ বেশি মূল্যে বিক্রি করলে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ীকে বাজারে সুবিধা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যা জানালেন রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির আগের সিদ্ধান্ত (অংশগ্রহণ না করা) বহাল আছে। সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা আমরা আগেই পরিষ্কার করেছি। সবকিছু আমরা বলেছি। ওই সিদ্ধান্তটাই এখনো বহাল আছে। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগেই সিদ্ধান্ত বহাল আছে। ওটা তো নাকচ হয়নি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতারা জনগণকে প্রতারিত করে ভাঁওতাবাজির মাধ্যমে মানসিক আশ্রয় খুঁজছেন। এরা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি লুটপাটসহ মানুষের সহায়-সম্পদ আত্মসাৎ করে গণতন্ত্রকে কবর দিচ্ছে। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সরাসরি জনগণকে প্রতারিত করেছে। নিখুঁত ধূর্ততায় জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে বিরতিহীন ডাহা মিথ্যার আবর্তে জনগণকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

রিজভী বলেন, দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জনগণের পকেট কাটার কারণে এখন দেশে হাহাকার পড়েছে। অনাহার-অর্ধাহারে ক্ষুধার্ত মানুষ এবারের ঈদে চরম দুর্দশার মাঝে দিন কাটিয়েছে। বাজারে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতির কারণে ভাত-তরকারী যোগাড় করা যেখানে কষ্টকর সেখানে ঈদের পোশাক কিনবে কিভাবে?

রুহুল কবির বলেন, আওয়ামী নেতাদের অনেকেই বলেছেন, দেশে বিত্তশালীদের সংখ্যা বেড়েছে, যারা মূলত বেনজীর শ্রেণির। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই বিত্তশালী কারা? এই বিত্তশালী শ্রেণি হচ্ছে বেনজীর (পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ) শ্রেণি। যারা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম, খুন করে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। এছাড়া মেগা প্রজেক্ট ও অবাধে ব্যাংক লুটের কথা এখন কল্পকাহিনীতে পরিণত হয়েছে, যা অতি বাস্তব। এটা বাস্তব সত্য যে, দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতার উপরের দিকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। অত্যাচারী শাসকের পদতলে পিষ্ট আজ বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, বিএনপি নেতা আনোয়ার পারভেজ বাদল এবং সাঈদ হোসেন সোহেল জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তাদের মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হল উন্নত নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার সাথে সাংবাদিক শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা। আর্টিকেল ১৯ (বাংলাদেশ ও সাউথ এশিয়া) এর টোটেম প্রকল্পের আওতায় নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজন করা হয় এই কর্মশালাটি।

কর্মশালায় চট্রগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন সনামধন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন টোটিমের আইটি কনসালটেন্ট তাওফিক আহমেদের সঞ্চালনা ও উপস্থাপনায় প্রোগ্রামটি পরিচালনা করেন আর্টিকেল ১৯ এর কনসালটেন্ট নাসরিন জেবিন, প্রোগ্রাম অফিসার উজমা মাসিয়াত।

অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের ডিভাইস নিরাপত্তা কি, ডিজিটাল ঝুঁকি বুঝতে পারা এবং সুরক্ষিত থাকার কৌশল, ম্যালওয়্যার, চুরি-বিরোধী প্রযুক্তি, নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপসের ব্যবহার, ডিভাইসের সুরক্ষিত নিবন্ধন, ইন্টারনেটের শারীরিক গঠন, মেটা ডেটা, এনক্রিপশন, ভিপিএন বরফ ভাঙা এবং নেটওয়ার্কিং, মোবাইল এবং যোগাযোগ পরিকাঠামো, পাসওয়ার্ড, 2FA, এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সহ বিভিন্ন বিষয়ের সামগ্রিক বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন প্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্ব যেমন আমাদের হাতের মুঠোয় আবার তেমনি সঠিক ব্যবহার না জানলে ও না বুঝলে জীবন হয়ে উঠতে পারে বিপর্যস্ত। তাই আমাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা অত্যাবশকীয়।

এছাড়াও অনুষ্ঠান শেষে টোটেম কতৃপক্ষ পরবর্তীতে আরও ব্যাপকভাবে তাদের কর্মশালা আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



সুন্দরবনে হরিণ ও শূকরের ৪০ কেজি মাংসসহ শিকারী আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবন থেকে ইয়াসিন হাওলাদার নামে এক হরিণ শিকারীকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। তাঁর কাছ থেকে ২০ কেজি হরিণ ও ২০ কেজি শূকরের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ নাইলনের দড়ির ফাঁদ ও হরিণ শিকারের অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক এই চোরা শিকারীরর বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটার চরদোয়ানি এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে। আটক শিকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরর পর বুধবার সকালে বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে করাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান জানান, পাথরঘাটার চরদুয়ানি এলাকার একটি চোরা শিকারী দল চরখালীর গহীন বনে হরিণ শিকারে লিপ্ত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরখালী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে চরদুয়ানি এলাকার আলম হাওলাদারের ছেলে ইয়াসিনকে আটক করেন।

এসিএফ আরও জানান, বনরক্ষীদের টের পেয়ে শিকারী দলের আরো চার সদস্য পালিয়ে যায়। তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। আটক শিকারীর নৌকা তল্লাশি করে ২০ কেজি হরিণ ও ২০ কেজি শূকরের মাংস এবং এক বস্তা ফাঁদ পাওয়া। শিকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক শিকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে। চোরা শিকারীরা শূকরের মাংস হরিণের মাংসের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শুরু মহা-সাংগ্রাই উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পাহাড়ে তিন সম্প্রদায়ের বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। জেলায় বসবাসরত ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। এর মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে আজ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালিরাও। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসি।

এ সময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছুই আছে। তাই পরিবেশ এর প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।

পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়।

আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সাঙ্গু নদীর তীরে বৌদ্ধমূর্তি স্নান এবং সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় রাজার মাঠে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই হচ্ছে এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।

নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৬ এপিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ৪ দিনের এই সাংগ্রাই উৎসবের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমূখ।


আরও খবর