অমর একুশে বইমেলায় সপ্তাহে দুইদিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়কে শিশুপ্রহর ঘোষণা করেছে বাংলা একাডেমি। এ সময়টা খুদে পাঠকদের মেলাপ্রাঙ্গণে বই কেনার সঙ্গে নেচে-গেয়ে আনন্দ করার।
এ জন্যই গত কয়েক বছর ধরেই মেলা কর্তৃপক্ষ শিশুদের আনন্দ দিতে প্রতি শুক্র-শনিবার সকালে সুযোগ করে দেন বিটিভির শিশুতোষ বিষয়ক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘সিসিমপুর লাইভ শো’ দেখার। এবারের মেলার প্রথম ছুটির দিনেই দেখা মিলল টুকটুকি, হালুম, শিকু, ইকরিদের।
শিশুপ্রহর উপলক্ষে বেলা ১১টায় খোলা হয় মেলার গেট। এরপরই মা-বাবার হাত ধরে আনন্দ করতে করতে মেলাপ্রাঙ্গণে প্রবেশ করে শিশুরা। মেলার গেট খোলার কিছুক্ষণ পরই শিশুচত্বরে একে একে হাজির হয় সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্র টুকটুকি, হালুম, শিকু, ইকরি। বেজে ওঠে ‘চলছে গাড়ি সিসিমপুরে, চলছে গাড়ি সিসিমপুরে।’
টেলিভিশনের পর্দায় দেখা প্রিয় সিসিমপুর সরাসরি দেখার সুযোগ কেইবা হাত ছাড়া করতে চায়। তাইতো শিশুরা বাবা-মার সঙ্গে মেলাপ্রাঙ্গণে ছুটে আসে। বাবা-মার সঙ্গে মেলা আসা ৮ বছরে শিশু সিনথিয়া বলেন, আমি সিসিমপুর খুব পছন্দ করি। টুকটুকি, হালুম, শিকু, ইকরি দেখতে খুব মজা পাই। তাই আব্বু আমাকে নিয়ে এসেছে। অনেক আনন্দ লাগছে।
মায়ের সঙ্গে আসা জান্নাত অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমি প্রতি বছর আম্মুর সঙ্গে মেলায় আসি এই সিসিমপুর দেখার জন্য। নিজের চোখে দেখতে অনেক ভালো লাগে। টিভিতে এই অনুষ্ঠান সবসময় দেখি। আজ কিছু বইও কিনব।
সিসিমপুরের উদ্বোধন ঘোষণা করে শিশুদের উদ্দেশে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বলেন, শিশুদেরকে জন্মের পর থেকেই শব্দ শেখাতে হবে। বাঙালি শিশু জন্মের পর বাংলা শব্দ শিখবে, ইংরেজ শিশু ইংরেজি শব্দ শিখবে এবং আরব শিশু আরবি শব্দ শিখবে। সিসিমপুর কিন্তু কোন বিশেষ ভাষার শব্দ নয়। সারা পৃথিবীর ভাষার একটি শব্দ। সিসিম হচ্ছে একটি গুহা। এই গুহাতে যদি তোমরা ঢোকো তাহলে দেখতে পাবে, সারা পৃথিবীর জ্ঞান ভাণ্ডার তোমার সামনে উন্মুক্ত হবে। শিশুরাই এই গুহায় ভালোবাসে। গুহার ভেতরে যে নতুন জিনিস আছে, রহস্য আছে, সেটা তারা বের করতে চাই। এই বইমেলা সারা পৃথিবীর রহস্যের একটি গুহা বিশেষ।