আজঃ শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

বইমেলায় একদিনে ১২১ নতুন বই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | ৩৬০জন দেখেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক


Image

অমর একুশে বইমেলার ষষ্ঠদিনে নতুন বই এসেছে ১২১টি। মেলার বিভিন্ন স্টলে পাওয়া যাচ্ছে এসব বই। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ষষ্ঠদিনে আসা ১২১ নতুন বইয়ের মধ্যে গল্পের ১৬টি, উপন্যাস ২৪টি, প্রবন্ধ পাঁচটি, কবিতা ৩২টি, গবেষণা একটি, ছড়া দুটি, শিশুসাহিত্য তিনটি, জীবনী আটটি, রচনাবলি দুটি, মুক্তিযুদ্ধ তিনটি, ভ্রমণবিষয়ক দুটি বই রয়েছে।

এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ: কাজী রোজী এবং স্মরণ: দিলারা হাশেম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসির আহমেদ ও তপন রায়। আলোচনায় অংশ নেন আসলাম সানী, শাহেদ কায়েস, আনিসুর রহমান ও শাহনাজ মুন্নী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অসীম সাহা। প্রাবন্ধিকেরা বলেন, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, গল্পকার কাজী রোজী আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের এক প্রগতিশীল সাহসী নারী। সদা প্রাণোচ্ছল এক লড়াকু জীবনযোদ্ধা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সব প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মুখসারির কর্মী ছিলেন তিনি।

অপরদিকে, বাংলাদেশের খ্যাতিমান ঔপন্যাসিকদের মধ্যে দিলারা হাশেম একটি বিশিষ্ট নাম। ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, কবি, অনুবাদক, সংবাদ পরিবেশক, সংগীতশিল্পী ইত্যাদি নানা অভিধায় তাকে অভিহিত করা যায়। তিনি মূলত নগরজীবন ও বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত সমাজের সুখ-দুঃখ, স্বপ্ন-সাধ, ভালোবাসা, হতাশ ও জীবনের বাস্তবতা তার সাহিত্যে তুলে এনেছেন।

আলোচকেরা বলেন, কবি কাজী রোজী বাংলা সাহিত্যজগতে যেমন তার প্রতিভার নজির রেখেছেন, তেমনি বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। শুধু সাহিত্যই নয়, কাজী রোজী আমাদের সামনে সাহসী জীবনের আদর্শও রেখে গেছেন। অন্যদিকে, স্বাধীনতা আগে ও পরে বাংলাসাহিত্য জগতে অক্ষয় এক নাম দিলারা হাশেম। তার সাহিত্যের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো নারীর দৃষ্টি দিয়ে তিনি ব্যক্তি ও সমাজকে দেখেছেন। নারীর সামাজিক অবস্থান ও পরিবেশ, লড়াই-সংগ্রাম-লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, অবমাননা প্রভৃতি তার লেখায় মূর্ত হয়ে উঠেছে।

সভাপতির বক্তব্যে অসীম সাহা বলেন, জীবনের নানা উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে কাজী রোজী যে নিরন্তর সংগ্রাম চালিছেন, তাতে তিনি সফল হয়েছেন। জীবনের অন্তর্গত রহস্য ও নিম্ন শ্রেণির মানুষের সংগ্রাম দিলারা হাশেমের সাহিত্যকর্মে ওঠে এসেছে। আমাদের উচিত যথাসময়ে তাদের মতোগুণী মানুষের কাজের স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদর্শন।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মোজাম্মেল হক নিয়োগী, রহীম শাহ, সত্যজিৎ রায় মজুমদার ও তুষার কবির। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মাহবুব সাদিক, ফারুক মাহমুদ এবং আতাহার খান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, মাহিদুল ইসলাম এবং অনন্যা লাবণী। এছাড়া ছিল সাইমন জাকারিয়ার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ভাবনগর ফাউনেডশনের পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আজগর আলীম, আবুবকর সিদ্দিক, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, রহিমা খাতুন ও শান্তা সরকার। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন আব্দুল আজিজ (তবলা), ডালিম কুমার বড়ুয়া (কী-বোর্ড), অরূপ কুমাল শীল (দোতারা) ও মো. শহিদুল ইসলাম (বাঁশি)।

নিউজ ট্যাগ: একুশে বইমেলা

আরও খবর