কান পাতলেই সমালোচনা
শুনতে পান তিনি। কিন্তু সেসবের জবাব দেওয়ার অস্ত্র একটিই-ব্যাট হাতে রান করা।
এবারের বিপিএলে
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হেসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট। আসর শেষ করেছেন সর্বোচ্চ
রানসংগ্রাহক হিসেবে। শেষটা যদিও প্রত্যাশা অনুযায়ী করতে পারেননি। কেননা তার দল সিলেট
স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাই মলিন
মুখেই টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কারটা নিতে হলো শান্তকে। পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ টাকা
পেয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এছাড়া সেরা ব্যাটার হিসেবেও পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
বিপিএলে এর আগে
কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারই ছুঁতে পারেননি ৫০০ রানের মাইলফলক। শান্তর হাত ধরে ঘুচল সেই
দুঃখ। ফাইনালে ৪৫ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে এই
কীর্তি গড়েন তিনি। ১৫ ম্যাচে ৪ ফিফটিসহ
৫১৬ রান করে সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে বাঁহাতি এই ওপেনার। এর আগে বাংলাদেশিদের
মধ্যে এক আসরে সর্বোচ্চ রান ছিল মুশফিকুর রহিমের। ২০১৯-২০ আসরে খুলনা টাইগার্সের হয়ে
৪৯১ রান করেছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে বিপিএলে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি রাইলি রুশোর
দখলে। ২০১৮-১৯ আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৫৫৮ রান করেছিলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার।
তৃতীয় বাংলাদেশি
হিসেবে বিপিএলে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতলেন শান্ত। এর আগে সাকিব আল হাসান চারবার
ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জিতেছেন একবার করে। পুরস্কার নিয়ে শান্ত বলেন, 'দল খুবই ভালো
খেলেছে কিন্তু আজ আমাদের দিন ছিল না। টুর্নামেন্ট জুড়ে আমরা খুবই ভালো খেলেছি। চেষ্টা
করেছি প্রতি ম্যাচে রান করার এবং সৌভাগ্যবশত এই টুর্নামেন্টে ভালো করেছি আমি। '
ফাইনাল-সেরা অনুমিতভাবেই
জনসন চার্লস। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন এই ক্যারিবিয়ান। তার
৫২ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৯ রানের হার না মানা ইনিংসে ৪ বল হাতে রেখেই জয় পায় কুমিল্লা।
১২ ম্যাচে ১৭ উইকেট আসরের সেরা বোলার হয়েছেন
তানভীর ইসলাম। পুরস্কার হিসেবে ৫ লাখ টাকা পেয়েছেন কুমিল্লার বাঁহাতি এই স্পিনার। সেরা
ফিল্ডার হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। উইকেটের পেছনে ১১টি ডিসমিসাল করেন সিলেটের এই ক্রিকেটার।