উজানে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
আজ শুক্রবার লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, আজ সকাল ছয়টা থেকে লালমনিরহাটে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে চর ও নদী অববাহিকার গ্রামগুলো।
গতকাল রাত নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিস্তার পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসা বন্ধ হওয়ায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করলেও ভাটিতে বাড়ছে তিস্তার পানি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার বেডে পলি ও বালু জমে ভরাট হওয়ায় অল্প পানিতে নদী অববাহিকা প্লাবিত হয়ে থাকে। এতে চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে তিস্তার পানি ঢুকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
উজানে পানির চাপ থাকায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটের সবগুলো খোলা রাখা হয়েছে। উজান থেকে পানি আসলেই তিস্তার পানি বেড়ে গিয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে থাকে। কোনো বৃষ্টিপাত না থাকায় আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তার পানি কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাতে তিস্তায় আকস্মিক পানি বেড়ে যাওয়ায় আমার ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। পানিবন্দি হয়েছেন দুই হাজারের বেশি মানুষ। চর ও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর রাস্তা-ঘাট ও ফসলের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।’