আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম
নেই স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পণ্য

বিসিক মেলায় টাকা ছাড়া মেলেনা স্টল, মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক, ঠাকুরগাঁও

Image

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের হাতের নকশা জরি-পুথি বসানো কাপড় পাটজাতসহ নানান রকম পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের প্রসার করাতে জেলা স্কুল বড়মাঠে মেলার আয়োজন করে ঠাকুরগাঁওয়ের শিল্প সহায়ক কেন্দ্র বিসিক। কিন্তু স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রসারে বিসিকের যে আয়োজন, সেই ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মেলায় স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রদর্শন নেই।

শনিবার (মার্চ) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে (জেলা স্কুল বড়মাঠ) শুরু হয় বিসিক আয়োজিত দশ দিনব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মেলা।এ মেলা চলবে আগামী ২০মার্চ পর্যন্ত। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান। মেলা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন।

জেলার পাঁচ উপজেলার বেশকিছু উদ্যোক্তা তাদের উৎপাদিত বাহারি পোশাক প্রসাধনী ও পণ্য নজর কারা কালেকশন বিক্রয়ে এবং ক্রেতার সাথে  সমন্বয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে স্টল বরাদ্দ নেন। তবে ২,০০০ হাজার থেকে ৬,০০০ টাকায় স্টল বরাদ্দের কারণেই অনেকেই মেলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অর্থের বিনিময়ে ব্যবসায়ীরা স্টল বরাদ্দ নিয়ে বাজারের রকমারি পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছেন মেলায় আসা দর্শনার্থীদের কাছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তারা। দাবী তুলেছেন সহযোগিতার।

গতকাল বিকেলে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, দর্শক-ক্রেতাদের স্বাগত জানাতে তৈরি করা হয়েছে তোরণ। মাঠের চারদিক ঘিরে রয়েছে সারি সারি অর্ধশত স্টল। স্টলে রয়েছে চারটি তৈরি পোশাক, অঙ্গসজ্জা ও গৃহস্থালির পণ্য, গহনা, মেয়েদের ব্যাগ, খেলনা, আচার ও খাবারের পণ্য। কোনো কোনো স্টল এখনো ফাঁকা রয়েছে। স্টলগুলোতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পণ্য বলতে অনন্যা হস্তশিল্পের তৈরি পোশাক ও খাবার, পাটের ব্যাগ ছাড়া তেমন কোনো পণ্য দেখা যায়নি।

উদ্যোক্তা সুবর্ণ আর্ক বলেন, আমাদের জন্য একটা স্টলে ৬,০০০ টাকা ফি দিয়ে নেওয়া এবং একটি পণ্য বিক্রি করে লাভ উঠানো খুবই কস্টসাধ্য। আরেক উদ্যোক্তা প্রিয়াংকা বলেন, আমাদের দেশীয় পণ্য গুলো হাতের কাজের পণ্যগুলো মেলায় তুলে ধরেছি। আবার অনেকেই এসে ক্রয়ও করছেন। তাদের কাছে আমাদের পণ্যগুলো তুলে ধরতে পাছি বলে খুবই ভালো লাগছে। সোহেল খান নামে আরেক উদ্যোক্তা বলেন, বিসিক বা সরকারী কোন সহযোগিতা পেলে আমরা আরো কর্মসংস্থান বাড়াতে পারবো।

মাহাবুব হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, এসব মেলা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বিপণনে সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু বিসিক আয়োজিত এ মেলায় স্থানীয় উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য না থাকায় তাঁরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

মজিবর রহমান খান নামে এক দর্শনার্থী জানায়, বিসিকের মেলায় ঢাকার পণ্য দেখছি। বাণিজ্য মেলা আর এ মেলার মধ্যে আমি কোন তফাৎ খুঁজে পাচ্ছি না।

আদায়কৃত অর্থ বিসিক প্রধান কার্যালয় প্রদানের কারণেই অর্থের বিনিমের স্টল বরাদ্দের কথা স্বীকার করলেন ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপন নুরেল হক। তিনি জানান, বিসিকের অর্থায়নে মেলাটি হচ্ছে। আমাদের নির্দেশনায় আছে ফি নিয়ে আবার ফি টা প্রেরণ করতে হবে। যারা বিসিক থেকে নিবন্ধিত তারা ৪,৫০০ হাজার টাকা আর অনিবন্ধিত তাদের জন্য ৬,০০০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করার জন্য আমরা ফি টা কমিয়ে দিয়েছি।

ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মেলবন্ধনেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহাবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এ মেলার মাধ্যমে নিজেকে চেনানো এবং তার যে ক্রেতা তাকে চেনানো। ক্রেতা এবং বিক্রেতা যে মেইলবন্ধনের জায়গাটা সেটি তৈরী করা মূলত এ উদ্যোক্তা মেলার কাজ।

সরকার আরো দশ বছর সময় পেলে ব্যবসা-বানিজ্যের প্রসারে পূর্ণতা পাবে বলে মনে করেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। তিনি বলেন, আমাদের সরকার উন্নায়নের সরকার। আর যদি দশটি বছর জনগণ আমাদের দেয় আমি লিখিত দিচ্ছি বাংলাদেশ উন্নত দেশের মধ্যে এক নম্বরে আসবে। আমাদের ফসল উৎপাদক করতে সময় লাগে না। গাছ লাগাতে সময় লাগে না। দু'তিন বছরের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। এটা পৃথিবীর কোথাও নেই।


আরও খবর



সাতকানিয়ায় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম)

Image

সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপলক্ষে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা হলরুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব সিআইপি।

বক্তব্যে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ হলো সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের মূল চালিকা শক্তি। আমরা যারা জনপ্রতিনিধিগন দায়িত্ব পালন করছি, আমাদের প্রায় বরাদ্দ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। স্থানীয় সরকার দিবস পালন করার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলের মধ্যে একদিকে যেমন উৎসাহ তৈরি হবে অন্যদিকে কর্মস্পৃহা এবং দায়িত্ববোধ আরো বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান সরকারের আমলে যে সকল মেগা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে তা অতীতের কোন সরকার করতে পারে নাই। শেখ হাসিনা সরকার যদি ক্ষমতায় না থাকতো, করোনা এবং ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারনে উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে হিমসিম খেতে হতো আমাদের প্রিয় এই স্বদেশকে। হয়তো এতোদিনে দেউলিয়া ঘোষণা করতে হতো। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই ধারাবাহিক উন্নয়নের যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নৌকায় ভোট প্রদান করতে হবে।

উপজেলা প্রশাসনের সহকারী প্রোগ্রামার আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা বেগম, উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ সরোয়ার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাতকানিয়া থানা) ইয়াসির আরাফাত, ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দীন, আবু সালেহ, ওসমান আলী, আনম সেলিম উদ্দীন, মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রমুখ।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর গফুর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক নবাব মিয়া রকিব, পৌরসভা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোঃ ইদ্রীস, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইমরান, এসএন নুর রুবেল, সম্পা দেবী সোমা প্রমুখ।

উক্ত দিবস উপলক্ষে সকালে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে শুরু হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেষ হয়।

এছাড়া উপজেলা প্রশাসন তিন দিনব্যাপী জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলার আয়োজন করে। মেলায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন সকল অফিস ও প্রতিষ্ঠান সরকারের বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরবে। মেলায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান জনগণকে প্রদেয় সেবাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মেলায় যাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করে, সে জন্য উপজেলা কমিটি মেলাকে আকর্ষণীয়, উপভোগ্য করার কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর



জ্বরে ভুগছেন লিটন, যারা থাকছেন তার বিকল্প!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

এশিয়া কাপের পর্দা উঠবে ৩০ আগস্ট, পরের দিনই মিশন শুরু হবে বাংলাদেশ দলের। সে লক্ষ্যে রোববার (২৭ আগস্ট) শ্রীলঙ্কায় উড়াল দেয় টাইগাররা। অবশ্য বাংলাদেশ দলের সেই বহরে যাননি সহ-অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। জ্বরের কারণে যেতে পারেননি এই ওপেনার।

জ্বরে আক্রান্ত লিটন বর্তমানে নিজের বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। তার সবশেষ পরিস্থিতি জানতে রোববার ডেঙ্গু টেস্ট করানো হয়েছিল। তাতে অবশ্য স্বস্তির খবরই পেয়েছে বাংলাদেশ। ডেঙ্গু পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে লিটনের।

সোমবার (২৮ আগস্ট) দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা ছিল লিটনের। কিন্তু এখনো জ্বর থেকে সেরে না ওঠায় দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি তিনি। ৩১ তারিখ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে টাইগাররা । লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচসহ গ্রুপ পর্বে লিটনের খেলা নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে তারকা এই ক্রিকেটারের শারীরিক অবস্থার ওপর।

আরও পড়ুন>> এশিয়া কাপের খেলা কখন কোথায় শুরু

এদিকে, শারীরিকভাবে এখনও সুস্থ না হওয়ায় লিটনের বিকল্পও ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে। লিটনের বিকল্প হিসেবে সাইফ হাসানকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তিনিও ডেঙ্গু জ্বরে ভুগছেন। ফলে, সাইফ হাসানকেও পাচ্ছে না বিসিবি।

লিটন আর সাইফের অনুপস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন জাকির হাসান। লিস্ট ক্রিকেটে ১০৩ ম্যাচে ১৮ অর্ধশতক আর ৩ শতকে ২ হাজার ৬৬৩ রান করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত যদি লিটন-সাইফের কেউ দলে সঙ্গে যোগ দিতে না পারেন তাহলে হয়তো জাকির হাসানকে যুক্ত করা হবে এশিয়া কাপের দলে।


আরও খবর



দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আল-আমিন নামে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় আফ্রিকার ক্লাসডর্পের সেবকেঙ্গ হাসপাতালে চিকিৎসাধানী অবস্থায় মারা যায় আল-আমিন। আল-আমিন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কাদিপুর গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে।

আরও পড়ুন>> দেশের ১৯ জেলায় তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস

নিহতের মামা কামাল মুন্না জানান, এসএসসি পাশ করে গেল ৩ মাস পূর্বে আফ্রিকায় বড় ভাই সুমনের কাছে পাড়ি জমিয়েছিলেন আল-আমিন। বড় ভাইয়ের সাথেই থাকতেন তিনি। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নর্থওয়েস্ট প্রদেশের ক্রিস্টিয়ানা শহরের একটি দোকানে শুরু করে কর্মজীবন। কয়েকদিন পূর্বে ওই দোকানে হানা দেয় একদল সন্ত্রাসী। এ সময় আল-আমিন কাউন্টারের দিকে অগ্রসর হলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লাসডর্পের সেবকেঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আল-আমিন।


আরও খবর



টানা বর্ষণে ঢাবির দুই হলে জলাবদ্ধতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ও শহীদ শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাসের নিচতলা। এতে বেশ বিপাকেই পড়েছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে হলের নিচতলায় পানি উঠে এই জলাবদ্ধতা ও ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এদিকে বিদ্যুৎতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হওয়ায় রাত ১২টা থেকে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় সময় পার করছেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগের দিনেও হল প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের পাশে না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি জানতে হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক ও দায়িত্বরত শিক্ষককে সাংবাদিকরা ফোন দিলে কথা বলতে রাজি হননি তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ৯টার পর থেকে হলের ভেতরে পানি প্রবেশ শুরু হয়। হলগেটে হাঁটু সমান পানি জমেছে। রাত ১১টায় হলের নিচতলার গণরুমগুলোতে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে ওপরের তলায় বন্ধু বা সিনিয়রদের রুমে অবস্থান নেন। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।

এদিকে টানা বর্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনেক এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত রোড, শাহনেওয়াজ হোস্টেল, নিউমার্কেট এলাকা হাঁটু সমান এবং স্থান ভেদে কোমর পর্যন্ত পানি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে কুয়েত মৈত্রী হল তুলনামূলক নিচু অবস্থানে হওয়ায় বেশি দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, নিচতলায় সব রুমে পানি ঢুকে গেছে, অফিসরুমেও পানি ঢুকে গেছে, প্রায় হাঁটু সমান পানি, ওয়াশরুমগুলো ডুবে যাওয়ায় নোংরা পানি মিশে গেছে, হলের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ব্লাস্ট হয়ে আগুন লাগায় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করা হয়েছে, এখন হলে বিদ্যুৎ নেই।

ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী লিমা আক্তার বলেন, আমাদের এমন জরুরি অবস্থা মাথায় রেখে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি কেন নেয়নি প্রশাসন? এই রাতে মেয়েগুলো তাদের জিনিসপত্রসহ কোথায় যাবে? সন্ধ্যা থেকে যখন পানি বাড়তে শুরু করে তখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাত ১১টার দিকে পানি রুমে প্রবেশ করে। এখন আমরা ওপরের তলায় অবস্থান করছি।

ওয়াজিহা জাহান জুঁই নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্টে বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কুয়েত মৈত্রী হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে নিচতলা ডুবে গেছে। পানি সিঁড়ির নিচ পর্যন্ত চলে এসেছে। গণরুমে পানি ঢুকে গেছে। হলের মুদি দোকানের ফ্রিজে পানি ঢুকে ব্লাস্ট করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ। এ সময় তিনি গণরুমের শিক্ষার্থীদের তার নিজের রুমে আসার অনুরোধ করেন।

সার্বিক পরিস্থিতি জানতে হলের প্রাধ্যক্ষ ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের ফোন দেওয়া হলেও তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



বর্ণিল আয়োজনে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবিচল থেকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আজকের দর্পণের ১০তম বর্ষে পদার্পণ উদযাপিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ছিল আজকের দর্পণের ৯ম জন্মদিন। এদিন রাজধানীর তোপখানা রোড় আজকের দর্পণের প্রধান কার্যালয়ে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান।

এ দিন দুপুর ১২টায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আজকের দর্পণের জন্মদিন উদযাপনের অনুষ্ঠানমালা।

কেক কাটেন আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাতা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পাদ মন্ত্রী শ রেজাউল করিম এমপি, মন্ত্রীর একান্ত সচিব (যুগ্মসচিব) ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো, ইফতেখার হোসেন, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মো. জুয়েল আহমেদ, সাবেক ছাত্র নেতা ও দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বায়জিদ আহমেদ খান এবং আজকের দর্পণের সম্পাদক ও প্রকাশক এস.এম. নূরে আলম সিদ্দিকী।

এ সময় উপস্থিত রাজনীতিক, সাংবাদিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং আজকের দর্পণ পরিবারের সদস্যরা করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। আজকের দর্পণ সে দর্পণ হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার স্থির করেছে, সেক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে আজকের দর্পণ।

তিনি আরো বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকায় তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পত্রিকার উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল মানুষের কাছে সঠিক তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে দেশের সুশাসন, ন্যায়বিচার, ন্যায়প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের এই অগ্রযাত্রা। এই পত্রিকার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা প্রত্যেকে নিজ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবেন। তাহলে পত্রিকার মান ভালো হবে। পত্রিকা মানুষের কাছে জনপ্রিয় হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আজকের দর্পণের সম্পাদক ও প্রকাশক নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন।

তিনি বলেন, গত ৯ বছরে আজকের দর্পণ একই সম্পাদকীয় নীতিতে চলছে। গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা ও উন্নয়নের চেতনাকে ধারণ করে আজকের দর্পণ এগিয়ে চলছে। আজকের দর্পণ সাফল্যের সঙ্গে ৯ বছর পেরিয়ে ১০ বছরে পদার্পণ করেছে। এ আনন্দঘন মুহূর্তে আজকের দর্পণের সাংবাদিকসহ সব সহকর্মীকে জানাই শুভেচ্ছা।

এছাড়া এ দিন সারা দেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।


আরও খবর
সংগ্রাম-সাফল্যের দশ বছরে আজকের দর্পণ

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩