
চোখের জল আর আবারও স্বর্গ থেকে মর্ত্যালোকে ফেরার আমন্ত্রণ জানিয়ে দুর্গাদেবীকে বিদায় দিলেন ভক্তরা। বাবার বাড়ি বেড়ানো শেষে ‘আনন্দময়ী’ দেবী ফিরে গেলেন কৈলাসের দেবালয়ে। নানা উপাচারে বিজয়া দশমী পূজোর পর উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকের বাদ্য, আবির খেলা আর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সাঙ্গ হলো বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড় পার্বণ পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব।
কঠোর নিরাপত্তায় এদিন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রথমে বিকেলে সাড়ে ৩টায় বুড়িগঙ্গার বীণাস্মৃতি স্নান ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেয় ধানমন্ডি সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি। এর মাধ্যমে দেবীকে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুড়িগঙ্গা নদীর ওয়াইজঘাট এলাকার বিনাস্মৃতি স্মান ঘাটে ঢাকার বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে আসা প্রতিমাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। এসময় তারা মন্ত্র পাঠ করছেন। রায়সাহেব বাজার থেকে সদরঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে ঢাকার বিভিন্ন মণ্ডপের প্রতিমা সদরঘাট আসছে।
অন্যদিকে কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও র্যাবসহ নৌ-পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা দিচ্ছে। দেবী বিসর্জন উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া পার্ক, সদরঘাটের বিভিন্ন পয়েন্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নদীতে সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছে নৌ-পুলিশ ও ডুবুরি দল।
বিসর্জন ঘাটের পুলিশ বক্সে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসআই সোহান জানিয়েছেন, ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিমা নিয়ে পূজা কমিটি আসছে। যারা সাঁতার জানে না তাদের নৌকায় উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের নৌ-পুলিশ, ডুবুরি দল নদীতে রাউন্ড দিচ্ছেন।
বিভিন্ন ঘাটে রাত ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ২৪৬টি মণ্ডপের প্রতিমা একে একে বিসর্জন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন