আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ব ইজতেমায় পুলিশ সদস্যসহ সাতজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন একজন পুলিশ সদস্যসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ৪ জন, ময়দানে আসার পথে পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন মারা গেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদগুলো নিশ্চিত করেন।

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চার মুসল্লিরা হলেন- নেত্রকোনা জেলার কুমারী বাজার এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০) ও জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।

ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া ২ জন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০)।

অপরদিকে বিশ্ব ইজতেমায় দায়িত্ব পালনের জন্য আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের একজন এএসআই নিহত ও একজন এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত এএসআইয়ের নাম হাসানুজ্জামান (৩০)। একই দুর্ঘটনায় আহত এসআই আমীর হামজাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তারা উভয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ থেকে ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছিলেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



এপ্রিলে ৬৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৩২ : বিআরটিএ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এপ্রিল মাসে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৫৮টি। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৬৩২ জন মানুষ। একইসঙ্গে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮৬৬ জন মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এসবের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত এবং ১৫৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত এবং ৯৫ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৫ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন।

এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৪১টি, বাস/মিনিবাস ১৫৭টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৭০টি, পিকআপ ৫০টি, মাইক্রোবাস ২৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ১২টি, মোটরসাইকেল ২৫২টি, ট্রাক্টর ১৭টি, ভ্যান ২১টি, ইজিবাইক ৩৪টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩১টি, অটোরিকশা ৬৮টি এবং অন্যান্য যান ১৭৫টিসহ সর্বমোট ১০৫৬টি যানবাহন রয়েছে।

এসবের মধ্যে মোটরকার দুর্ঘটনায়/জিপ ২৬ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৬৭ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৬২ জন, পিকাপ দুর্ঘটনায় ৩০ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ২০ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ১৩ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ৯ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৮ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ৩০ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ১৭ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৪৫ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ১০৪ জনসহ সর্বমোট ৬৩২ জন নিহত হয়।

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের ১৭ দিনে (৪ থেকে ২০ এপ্রিল) সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩২০ জন ও আহত হয়েছেন ৪৬২ জন। এ সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।


আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর



৬৯ হাজার রোহিঙ্গা পাসপোর্ট নবায়নে সৌদির তাগিদ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়া ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিকের পাসপোর্ট নবায়ন করতে তাগিদ দিয়েছে সৌদি সরকার বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর নিকুঞ্জে হোটেল লা মেরিডিয়ানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সৌদি আরবের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে সাংবাদিকদের সৌদি সরকারের তাগিদের কথা জানান। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭৪ সালের দিকে সৌদি আরবে যাওয়া ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাসপোর্ট নবায়ন করবে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তি হয়েছিল। কারণ, ১৯৭৪ সালের পর ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে যায়। নিয়ম অনুযায়ী তাদের ওই দেশে কেউ কাগজপত্র ছাড়া থাকতে পারে না। সৌদি আরবে অবস্থান করা ৬৯ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশি পাসপোর্টের নবায়ন নেই। আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ওই সব রোহিঙ্গাদের তারা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না। আমরা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়ন করে দিব। এ বিষয়ে আমরা স্লো যাচ্ছি কেন কিংবা আমাদের কোনো অসুবিধা আছে কি-না সেটা দেখার জন্য তারা এসেছিলেন। এছাড়াও সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের উভয় দেশের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলাপ হয়েছে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব কিন্তু ৬৯ হাজার রোহিঙ্গার কাউকে ফেরত পাঠাবে না। আবার তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বও দেবে না। তবে কীভাবে থাকবে? সেজন্য তাদের কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন। সে সববিষয়ে সরাসরি কথা বলতে তারা এসেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, সৌদিতে থাকা ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে গিয়েছিল। সুতরাং আমরা শুধু তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করে দিব। তাদের নাম-ঠিকানা পাসপোর্টে যেমন আছে তেমনি থাকবে।

সৌদি আরবের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সৌদি যদি এই চুক্তি করে তবে ভাল হবে। বাংলাদেশ থেকে তাদের সিকিউরিটি গার্ডের জন্য আনসার পাঠানোর কথা বলেছি। এ বিষয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন।


আরও খবর



মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় হেনস্তা শিকার তনুশ্রী সাহা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় ট্যাক্সি ড্রাইভারের হেনন্তার শিকার হয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী তনুশ্রী সাহা। তিনি কালারস বাংলার রামকৃষ্ণ সিরিয়ালের অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী জানান, শুক্রবার রাতে তিনি শ্যুটিং শেষে বাইক বুকিং করে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ ড্রাইভার ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তুই-তুকারি ও গালিগালাজ করা শুরু করে।

তিনি বলেন, টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে এখন শ্যুটিং চলছে। তাই দেরি হয়ে গেলে আমি ক্যাব বাইক বুকিং করে নিই। যথারীতি গতকাল রাতেও সেটাই করেছি। ড্রাইভার শুরুতেই ১২০-১৩০ বেশি চাইলেন। নিয়মিত এমন বাড়তি ভাড়ার চাপে পড়তে হয়।

তাই আমি সেইভাবেই রাজি হই। কিন্তু গাড়ি স্টার্ট দিতেই বেপরোয়াভাবে চালাতে শুরু করে ড্রাইভার। আমি দু-তিনবার অ্যাক্সিডেন্ট হতে হতেও বেঁচে গিয়েছি। এক সময় আমি বলতে বাধ্য হই, দাদা প্লিজ এভাবে গাড়ি চালাবেন না। আপনার হয়তো বাড়ি ফেরার ইচ্ছে নেই, আমার কিন্তু বাড়ি ফিরতে হবে।

তিনি জানিয়েছেন, এরপরই ফাঁকা রাস্তায় হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে তাকে নামতে বলা হয়।

তনুশ্রী বলেছিলেন, আমি তো এখানে নামব না, লোকেশন যেখানে দেয়া সেখানেই নামব। এরপর তুই-তুকারি ও গালিগালাজ করে সে বলে তো যাব না, তুই এখনই গাড়ি থেকে নাম। এরপর গাড়ি থেকে নেমে আমায় মারতে আসে। সেই সময় আমি চিৎকার শুরু করি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি কলকাতা পুলিশকে ফোন করি। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে গোটা টিম ওখানে পৌঁছে যায়। এরপর কলকাতা পুলিশ আমায় গাড়ি বুকিং করে দেয়, আমি সাবধানে বাড়ি ফিরি। তবে আমি একটা কথাই বলব, এটা তো প্রতিদিন কারও না কারও সঙ্গে ঘটছে। তাই আমার মনে হয় ভয় পেয়ে কিছু হবে না। প্রতিবাদ করাটা খুব দরকার। তাহলে আশাকরি বোঝানো যাবে কেউ দুর্বল নয়।

নিউজ ট্যাগ: তনুশ্রী সাহা

আরও খবর



পাইকগাছায় নতুন রাস্তা হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে খুশির আমেজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পাইকগাছায় দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পরে নতুন একটি বিকল্প রাস্তা হওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

শনিবার সরজমিন ঘুরে ও প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী গড়ুইখালী ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামে অত্র ইউনিয়নের ইউপি পরিষদ অবস্থিত। এদিকে ইউপি পরিষদের পিছনে দান কৃত জায়গায় একটি কবরস্থান রয়েছে। এছাড়াও উক্ত কবরস্থানের পার্শ্বে প্রায় ত্রিশটা পরিবারের বসবাস। এমতাবস্থায় উক্ত পরিবারগুলোর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম উল্লেখিত কবরস্থানের রাস্তা। সেকারণে এলাকাবাসী অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম (কেরু) বরাবর একটি বিকল্প রাস্তার জন্য গন সাক্ষরিত দরখাস্ত করেন।

চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু গণসাক্ষরিত দরখাস্ত বিবেচনা ও জনস্বার্থে বিকল্প একটি রাস্তা করার পরিকল্পনা করেন। তারই ফলশ্রুতিতে গত বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু, ইউপি সদস্য বৃন্দ ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পার্শ্ব দিয়ে ৮ ফুট চওড়া ও ৪শ ফুট লম্বা একটি বিকল্প রাস্তার উদ্বোধন করেন। রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান গাউসুল করিম সরদার, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শিউলি মনি, ইউপি সদস্য সরত চন্দ্র মন্ডল, আঃ মমিন গাজী সহ স্থানীয় সচেতন মহল।

উক্ত বিকল্প রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী চেয়ারম্যান গাজী আব্দুস সালাম কেরু'র প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এম জালাল উদ্দীন, পাইকগাছা প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: পাইকগাছা

আরও খবর