![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/d3bcd0967284b9741e9d380ff34f8a9e.jpeg)
আজ ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস। ‘নিরাপত্তা খোঁজার
অধিকার’- এই প্রতিপাদ্য
নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে দিবসটি।
এবার যখন দিবসটি পালিত হচ্ছে এর আগেই বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থার
প্রতি বিশ্বনেতাদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে
দিবসটি পালন করা হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের
তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন প্রতি ৭৭ জনের একজন শরণার্থী। গত এক দশক ধরে প্রতি বছর শরণার্থীর
সংখ্যা বেড়েছে। ২০২১ সালের শেষে বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল নয় কোটি ৯৩
লাখে। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর গত মে মাসে এই সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে
গেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর)
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বে উদ্বাস্তু বা শরণার্থীর সংখ্যা ৮ কোটি ৯৩ লাখ, যা ভবিষ্যতে
আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্বাস্তুদের মধ্যে ২ কোটি ৭১ লাখ শরণার্থী। বাকিদের কেউ রাষ্ট্রহীন, কেউ আশ্রয়প্রার্থী,
কেউ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ। আর এই অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাই
সবচেয়ে বেশি। শরণার্থীদের মধ্যে সিরিয়া ২৭ শতাংশ, ভেনিজুয়েলা ১৮ শতাংশ, আফগানিস্তান
১১ শতাংশ, দক্ষিণ সুদান ৯ শতাংশ এবং মিয়ানমার থেকে ৫ শতাংশ থেকে আগত। এছাড়া ৩০ শতাংশ
বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আগত শরণার্থী।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিক রাখতেই বাড়তি ছুটি: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে
উচ্চ আয়ের দেশ মাত্র ১৭ শতাংশ, মধ্যম আয়ের ৪০ শতাংশ, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ২১ শতাংশ
এবং নিম্ন আয়ের দেশ ২২ শতাংশ। তবে বেশিরভাগ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে
(৭২ শতাংশ)। বর্তমানে বাংলাদেশে বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক বা রোহিঙ্গা রয়েছে প্রায়
১২ লাখ।