গত সপ্তাহে বড় উত্থানের পর চলতি সপ্তাহের শুরুতেই
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস
সোমবার বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হতেই স্বর্ণের দাম এক শতাংশের ওপরে বেড়ে গেছে। এতে
প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম আবারও ১৯’শ ডলার স্পর্শ করেছে।
বিশ্ববাজারে এমন দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও স্বর্ণের
দাম বাড়ার পরিকল্পনা করছেন ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স
সমিতি (বাজুস) শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে বর্তমানে স্বর্ণের
যে দাম, তাতে বাজুস চাইলে ভরিতে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়াতে পারে। তবে স্বর্ণের
দাম কতো বাড়বে বা বাড়ানো হবে কি না সে সিদ্ধান্ত বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের
আলোচনার ভিত্তিতে নেয়া হবে।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কামানোর পরও বিশ্ববাজারে
স্বর্ণের দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। দফায় দফায় দাম কমে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম
সাড়ে ১৭’শ ডলারের কাছাকাছি চলে আসে।
ফলে দেশের বাজারে আর এক দফা স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস।
স্বর্ণের এই দাম বাড়ার প্রবণতা চলতি সপ্তাহেও
দেখা যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২১ দশমিক শূন্য ৬
ডলার বেড়ে এক হাজার ৯০২ দশমিক ৭২ ডলারে উঠেছে। এতে সোমবার লেনদেন শুরুর প্রথমার্ধেই
স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে গেল। এর মাধ্যমে ৬ সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববাজারে
এখন স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
বিশ্ববাজারে এই দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে বাজুস এর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আমরা সবসময় বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রাখার চেষ্টা করছি। এ কারণে এক সপ্তাহে (২৫ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর) স্বর্ণের দাম দুই বার কমানো হয়েছে। এখন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার বিষয়টিও আমরা মনিটরিং করছি। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে।