স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন,
বিশ্বব্যাপী নানা ধরণের আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জটিলতা নজিরবিহীন
রূপ ধারণ করেছে। এসব দ্বন্দ্বের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্দশা বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী
শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা অপারেশনের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত ৫ দিনব্যাপী সম্মেলন উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিশ্ব শান্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠায়
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং আমাদের গৌরবোজ্জল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, গণহত্যা ও শোষণের তিক্ত
অভিজ্ঞতা সবসময়েই আমাদেরকে মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সামরিক উপদেষ্টা,
জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ উপদেষ্টা, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণ, সেনাবাহিনী
প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য,
বাংলাদেশে নিয়োজিত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ,
পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও অনুষদবৃন্দ, আইএপিটিসি’র সদস্যভুক্ত
অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় ২শ’ বিদেশি প্রতিনিধি
এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজকরা জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী
নিরাপত্তা পরিবেশ অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠছে। এই পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির গতি প্রকৃতি
মূল্যায়ন ও তা মোকাবেলায় ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের রূপরেখা
প্রণয়ন আইএপিটিসির মূল উদ্দেশ্য।
আইএপিটিসি শান্তিরক্ষী অপারেশন, প্রশিক্ষণ
ও গবেষণার সাথে জড়িত নীতিনির্ধারক, গবেষক, শান্তিরক্ষী, প্রশিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য
ব্যক্তিবর্গের ও প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি অনন্য প্লাটফর্ম।
কানাডার পিয়ারসন পিসকিপিং সেন্টারে ১৯৯৫
সালে ২ জুলাই এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ৯০টি বিভিন্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান, সংস্থা আইএপিটিসিতে অংশগ্রহণ
করেছে। আইএপিটিসিতে বর্তমানে ২৬৭টি সদস্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে।