আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্বে করোনায় আরও ১১৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় বিশ্বব্যাপী আরও ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ১৩০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৯১ জন।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ৮৫৭ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৮০ জন।

আরও পড়ুন >> ফ্রান্সে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক পুলিশ আহত

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ২৪২ জন। আর সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ সময় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭৭৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।

নিউজ ট্যাগ: করোনাভাইরাস

আরও খবর



সাউথ আফ্রিকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সাথে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের মতবিনিময়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

দক্ষিণ আফ্রিকার সাত সদস্যর ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের প্রধান নকুথুলা পেশেন্স নদলভুর নের্তৃত্বে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিএমসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদ, সদস্য এবং ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশের গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের কাছে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার বিকালে আগ্রাবাদ কাদেরী চেম্বারের সিএমসিসিআই মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এ.এম. মাহবুব চৌধুরীর, সহ-সভাপতি (ফরেন ট্রেড এন্ড অ্যাফেয়ার্স) ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ রাসেলসহ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিবৃন্দ ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।

মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান সূচনা বক্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দলের সাথে সিএমসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদ ও সদস্যদের সাথে মতবিনিময় জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগের বড় সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। বিনিয়োগকারীদের বিশেষ করে আইসিটি, অবকাঠামো, টেক্সটাইল এবং পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দুই দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও ঘনিষ্ট বাণিজ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন চেম্বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে জানান তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দলের প্রধান নকুথুলা পেশেন্স নদলভুর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ আমরা আগ্রহী। সুন্দরভাবে ব্যবসা পরিচালনার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশই উন্নয়নের একই পথে আছে, যা পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নকে সম্ভবপর করে তোলে। তাই উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভার আলোচনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন কেডিএস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিএমসিসিআই সহ-সভাপতি এ.এম. মাহবুব চৌধুরী, ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ রাসেল, দক্ষিণ আফ্রিকান অনারারী কনস্যুলেট আলহাজ সোলায়মান আলম শেঠ, কেডিএস টেক্সটাইল, কেডিএস গার্মেন্টস্ এবং কেওয়াই স্টিলের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ।


আরও খবর



‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি, আজ আমি অনার্স ফেল’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ঠিক সে সময়ে উঠে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবন্তিকার মতো শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাবের শিকার হন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ১৩তম আবর্তন ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

মিম জানান, দুই বছর আগে যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এখনো বিচার পাননি তিনি। উল্টো তাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। এমনকি তার মা-বাবাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী বলেন, কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি বলে আমার মনে হয়। কারণ, আজকে আমি ফেল। আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে। কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে আমাকে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা করা হয়। আমি হয়ত তার মতো সাহসী হতে পারি নাই। তার জন্য হয়ত আমি মারা যাই নাই। কে জানে এর পর আমি বেঁচে থাকব কি না। আমাকে একঘরে করে দিয়েছে শিক্ষকেরা। আমাকে অনার্সের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে। প্রতিবাদের ফলাফলস্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। একজন শিক্ষক আমাকে ৪০ মার্কের ইনকোর্স পরীক্ষায় ডাবল শূন্য দিয়েছে। এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে খুন করে ফেলা হচ্ছে।’

‘আমি যখন অভিযোগ দায়ের করি, তখন কোনো সেল ছিল না। কোনো সেল না থাকায় আমাকে সরাসরি উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করতে হয়েছিল। উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করায় আমার ওপর অনেক ধরনের প্রেশার আসে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি তারা আমার গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। আমার বাবা-মা অসুস্থ, তাদের ওপর প্রেশার করেছে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য। অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় আমাকে বিভাগের রুমে কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাংবাদিক সমিতি আছে সেখানে ওই টিচার ক্ষমতাবলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছে আমার প্রসঙ্গে যেন কোনো নিউজ না আসে।’

ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমি যে এত স্বাভাবিকভাবে কথা বলার চেষ্টা করছি- আমি ভেতর থেকে এতটা স্বাভাবিক না। আমার একটা অভিযোগ দায়ের করার কারণে ওইটা যেন অপরাধ হয়ে উঠেছে। আমার ক্লাসমেটরা আমার সঙ্গে মিশতে ভয় পায়। আমি দুই বছর যাবৎ কারও সঙ্গে মিশতে পারি না। আমাকে একা করে ফেলা হয়েছে। ওই শিক্ষক ডিপার্টমেন্ট বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াই। উনাকে কোনো লিভে পাঠানো হয় নাই। আমাকে এইট সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমার এসাইমেন্ট টিচাররা নিতে চাই না। আমাকে সেভেন সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমাকে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে।’

‘আমি আজীবন পড়াশোনা ব্যতীত কিছুই করিনি। আমি ননপলিটিক্যাল ছাত্রী। আমি কোনো অর্গানাইজেশনে জড়িত না। সেখান থেকে আমার জন্য সহজ ছিল না প্রতিবাদ করার। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণে আমি প্রতিবাদ করেছি। সেই  প্রতিবাদের ফলাফল স্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। প্রতিবাদ করা আমার অন্যায় ছিল। আমার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আমি মিশতে পারি না। আমি যতই হাই ক্যালিভার আমি প্রকাশ করি- আমি  মার্কস পাই না। আমার কি তাহলে উচিত ছিল ওই শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে রাজি হওয়া। আমি রাজি না হয়ে অনেক বড় অন্যায় করেছি। আমি মার্কসিট পুণর্মূল্যায়নের আবেদন জানালেও তা করা হয়নি। এবার চেয়ারম্যান স্যার উনার দুইটা কোর্সে আমাকে ১০০ এর মধ্যে তিন দিয়েছেন। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কতটুকু খারাপ মেধার অধিকারী হলে আমি তিন পাই। আমার প্রসঙ্গে আমি বুজতে পারি আমার মেরুদণ্ড কতটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাকে কাউন্সিলিং নিতে হয়। আমিতো স্বাভাবিক না। আমার বিভাগে এমনকি ক্যাম্পাসে অনেক আছে- এই একটা কারণে কেউ প্রকাশ করে না।’

‘আজকে যে অবন্তিকা মারা গেল, দেড় বছর আগে থেকে যুদ্ধ করে আসছে- মেয়েটা যদি বিচার পেত তাহলে কি আজ মারা যেত? এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের খুন করে ফেলা হচ্ছে। সে বিচার পেলে আজ এই ঘটনা ঘটত না।’

অভিযুক্ত কে ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্রী বলেন, উনি ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার। উনি সিনেমা নির্মাণ করেন, আবার আমার বিভাগের লেকচারার ছিলেন। এখনো উনি বহল আছেন। উনি আমাকে কাজের জন্য উনার অফিস রুমে ডেকে নিয়ে হ্যারাজ করেন। এটা নিয়ে আমি অনেকদিন ভুগেছি। যখন আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে- আমাকে প্রতিনিয়ত ফেল করানো হচ্ছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলা হচ্ছে। আমার বাবাকে বলা হচ্ছে-আপনার মেয়েকে বহিষ্কার করে দেব। নতুন করে যে কিমিটি করা হয়, এখন যিনি ভিসি আছেন তিনি ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ভিসি সাদেকা হালিম ম্যাডাম অনেক নারী বান্ধব।’

‘কিন্তু ম্যাডামের উপস্থিতি থাকা স্বত্বেও আমি এখন পর্যন্ত বিচার পেলাম না। কয়েক দফা রিপোর্ট আসা স্বত্বেও ওই আবু সাইদ ইমন যিনি শিক্ষক এবং উনাকে সাহায্যকারী আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান স্যার অধ্যাপক জুনাইদ হালিম এতগুলো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পরও উনারা সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছন। একজন শিক্ষক কতটা বেহায়া হলে নিজের দোষ ঢাকতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও তারা হেরে গেছেন। তারা সিন্ডিকেটের প্রতিবেদন না মেনে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন। উনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার বলে ক্ষমতা বলে কি সকাল জায়গায় পার পেয়ে যাবেন।’

অন্যরা অভিযোগ না করার বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ফেল করার ভয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাইদ ইমনের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো কথা বলেন। আমিতো ফেল করে গেছি। আমারতো স্টুডেন্ডশিপের কোনো ভয় নাই। আমি রাস্তা দিয়ে যখন চলাফেরা করি-তখন আততায়ীরা আমাকে ফেরে ফেলতে পারে। আমি সারাক্ষণ অনিরাপত্তায় ভুগি। আমার পরিবার অনিরাপত্তায় ভোগে। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে না বা প্রকাশ করছে না তারাও যে নিরাপদ না বিষয়টা তেমন না। একজন শিক্ষার্থী যখন যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়-তখন তার চরিত্র নিয়ে যেসব কথা বলা হয় তা প্রকাশ করা যায় না। আমার বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যখনই কেউ কথা বলেন-তখনই আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেন।’


আরও খবর



ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন আপেল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল। ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিস কর্তৃক এক গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জেলা রিটার্নিং অফিসারের অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে একজন প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা প্রত্যাহার করলে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকেন। জেলা রিটার্নিং অফিসার যাচাই-বাছাইয়ে তিনজনের মধ্যে ব্যাংকে ঋণ খেলাপির দায়ে  জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএমএ মঈনের মনোনয়ন বাতিল করেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

পরে এসএমএ মঈন প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত তার প্রার্থিতা বহাল রেখে তাকে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। পরে গত ৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এসএমএ মঈনের আবেদন খারিজ করে ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসারের গণবিজ্ঞপ্তি সঠিক বলে রায় দেন। এ অবস্থায় জেলা রিটার্নিং অফিসার আর কোনো প্রার্থী না থাকায় আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ৭ মার্চ আবারও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে আব্দুল মজিদ আপেল জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল বলেন, আমি সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছি এবং সততার  সঙ্গে কাজ করে যাব। আমার বড় ভাই মরহুম মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করব। সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি মডেল জেলা পরিষদ গড়ে তুলবো।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ. সাদেক কুরাইশী মৃত্যুবরণ করলে পদটি শূন্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৭৮ জন ও নারী ভোটার ১৮০ জন।


আরও খবর



পবিত্র রমজানে যতদিন কলেজ খোলা থাকবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এ বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের মতো রমজান মাসে খোলা থাকছে কলেজ। প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলো ৩০ দিন ছুটি রেখে বার্ষিক ছুটির তালিকা প্রকাশের পর সেই তালিকা সংশোধন করা হয়।

শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশোধিত নতুন তালিকা অনুযায়ী, ১০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত কলেজের ক্লাস-পরীক্ষা হবে। ২৫ মার্চ থেকে কলেজগুলো বন্ধ থাকবে।

এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে রমজানের প্রথম ১০ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ক্লাস চলবে। জোহরের নামাজের জন্য সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে।

মাদ্রাসায়ও একইভাবে ছুটির তালিকা সংশোধন করেছে সরকার। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের তিনটি সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা এবং বেসরকারি এবতেদায়ি, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার জন্য ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা আংশিক সংশোধনক্রমে ৭ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ১৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম চালুর রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।

বছরের শুরুতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে রমজানে ৩০ দিন ছুটি রেখে বাৎসরিক ছুটির তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত, ৫ কানাডিয়ান নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৫ জন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ন্যাশভিল শহরের একটি মোটরওয়ের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার (০৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু। তারা সবাই কানাডিয়ান নাগরিক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেনেসির ন্যাশভিলে একটি বড় মোটরওয়ের কাছে ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিন শিশুসহ পাঁচ কানাডিয়ান নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার আগে স্থানীয় সময় সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ন্যাশভিল বিমানবন্দরে কল করে পাইলট ইঞ্জিনের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন।

ন্যাশভিল পুলিশ জানিয়েছে, ন্যাশভিল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের জন্য বিমানটিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানান, তিনি এটি করতে পারবেন না।

বিবিসি বলছে, বিধ্বস্ত হওয়ার সাথে সাথে বিমানে আগুন ধরে যায়। মূলত ন্যাশভিলে একটি কস্টকো সুপারমার্কেটের কাছে ঘাসযুক্ত এলাকায় বিমানটি আছড়ে পড়ে। এরপর এতে আগুন ধরে যায়।

ন্যাশভিল ফায়ার ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র কেন্দ্র লোনি বলেছেন, বিপর্যয়কর’ দুর্ঘটনার জেরে বিমানটিতে আগুন ধরে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে।


আরও খবর