আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্বে করোনায় বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

করোনায় বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৫৮৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৯ হাজার ৩০৭ জন। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ১৪২ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ১৯০ জন।

এ ছাড়া ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৯৩৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৪৩৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। জাপানে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১১ হাজার ৪০১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৫২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৮০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। পোল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৮০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের।

একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৪৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৭২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। চেকিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। পেরুতে আক্রান্ত হয়েছে ৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ফিলিপাইনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন। কোস্টারিকায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৯২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। মলদোভায় আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৮৩৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে আক্রান্ত হয়েছে ৩৬৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৮ লাখ ১৪ হাজার ৩৬২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৫ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৭৩৩ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।


আরও খবর



স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ সময় ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকও বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) প্রথম প্রহরে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।

প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও ভুটানের রাজা জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। শেখ হাসিনা পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আরও একবার জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে সই করেন ভুটানের রাজা ও তার স্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



সরকার নির্ধারিত ১৬৩ টাকা মূল্যে কোথাও নেই সয়াবিন তেল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সরকার খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা ও বোতলজাত ১৬৩ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এই দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। রাজধানীর বেশিরভাগ দোকানে খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ থেকে ১৬০ এবং বোতলজাত তেল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বুধবার (০৬ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ বাজার ও শুক্রাবাদ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে তেলের বাজারে দাম নিয়ে এমন হুলস্থুল কাণ্ডের কারণে অনেকে সাময়িকভাবে তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর ঘোষণা আসে। দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ তথ্য জানান। ১ মার্চ থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছিল।

দোকানিরা বলছেন, দাম কমানোর ঘোষণার পর পাইকারি বাজার থেকে পর্যাপ্ত তেল ছাড়ছে না। আর সরকার দাম কমানোর পর পাইকারি বাজার থেকে অর্ডারের তেল এখনও দোকানে আসেনি। অন্যদিকে সরকার কর্তৃক দাম কমানোর ৬ দিন পরও সেটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়ছেন ক্রেতারা।

তেলের দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মুদি দোকান নূর আলম জেনারেল স্টোরের মালিক নূর আলম বলেন, কম দামের তেল আমরাই পাচ্ছি না। কম দামে বিক্রি করব কীভাবে।”

তিনি আরও বলেন, ডিলাররা এখনো পুরোনো দামেই সয়াবিন দিচ্ছে। দাম সামান্য করে কমাচ্ছে। তাতে আমরা আগের থেকে কিছুটা কম দামে ক্রেতাদের সয়াবিন দিতে পারছি।”

সরকার ঘোষণার আগে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকায় বিক্রি করতেন বলে জানান এই খুচরা বিক্রেতা।

শামীম নামের একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের বোতলের গায়ে বাড়তি দামের মোড়ক লাগিয়ে রাখে। কিন্তু কমানোর সময় ধীরগতিতে কমায়। এবার নতুন দাম কার্যকরের ঘোষণা বেশ আগেভাগে দেওয়া হলেও মিল থেকে ডিলার হয়ে এখনো নতুন দামের পণ্য আসেনি। সে জন্য ভোক্তা পর্যায়ে এখনো ভোজ্যতেলের দাম কমানোর সুবিধা পুরোটা মিলছে না।”

অন্যদিকে তেলের বাজারের এই পরিস্থিতির কারণে সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে কারওয়ান বাজারের জনতা স্টোরে। দোকানের মালিক সিকান্দার বলেন, সরকার যে ঘোষণা দেয়, যে দাম ঠিক করে দেয়, কোম্পানি সেই দামে মাল ছাড়ে না। ছাড়লেও যে দামে দেয় তাতে মালা বিক্রি করে আরও লস হয়। আবার বেশি মাল রাখলে হুট করে সরকার দাম কমিয়ে দেয়। এতে আমাদের লসে পড়তে হয়। এ কারণে বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছি।”

কারওয়ান বাজারে তেল কিনতে আসা রাইসুল অরণ্য বলেন, সরকার থেকে দাম কমানোর পরও বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা বলছেন, নতুন তেল আসেনি তাই তারা দাম বেশি রাখছেন। কিন্তু দাম বাড়ালে তখন তো নতুনের জন্য অপেক্ষা করে না। দাম বাড়ার ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা সেটি বাস্তবায়ন করে ফেলেন।”

এ বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।

আব্দুল গফুর নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, বাজারের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সরকার বা কোনো কর্তৃপক্ষের কোনো কর্তৃত্ব নেই। সরকারের বাজার মনিটরিং বা ভোক্তা অধিদপ্তর ঠিক মতো মনিটরিং করে কিনা সেটাও বড় একটা প্রশ্ন। সরকার দাম বাড়ানোর পরই যদি বাজারে দাম বাড়তে পারে তাহলে দাম কমানোর পর যদি দাম না কমে তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন চলে আসে, দাম কমাতে সরকারের স্বদিচ্ছা আছে কিনা। যদি সে ইচ্ছা থাকতো তাহলে বাজার অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”

মঙ্গলবার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে ১৬৩ টাকায় প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং ১৪৯ টাকায় খোলা তেল পাওয়া না গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা যে কোনো বাজারে গিয়ে যদি দেখেন ১৬৩ টাকা মূল্যের তেল নেই, তাহলে আমাদের জানাবেন। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১ তারিখ থেকে সব করাখানা থেকে ১৬৩ টাকা দরে প্রতিলিটার সয়াবিন তেল বাজারজাত করা হচ্ছে, এটা আমরা নিশ্চিত করেছি।”


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বাগেরহাটে হাত-পা ও মুখ বেঁধে খাতনা দেওয়ায় শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটের চিতলমারীতে হাত-পা ও মুখ বেঁধে খাতনা দেওয়ায় তিন বছরে শিশু শিহাব শেখের মৃত্যু হয় বলে স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক কিশোর হামিম শেখ(১৭)।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে বাগেরহাট আদালতে সোপর্দ করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আছাদুল ইসলাম হামিম শেখকে যশোর কিশোর সংশোধোনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার ওসি তদন্ত মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করে কিশোর হামিম আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হামিমের মধ্যে খাতনা দেওয়ার কৌতুহল ছিল। এজন্য সে শিহাবকে বাছাই করে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিহাবকে ডেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায় হামিম। শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে একটি ক্যাচি দিয়ে খাতনা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং শিহাবের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এক পর্যায়ে শিশু শিহাব অচেতন হয়ে পড়লে সেখানেই শিহাবের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে শিশু শিহাবের মৃতদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। কিশোর হামিমকে আদালত কিশোর সংশোধোনাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিশু শিহাব বাড়ির উঠোনে খেলছিল। হামিম শেখ ডেকে নিয়ে নিজ ঘরের মধ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে শিশু শিহাবকে হত্যা করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে, রাতে মাইকিংও করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে হামিমের ঘর সংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিশু শিহাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত হামিম শেখকে আটক করে।

এ ঘটনায় শিশু শিহাবের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে কিশোর হামিমকে আসামী করে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার শিকার শিশু শিহাব চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে। অভিযুক্ত কিশোর হামিম শেখ (১৭) একই এলাকার রমজান শেখের ছেলে।


আরও খবর



হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে কুমিল্লার বাগিচাগাওয়ের বাসা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যার আগে ফাইরুজ তাঁর এক সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে অবন্তিকা অভিযোগ করেন, তাঁর সহপাঠী আম্মান তাঁকে অফলাইন ও অনলাইনে বিভিন্ন সময় হুমকি দিতেন। এ ব্যাপারে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম তাঁকে নানাভাবে বহিষ্কারের ভয় দেখান।

ফাইরুজের মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বার বার জানিয়েও হয়রানির বিচার পাননি তারা। এ কারণেই তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

আরও পড়ুন :ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

অবন্তিকা কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। অবন্তিকার বাবা জামাল উদ্দিন কুমিল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর আগেও মেয়ে অবন্তিকার হয়রানি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম অভিযোগ করে বলেন, মানসিকভাবে হয়রানি করে অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও কোনো ফল পাননি তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকিকে মেয়ের আত্মহননের জন্য দায়ী করে তাহমিনা শবনম বলেন, অবন্তিকার বাবা জামাল উদ্দিন জীবিত থাকা অবস্থায় মেয়ের বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো ফল পাননি। জামাল উদ্দিনের মৃত্যুর এক বছরের বেশি সময় পর সেই একই কারণে মেয়ে অবন্তিকা আত্মহত্যা করেছে।

আরও পড়ুন :আন্দোলনে উত্তাল জবি, উপাচার্যের কাছে যেসব দাবি

অবন্তিকার ভাই জারিফ যাওয়াদ অপূর্ব বলেন, অবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়রানির বিষয়টি নিয়ে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে কাটাতো। এসব বিষয়ে বাবা ও মাকে সে সবসময়ই জানিয়েছে। কিন্তু সে আত্মহত্যা করবে বিষয়টি একেবারেই ভাবা যায়নি।

অবন্তিকার কুমিল্লার বন্ধুরা জানান, মেধাবী অবন্তিকা মানসিকভাবে শক্ত ছিলেন। তাঁর এই আত্মহত্যার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিও দাবি করেন তারা।

অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁর সহপাঠীরাও দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।


আরও খবর



সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হলো ‘প্রত্যয় স্কিম’

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

সর্বজনীন পেনশনে প্রত্যয় নামে নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে। সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ স্কিম নিতে পারবেন। আজ বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার।

এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে। প্রত্যয় স্কিম চালুর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদ্যমান পেনশন/আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে। তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।

প্রত্যয় স্কিমে অংশ নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কেটে নেবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। এরপর উভয় অর্থ ওই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর হিসাবে জমা করবে। এ প্রক্রিয়ায় ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন ফান্ড গঠিত হবে এবং ওই ফান্ড জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য মুনাফা এবং চাঁদা হিসেবে জমা করা অর্থের ভিত্তিতে পেনশন দেওয়া হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদ্যমান সিপিএফ ব্যবস্থায় কর্মচারী মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং প্রতিষ্ঠান মূল বেতনের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ দিয়ে থাকে। প্রত্যয় স্কিমে প্রতিষ্ঠান দেবে মূল বেতনের ১০ শতাংশ, যা সিপিএফ ব্যবস্থা থেকে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। প্রত্যয় স্কিমে একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা নিজ বেতন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে একই পরিমাণ টাকা ৩০ বছর চাঁদা দিলে অবসরে যাওয়ার পর, অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা হারে পেনশন পাবেন।

এ ক্ষেত্রে ৩০ বছর ধরে মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ বেতন থেকে প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী মিলিয়ে সর্বমোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। তিনি যদি ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তবে ১৫ বছরে পেনশন প্রাপ্য হবেন ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা, যা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ জমার ১২ দশমিক ৪৭ গুণ।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জমা করা চাঁদার ওপর বিনিয়োগ রেয়াত পাওয়া যাবে এবং প্রাপ্য পেনশন আয়করমুক্ত হবে। এ স্কিমে নিবন্ধিত কর্মচারী পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পরবর্তী মাস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাসিক পেনশনের অর্থ পেতে থাকবেন, যা তাকে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে। এ ক্ষেত্রে তাকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনও দফতরে যাওয়ার বা কোনও প্রকার প্রমাণ দাখিলের প্রয়োজন হবে না।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪