চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক
মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত
২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় সোয়া ১৪ লাখে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি
সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এরপরই
রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, ফ্রান্স, তুরস্ক, ইতালি ও হাঙ্গেরি। এতে বিশ্বব্যাপী
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ কোটি ৩৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে
৫৮ লাখ ৪৩ হাজার।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ
তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ হাজার ২২৭
জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দুই হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে
মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৭৯ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত
হয়েছেন ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৮৭২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
কমেছে ৫০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর
সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ১৫২ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে
বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত
হয়ে মারা গেছেন ৬৮৩ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৫৬ জন।
এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৪৩ লাখ
১৩ হাজার ৯৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৩১ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় নতুন
সংক্রমণ ও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৪৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৬২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং
৯ লাখ ৪৫ হাজার ৫৭৪ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের
দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৬৪ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮ হাজার
১০০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি
৭৫ লাখ ৪১ হাজার ১৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৯১৩ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে
রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির
অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৪৫ জন এবং নতুন
করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ২৬০ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত
মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৭৯৪ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৮৮
জন।
গত একদিনে জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৪৯ জন এবং মারা গেছেন ১৩০ জন। করোনা মহামারির শুরু
থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লাখ ১৪ হাজার ৫২৭ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১ লাখ ২০ হাজার ৭১০ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে স্পেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৯০২ জন এবং মারা গেছেন ২০১ জন।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৬৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে
এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার
৬০৫ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন
১৬ হাজার ৯৯৩ জন এবং মারা গেছেন ১৪২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৩২ জন এবং মারা গেছেন ২৬৬ জন। একই সময়ে ইতালিতে নতুন করে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৬৩০ জন এবং মারা গেছেন ২৮১ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায়
কানাডায় ১০৪ জন, আর্জেন্টিনায় ২৬৮ জন, গ্রিসে ৮২ জন, ইরানে ১৬৮ জন, জাপানে ১৫৭ জন,
রোমানিয়ায় ৬৪ জন, চিলিতে ১০৮ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ২৫৭ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ১৪৫ জন, হাঙ্গেরিতে
২৭১ জন এবং ভিয়েতনামে ৯১ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন
১২২ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ
১২ হাজার ৮১৯ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের
উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা
করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।