আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিটকয়েনকে ডিজিটাল স্বর্ণ বলার সময় শেষ হচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ০২ অক্টোবর 2০২2 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ অক্টোবর 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্বর্ণ উত্তোলনের চেয়েও বিটকয়েন মাইনিং পরিবেশের ওপর বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এজন্য বিটকয়েনকে ডিজিটাল স্বর্ণ বলার সময় শেষ হচ্ছে। কারণ সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, স্বর্ণ ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন এবং মাংসের জন্য গবাদিপশু পালনের চেয়েও পরিবেশের ওপর বেশি নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোর একটি গবেষণা বলছে, বিভিন্ন পণ্যের মোট বাজার মূলধনের সঙ্গে জলবায়ুসংক্রান্ত ক্ষতি দিয়ে এ হিসাব করা যায়। যেমন কয়লার কথাই বলা যাক, জ্বালানিপণ্যটি পরিবেশের ঠিক ততটাই ক্ষতি করে যতটা বাজারে সমর্থন পায়। বাজার মূলধনের সঙ্গে কয়লার পরিবেশগত ক্ষতির অনুপাত ৯৫ শতাংশ বলে নিশ্চিত করেছে সমীক্ষাটি।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বিটকয়েন মাইনিংয়ের কারণে যে পরিমাণ পরিবেশগত বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয় সেটা গত পাঁচ বছরে মুদ্রাটির মোট বাজারমূল্যের ৩৫ শতাংশ, ২০২০ সালে যা ৮২ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছিল। এটাকে অনেকটা গরুর মাংসের সঙ্গে তুলনা করা যায়। যেটা তার মোট বাজারের ৩৩ শতাংশ ক্ষতি সাধন করে। অথবা তুলনা করতে পারেন প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে, যে পণ্যের মূলধনের বিপরীতে পরিবেশগত ক্ষতির হার ৪৬ শতাংশ। সেটাও স্বর্ণের থেকে অনেক বেশি।

সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সি সমর্থকরা একে স্বর্ণের সঙ্গেই বেশি তুলনা করেন। যেখানে স্বর্ণের মোট বাজারমূল্যের বিপরীতে পরিবেশের ওপর তার প্রভাব মাত্র ৪ শতাংশ। ডিজিটাল এ মুদ্রার পরিবেশের ওপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ ক্ষতির বিষয়টা আসে কম্পিউটার সিস্টেমের ওপর তাদের নির্ভরতা থেকেই। যেখানে লেনদেন নিশ্চিতের জন্য প্রুফ-অব-ওয়ার্ক-মাইনিং করতে হয়। সেটাতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। নতুন বিটকয়েন মাইনিংয়ের জন্য সিস্টেমটিকে কম্পিউটার ব্যবহার করতে দিতে হয়। এভাবে একদিকে বিটকয়েনের লেনদেন সম্পূর্ণ হয় এবং অন্যদিকে ব্যবহারকারী কিছু বিটকয়েন জেতার সুযোগ পান।

গবেষকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, এসব বিটকয়েন মাইনিংয়ের কারণে জলবায়ুর যে ক্ষতি হবে সেটা কয়েন তৈরির মূল্যকে ছাড়িয়ে যাবে। আর সেটা হবে বিশেষত বাড়তি বিদ্যুৎ খরচের জন্যই। কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিটকয়েন মাইনিংয়ের চাহিদা পূরণ করতে পারে। কিন্তু গবেষণার লেখকরা বলছেন, প্রতিটি ডলার তৈরির জন্য যে পরিমাণ পরিবেশ বিপর্যয় হবে সেটা বিটকয়েন তৈরির ক্ষেত্রে ১০ গুণ বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি সেটা বায়ু বা সৌরশক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। টেকসই খাতের জন্য একে একটা লাল পতাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত বিটকয়েনের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে করা আরেকটি ভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রুফ অব ওয়ার্ক পরিচালনার জন্য বিদ্যুৎ তৈরিতে যে পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হয় সেটা আগের দাবি করা পরিমাণের তুলনায় অনেক বেশি।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটকয়েন ইলেকট্রিসিটি কনজাম্পশন ইনডেক্স দীর্ঘ সময় ধরে বিটকয়েন নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা বিদ্যুতের পরিমাণ গণনা করেছে। চলতি মাসে তাদের দেয়া একটি তথ্যে বিটকয়েন মাইনারসদের ভৌগোলিক বণ্টনকে উল্লেখ করা হয়। এসব তথ্য একত্র করে কোন অংশটা পুনর্ব্যবহারযোগ্য সেটা নির্ধারণ করা যাবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে আঞ্চলিক পার্থক্যের ওপর পূর্ববর্তী গবেষণার সঙ্গে সেই তথ্য একত্র করে গবেষকরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনুপাত বের করতে সক্ষম হন।

ফলাফলে দেখা যায়, মোট বিদ্যুতের দুই-তৃতীয়াংশই (৬২ দশমিক ৪ শতাংশ) আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। পাশাপাশি টেকসই উৎস থেকে আসে ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং পারমাণবিকের অবদান ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। সুতরাং এ কারণে শিল্পের অনুসন্ধানগুলোর ফলাফল থেকে বাস্তবতার পার্থক্য অনেক বেশি হয়। কারণ ভার্চুয়াল মুদ্রার শিল্পটির অনুমানে বলা হয়, বিটকয়েনের ৫৯ দশমিক ৫ শতাংশ টেকসই জ্বালানি উৎস থেকে আসে।

নিউজ ট্যাগ: বিটকয়েন

আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনের এক অনন্য হাতিয়ার পানি: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ব্যক্তি হতে বৈশ্বিক পর্যায়ে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনে পানি এক অনন্য হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব সংকট বাড়ছে, তার অন্যতম সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভূ-উপরস্থ ও ভূ-গর্ভস্থ পানির গুণগত মান বজায় রাখা, জলাধারের পানি প্রবাহ অটুট রাখা, পানির বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবহার ও সামাজিকভাবে পানি সংরক্ষণ এবং পানির অপচয়রোধে সচেতনতার প্রসার সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক-আঞ্চলিক-জাতীয় উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিতকরণে ভূমিকা রাখবে।’

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর পানি ভবনের হলরুমে বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন। শান্তির জন্য পানি’ প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসের শুরুতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি পানি ভবন হতে সার্ক ফোয়ারা প্রদক্ষিণ করে। আলোচনা শেষে একটি ভার্চুয়াল স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানের আলোকে পানি খাতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ বাস্তবায়নের সবাইকেই সচেষ্ট হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার হাত ধরে স্মার্ট  বাংলাদেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা। আলোচনা করেন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার মহাপরিচালক, রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান। দিবসের প্রতিপদ্যের ওপর আলোচনা করেন ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডাব্লিউএম) নির্বাহী পরিচালক মো. জহিরুল হক খান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে।


আরও খবর



রোজায় নিজেকে ভালো রাখতে করুন এই ৫ কাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

রমজান সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস। এটি এমন একটি সময় যখন মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন, দিনের আলোতে খাবার ও পানীয় পান করেন না। এই সময়ে শরীর সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখা গুরুত্বপূর্ণ। রমজানে নিরাপদে রোজা রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে কিছু কাজ। রোজায় নিজেকে ভালো রাখতে এই ৫ কাজ করুন-

পুষ্টিকর খাবার খান : রমজানের সময় প্রতিটি ক্যালোরি গণনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ভাজা আইটেম এবং মিষ্টির মতো ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ফল, শাক-সবজি এবং দানা শস্যের মতো পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। এগুলো সারাদিন আপনার শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে। সেহরি এবং ইফতারের সময় জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত সুষম খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন : রোজা রাখলেও রমজানে ব্যায়াম করা যায়। ব্যায়াম আপনার মেজাজ উন্নত করতে, চাপ কমাতে এবং শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে। ডিহাইড্রেশন এবং ক্লান্তি এড়াতে নন-ফাস্টিং ঘণ্টাগুলোতে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীর সঠিকভাবে হাইড্রেটেড এবং জ্বালানি থাকলে সন্ধ্যার প্রথম দিকে বা ইফতারের পরে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। রমজানে হাঁটা বা হালকা যোগব্যায়ামের মতো কম প্রভাবশালী ব্যায়ামের দিকে মনোযোগ দিন।

হাইড্রেটেড থাকুন : রোজার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো হাইড্রেটেড থাকা। রমজান মাসে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য। রোজা রাখার আগে কমপক্ষে ৪-৫ গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য ইফতারের পরে ৩-৪ গ্লাস পানি পান করুন। কোমল পানীয় এবং এনার্জি ড্রিঙ্কের মতো চিনিযুক্ত পানীয় এড়ানোও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং আপনাকে আরও বেশি তৃষ্ণার্ত বোধ করাতে পারে।

পর্যাপ্ত ঘুম : রমজান মাসে শরীরকে রিচার্জ এবং পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর লক্ষ্য রাখুন এবং ঘুমের চক্র বজায় রাখতে তাড়াতাড়ি বিছানায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন এবং অন্যান্য উদ্দীপক এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো আপনার ঘুম নষ্ট করতে পারে এবং পরের দিন আপনি ক্লান্ত ও অলস বোধ করতে পারেন।

নিজের যত্ন নিন : রমজান মাসটি মানসিক এবং শারীরিকভাবে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় হতে পারে, তাই এসময় নিজের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্রাম নেওয়া কিংবা নিজের ভালোলাগার কিছু কাজ করতে পারলে তা আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। ধর্মীয় প্রার্থনা আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে এবং আপনার মানসিক সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করবে। এই সময়ে নিজের যত্ন নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন এবং নিজেকে খুব বেশি চাপ দেবেন না।


আরও খবর



সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ৩৬

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আবারও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদি ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের একটি এলাকায় স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোরের আগে হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আলেপ্পো প্রদেশে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়। সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ভোরের আগে চালানো হামলায় বেসামরিক মানুষ ও সামরিক কর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন।

এর আগে, সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন। মঙ্গলবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।


আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে আগামী ১০ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করা হবে। সোমবার (৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, যদিও এখনো শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তবে স্থানীয় ও বৈশ্বিক জ্যোর্তিবিজ্ঞানিদের সঙ্গে আলোচনা ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ফতোয়া কাউন্সিল এটি নিশ্চিত হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ার টাইমজোন অনুযায়ী সিডনি ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় আগামী ৯ এপ্রিল ভোর ৪টা ২০ মিনিটে নতুন চাঁদ উদয় হবে। ওই দিন সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৩৯ মিনিটে এবং সূর্যাস্তের ১২ মিনিট পর, ৫ টা ৫১ মিনিটে দেখা মিলবে নতুন চাঁদের। আর পার্থসহ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় নতুন চাঁদের জন্ম হবে স্থানীয় সময় ৯ এপ্রিল দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে। এদিন সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২ মিনিটে এবং সূর্যাস্তের ১৬ মিনিট পর, সন্ধ্যা ৬ টা ১৮ মিনিটে উদয় হবে শাওয়াল মাসের চাঁদ।

এর ফলে, আগামী ৯ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায় বিদায় নিচ্ছে ১৪৪৫ হিজরি বর্ষের রমজান। এতে আগামী ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।


আরও খবর



কেজিতে জিরার দাম কমলো ৫৫০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র রমজান ও ঈদ মাথায় রেখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে জিরা আমদানি। ফলে প্রতি কেজিতে ৫৫০ টাকা দাম কমেছে মসলাজাতীয় পণ্যটির। আগামীতে এর দর আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে হিলি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, এখন কেজিপ্রতি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১১৫০ টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে কেজিতে মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৫৫০ টাকা। সারাদেশের বাজারে যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গোটা দেশে প্রকারভেদে এই মসলা বিকোচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকায়।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন এবং হাকিমপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, চলতি বছর ভারত থেকে জিরা আমদানি বেশি হয়েছে। ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। গত জানুয়ারি থেকে ৩ মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দরপতন ঘটেছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করা ভালো মানের জিরা কাকা ৬০০ টাকা, বাবা ৬২০ টাকা, মধু ৬২০ টাকা, অমরিত ৬০০ টাকা, সোনা ৬৩০ টাকা এবং ডিবিগোল্ড ৬৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমায় ক্রেতার পাশাপাশি খুশি বিক্রেতারাও। তারা জানান, এতে বেড়েছে কেনাবেচা। হিলি বাজারের মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে নতুন জিরা ওঠায় বন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে দর কমছে।

গত বছর রোজা শুরুর আগে দেশের বাজারে কেজিপ্রতি জিরা বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। তবে ডলার সংকট, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে কয়েক দফা বেড়ে গত ডিসেম্বরে খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় জিরা বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায়। এখন সেই জিরাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৪০ টাকা কেজিতে।


আরও খবর
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪