আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বহিষ্কৃত
ছাত্রলীগ নেতা আশিকুল ইসলাম বিটু ক্লাসে ফিরেছেন। এর প্রতিবাদে বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ
থেকে কোনো পদক্ষেপ না আসায় ক্লাস বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান বুয়েট
শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকে ক্লাস বর্জনের
এই কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকাল দশটা থেকে উপাচার্যের অফিসের সামনে অবস্থান নেওয়া শুরু
করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের হাতে ‘নো ক্যাম্পাস
শেয়ারিং উইথ অ্যা মার্ডারার’, ‘বিটুর আজীবন বহিষ্কার
নিশ্চিত চাই’, ‘আবরার ভাইয়ের
রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা
যায়।
তবে শিক্ষার্থীদের কেউ মিডিয়ায় বক্তব্য
দিতে রাজি হয়নি। তারা বলছেন, কিছুক্ষণ পর সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের কথা জানানো হবে।
তবে আমরা কেউই ভাইয়ের খুনির সঙ্গে ক্লাস করতে রাজি নই।
আরও পড়ুন>> প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাল মন্ত্রণালয়
উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থানকালে
শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার জনের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে
তারা ভেতরে কি আলোচনা করেন বা তাদের কী সিদ্ধান্ত সেটি এখনো জানায়নি। সংবাদ সম্মেলনের
মাধ্যমে তারা সেটি জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে ২০২১ সালের ২২ মে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
বিভাগের অনলাইন ক্লাসে যোগদান করেন আশিকুল ইসলাম বিটু। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তখনও ক্লাস
বর্জনের মতো প্রতিবাদ কর্মসূচি দিলে তিনি আর ক্লাস করতে পারেননি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম (বিটু) আবারও ক্লাসে ফিরে এসেছেন। গত ৬ আগস্ট কেমিক্যাল ১৯ ব্যাচের ক্লাসে তাকে ফের দেখা যায়। এ ঘটনায় বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়। দ্রুত তার কোর্স রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বাতিল করার দাবিতে আজ থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে আশিকুল ইসলামের (বিটু) কোর্স রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বাতিল করতে বুয়েটে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আশিকুল ইসলাম (বিটু) ক্লাসে ফিরে আসার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন।