বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় স্বামী সজীবের। স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বামী নিশ্চিত হন তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সজীব তার স্ত্রীর কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে ঘটনা খুলে বলেন স্ত্রী। জানান, দীর্ঘদিন ধরে সৎ বাবার কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা করলে ধর্ষক বাবাকে জেলহাজতে পাঠায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
পুলিশের কাছে নববধূ জানিয়েছেন, তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন। এর ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। অপরদিকে সৎ বাবাও বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গনি মিয়া। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত ওই ধর্ষক বাবার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন মুন্সিগঞ্জ গ্রামে। তিনি ১৭ বছর ধরে আলমডাঙ্গার চিৎলা গ্রামের দুই কন্যাসন্তানের মাকে বিয়ের পর থেকে ঘরজামাই হিসেবে আছেন।
জানা যায়, ২২ দিন আগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের সজীবের সঙ্গে একই ইউনিয়নের এক কিশোরীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নববধূর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করেন স্বামী সজীব। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে স্ত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন, স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শেষে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কাজী তালাক কার্যক্রম করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. একরামুল হোসাইন বলেন, ‘বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় ওই নববধূর বমি বমি ভাবসহ অন্তঃসত্ত্বার সম্ভবনা লক্ষ করা যায়। পরবর্তীতে ডাক্তারি পরীক্ষার পর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়ে। ওই কিশোরী বাবা দ্বারা ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা প্রকাশ করেন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ওই কিশোরীর বক্তব্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, ‘কিশোরী মেয়ে ও তার সৎ বাবাকে আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেয়েটি জানিয়েছেন তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। সৎ বাবাও ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আমাদের কাছে।’