আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিয়ে সতর্কতা!

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বিয়ে একটি প্রয়োজন। বিয়ে একটি চুক্তি। শারীরিক মানসিক আবেগিক ও সামাজিক প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে সম্পাদিত একটি চুক্তি। এই চুক্তি সম্পাদনে দুই পরিবারের ভূমিকা যত সৌহার্দ্যমণ্ডিত হবে, পারিবারিক জীবনে আনন্দ-উচ্ছলতা তত বাড়বে।

আরও পড়ুন: মেহেদির রঙ গাঢ় করার উপায়

১. সমসামাজিক, সমসাংস্কৃতিক, সম-আর্থিক ও সমধর্মীয় পরিমণ্ডলে বিয়ে করুন।

২. মা-বাবার সম্মতি ও দোয়া ছাড়া বিয়ে কখনো সুখের হয় না। সেখানে সবসময় একটা শূন্যতা থেকে যায়।

৩. যত ভালো লাগাই থাকুকবিয়ের আগে যৌনাচার, একসাথে থাকা বা লিভ টুগেদার একটি বিকৃত চর্চা। এ ধরনের চর্চা পরিণামে হতাশা বাড়ায়, পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে সন্দেহ-অবিশ্বাস সৃষ্টি করে।

৪. জোর করে বিয়ে দেয়া খুন করার চেয়েও বড় অপরাধ। বিয়ের ব্যাপারে ছেলে/ মেয়ের শারীরিক বা মানসিক অনাগ্রহ বা অক্ষমতা পরবর্তীকালে বিয়ে-বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।

৫. পাত্র/ পাত্রী পছন্দের ক্ষেত্রে মুরুব্বি/ আত্মীয়-পরিজনের সাহায্য নিন, পরামর্শ করুন। তবে নিজে পাত্র/ পাত্রীকে সরাসরি দেখুন এবং কথাবার্তা বলে সিদ্ধান্ত নিন।

৬. পাত্র/ পাত্রীর রূপ, সম্পদ ও সামাজিক অবস্থানের চেয়েও গুরুত্ব দিন সুশিক্ষা, আদর্শ, মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে। খোঁজ নিন, তিনি জুয়া মাদক ঋণ ও ভার্চুয়াল ভাইরাস-সহ যে-কোনো ধরনের আসক্তি থেকে মুক্ত কিনা।

৭. নবীজী (স) বলেছেন, কোনো নারীকে চারটি যোগ্যতার জন্যে বিয়ে করা যায়। ১. সম্পদ, ২. বংশমর্যাদা, ৩. রূপ, ৪. গুণ। এমন নারী খোঁজ করো যার গুণ আছে। অন্য বিবেচনায় বিয়ে করলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

৮. বিয়ে করার সাথে আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। শারীরিক-মানসিক ও আইনগতভাবে সাবালক হলে আপনি আপনার প্রয়োজনমতো সময়ে বিয়ে করতে পারেন।

৯. বিয়ের সিদ্ধান্তে তাড়াহুড়ো করবেন না। পাত্রপক্ষ/ পাত্রীপক্ষের লৌকিক আচরণ দেখেই মুগ্ধ হবেন না। সব ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

১০. পাত্র/ পাত্রীর নিকটাত্মীয় বা প্রতিবেশী হিসেবে কেউ আপনার কাছে পাত্রী/ পাত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনি যতটুকু জানেন, ততটুকুই বলুন। অতিপ্রশংসা বা অহেতুক নিন্দা- কোনোটিই করবেন না।

১১. পাত্র/ পাত্রীর বায়োডাটা ও ছবি দেখেই পছন্দ বা নাকচ করবেন না। অভিভাবকদের কেউ তার সাথে দেখা করে এলে সে অভিজ্ঞতা শুনুন। তারপর নিজে দেখা করবেন কিনা সিদ্ধান্ত নিন। ছবি আর কাগজের তথ্যের চেয়ে বাস্তব মানুষটির সাথে সাক্ষাৎ আপনার সিদ্ধান্ত নেয়াকে সহজ করবে।

১২. পাত্র/ পাত্রীর বায়োডাটা দেখে উভয়ের সম্মতি থাকলে এপয়েন্টমেন্টের ভিত্তিতে সামনা সামনি দেখার ব্যবস্থা করুন। হঠাৎ করে পাত্র বা পাত্রীর কর্মক্ষেত্রে/ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তাকে অপ্রস্তুত করবেন না।

১৩. পাত্র/ পাত্রী তার নিজের বাসায় মানুষ হিসেবে কেমন, এ বিষয়ে জানতে তার নিকটাত্মীয়/ প্রতিবেশীর কাছে খোঁজ নিন।

১৪. বিয়ের কথা পাকা হওয়ার আগে দেখাদেখির খবর যত কম মানুষ জানবে তত ভালো।

১৫. বিয়ের আগেই নিজ উপার্জনের পরিমাণ এবং আর্থিক সঙ্গতি নিয়ে হবু স্ত্রীর সাথে সরাসরি কথা বলে তাকে সঠিক ধারণা দিন।

১৬. যৌতুক দেয়া ও নেয়া অপরাধ। যৌতুক নেয়া কাপুরুষতা। আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন প্রত্যেক পুরুষের উচিত যৌতুক বর্জন করা।

১৭. দেনমোহর পাত্রের সাধ্যের মধ্যে নির্ধারণ করুন। দেনমোহর স্ত্রীর কাছে স্বামীর ঋণ। তাই দাম্পত্য জীবন শুরুর আগে দেনমোহর পুরোপুরি শোধ করুন। বাস্তব কারণে সম্ভব না হলে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে স্ত্রীকে তা পরিশোধ করুন।

১৮. বিয়ের নিমন্ত্রণ মুখে জানানোই যথেষ্ট। সেইসাথে টেক্সট মেসেজ বা ই-মেইলও করে রাখতে পারেন। আর কার্ড করতে চাইলে পরিমিত খরচ করুন এবং তা সরাসরি সাক্ষাৎ করে দিন।

১৯. দাওয়াত করলে পুরো পরিবারকে করুন। পরিবারের একজন/ দুজন বা শুধু স্বামী-স্ত্রীকে দাওয়াত দেয়ার মানসিকতা পরিহার করুন। নিজেরাও পারতপক্ষে এ ধরনের দাওয়াতে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকুন।

২০. বিয়ের দিনটি হলো দায়িত্বপূর্ণ দীর্ঘ যাত্রার প্রথমদিন। তাই শুধু বিয়ের দিনটির সব আয়োজন, জল্পনা-কল্পনায় বিভোর না হয়ে বিবাহিত জীবন কীভাবে সুন্দর করা যায় তা নিয়ে ভাবুন।

২১. বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কনের উপস্থিতি, অতিথি আপ্যায়ন ও যাবতীয় আয়োজনে নির্ধারিত সময়সূচি অনুসরণ করুন।

২২. বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় জাঁকজমক করতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হবেন না এবং অপচয় করবেন না। মনে রাখুন, যে বিয়েতে অপচয় ও হইহল্লা যত বেশি সে বিয়েতে সুখের পরিমাণ তত কম।

২৩. বিয়েতে একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অর্থের অপচয় না করে দুপক্ষ মিলে যৌথ খরচে একটি অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করুন।

২৪. বিয়ে জীবনের একটি সহজ-স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু মিডিয়া, পণ্য আগ্রাসন, সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক কুসংস্কার একে করেছে জটিল ও ভারাক্রান্ত। সুখী হতে হলে অপ্রয়োজনীয় লোকাচার ও সংস্কার বর্জন করুন।

২৫. বিয়েতে অঢেল খরচ করলে সমাজের কাছে মাথা উঁচু হবে আর না করলে ছোট মনের পরিচয় ফুটে উঠবে, সবাই খোঁটা দেবে- এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।

২৬. বিয়ের অনুষ্ঠান ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম ও ফটোগ্রাফারের নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দেবেন না। বর-কনে শুধু নিজেদের ছবি তোলায় ব্যস্ত না থেকে অতিথিদের শুভকামনা ও দোয়া নিতে মনোযোগী হোন।

২৭. অনুষ্ঠানের ভেন্যু নির্বাচনে মেহমানের সংখ্যা বিবেচনা করুন।

২৮. অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রণপত্রের সময়সূচি অনুসরণে আন্তরিক হোন।

২৯. আত্মীয়স্বজন বিয়েবাড়িতে রাত্রিযাপন করলে তাদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখুন।

৩০. অতিরিক্ত মেহমান চলে এলে অস্থিরতা বা বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। একে বাড়তি বরকত বা আশীর্বাদ মনে করুন।

৩১. বিয়ের অনুষ্ঠানে উভয়পক্ষই নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি অতিথি বা বরযাত্রী নেয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে কোনো কারণে অতিথির সংখ্যা অতিরিক্ত হয়ে গেলে আগেই মেজবানের সম্মতি নিন।

৩২. সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্যে স্রষ্টার রহমত সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তাই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গিয়ে প্রাত্যহিক ইবাদত/ উপাসনায় যাতে ছেদ না পড়ে, সেদিকে নজর রাখুন।

৩৩. বিয়েতে উপহার না দেয়ার জন্যে নিমন্ত্রিতদের অনুরোধ করুন। তারপরও কেউ উপহার নিয়ে এলে তা এমন কাউকে দিয়ে দিন যার প্রয়োজন আছে।

৩৪. বিয়ের আনন্দের সাথে মিষ্টির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে ও অতিথি আপ্যায়নে কাউকে মিষ্টি নামের বিষ না খাইয়ে মৌসুমি ফল, খেজুর বা বাদাম পরিবেশন করুন।

৩৫. কাবিন/ আকদ হয়ে যাওয়ার পর বর-কনের একসাথে থাকতে কোনো বাধা নেই। তাই পরে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা থাকলেও কাবিন হয়ে গেলে কনেকে (বরপক্ষের) বাড়িতে নিয়ে আসুন।

৩৬. বিয়ে হচ্ছে না বলে কাউকে খোঁটা দেবেন না, কটুকথা শোনাবেন না। তার প্রতি সমমর্মিতা পোষণ করুন।

৩৭. বিয়ে বিলম্বিত হচ্ছে বলে হতাশ হবেন না। হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। চেহারা গুণ যোগ্যতাসবমিলিয়ে আগে নিজেকে নিজে শ্রদ্ধা করুন। এতে অন্যদের কাছেও আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

৩৮. বিয়ের অনুষ্ঠানে অবিবাহিত কাউকে বিয়ে করেন নি কেন/ বিয়ে হচ্ছে না কেন’−এ ধরনের বিব্রতকর প্রশ্ন করবেন না। উপযুক্ত পাত্র/ পাত্রীর খোঁজ জানা থাকলে পরবর্তী সময়ে তার অভিভাবকদের সাথে কথা বলুন।

৩৯. বর-কনের গায়ের রং, চেহারা, উচ্চতা, বয়স, ডিগ্রি, সামাজিক মর্যাদা, সাজসজ্জা, পোশাক ও আপ্যায়নের ভুলত্রুটিসহ সব ধরনের নেতিবাচক আলাপ থেকে বিরত থাকুন।

৪০. কারো বিয়ের দাওয়াত না পেলে পরবর্তী সময়ে দেখা হলে কখনো রসিকতা করেও এ প্রসঙ্গ তুলবেন না। বরং বিয়ের খবরে যে খুশি হয়েছেন, তা বলুন। নবদম্পতির জন্যে দোয়া করুন।

৪১. বিয়ের পরে স্বামী/ স্ত্রী শুধু নিজেদের মধ্যে নয়, দুই পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথেও সময় কাটান। তাদেরকে বোঝার চেষ্টা করুন। এতে পারস্পরিক সম্পর্ক সুন্দর হবে।


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের দিকে নজর সবার। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বেশ তৎপর। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই এবার দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। তাই-তো তৃতীয় কোনো প্রার্থী থাকলে সেদিকেও নজর দিতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) তাদের নিজস্ব বলয়ে রাখতে চাইছেন উপজেলাগুলো। আবার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও চাচ্ছেন, তাদের বলয়ের মধ্যে থাকুক উপজেলার চেয়ার। এমন এক বা একাধিক বলয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে প্রার্থীদের।

তবে, একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান না। কোনো রকম প্রভাব ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা তাদের।

বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। তার মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রার্থী। তবে, বিএনপি ও জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেক প্রার্থী এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দৌড়ে আছেন। এ নিয়ে চিন্তিত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। তাদের এক পক্ষ হস্তক্ষেপ চান, অপর পক্ষ হস্তক্ষেপ চান না বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র মতে, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে থাকার রেষ কাটতে না কাটতে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের সব জের যেন উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ পাচ্ছে। অনেকের মতে, তৃণমূলে আরও বড় হচ্ছে বিভেদের দেয়াল। গেল সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্যের যে বাঁক-বদল হয়েছিল, আসছে উপজেলার ভোটে তা আরও নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় নিকটাত্মীয়দের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা-বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য হলো, এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী-মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিকটাত্মীয়ের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা এগুলো জানি। তদন্ত করে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

“প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল থেকে প্রতীক ও কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে না। এতে যে যার মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। এজন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আবার কেন্দ্র থেকেও পছন্দের প্রার্থী সমর্থনের ইশারা দিচ্ছেন কেউ কেউ। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

বর্তমান সংসদ সদস্য ও তার আশেপাশের নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দল) একশ ভাগ প্রভাব বিস্তার করবে। আমি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছি, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাচ্ছি, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। ভোট দিতে পারে।”

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।”

জানা গেছে, ২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, শুরুতে এ নির্বাচনে কিছু জায়গায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের পাশের এক উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যে সমস্যা হয়েছিল, উপজেলাতেও সেটা হচ্ছে। স্বতন্ত্র এমপিরা মাঠ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও বসে নেই। তারাও নিজেদের বলয় টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। এতে অন্যান্য প্রার্থীরা বিপদের মুখে পড়েছেন। কেউ দেখাচ্ছেন সাংগঠনিক ভয়, আবার কেউ দেখাচ্ছেন এমপির ভয়। কেউ ঢাকায় বসে, আবার কেউ এলাকায় বসে রাজত্ব চাচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। কারও ইশারায় কাজ করা যাবে না। সবাই হস্তক্ষেপ করতে চাইবে, কিন্তু প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর



এবার পরিধি বাড়ছে মঙ্গল শোভাযাত্রার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদ্‌যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ জানিয়েছেন, এবারের পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার পরিধি বাড়ছে। যা চারুকলা থেকে বের হয়ে শিশু পার্ক ঘুরে ফের টিএসসিতে এসে শেষ হবে। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চারুকলায় পহেলা বৈশাখ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য হলো আমরা তো তিমিরবিনাশী। প্রতিপাদ্যটি নেয়া হয়েছে কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা থেকে।

তিনি বলেন, এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রার নিরাপত্তা দিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তবে দূর থেকে। এদিকে এবার চারুকলারও ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। এজন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলে জানান চারুকলা অনুষদের ডিন নিসারুল হোসেন।

অন্যদিকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা রক্ষার নামে সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তাকে জামিন দেন।

আদালতে মামুনুল হকের পক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন শুনানিতে অংশ নেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। পরে ওই রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নেন তার অনুসারীরা। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।

এ ঘটনার ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।

১৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে। একই বছরের ৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ।


আরও খবর



চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌ-রুটে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি যাতায়াত সুবিধা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিউম্যান২৪’ এর উদ্যোগে বিনামূল্যে ঈদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়েছে আজ। সোমবার (৮ এপ্রিল) ঈদযাত্রা কর্মসূচির প্রথম দিনে নৌপথে বিনামূল্যে বাড়ি গেছেন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটি।

কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ-রুটের এমভি আইভি রহমানসহ বেশ কিছু নৌযানে এসব শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রথমে হালিশহর থেকে বাসে করে কুমিরা ঘাটে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়।

মোহাম্মদ তারেক নামে হিউম্যান২৪ এর একজন সমন্বয়কারী জানান, নানা কারণে সন্দ্বীপ যাত্রা কিছুটা ব্যয়বহুল ও বেশ কষ্টসাধ্য। শিক্ষার্থীরা যাতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় করে বাড়ি ফিরতে পারে সেই জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে আগামী মঙ্গল ও বুধবার এই কর্মসূচি অব্যহত থাকবে । তিনি আরও জানান, ঈদের পরে তিনদিন সন্দ্বীপ থেকে শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।

মোহাম্মদ মোক্তাদির নামক একজন শিক্ষার্থী জানান, ঈদে অনেক সময় টিকিট পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। হিউম্যান ২৪ এর এই উদ্যোগের ফলে আমাদের বাড়ি ফেরাটা অনেক সহজ হয়ে গেল।

উদ্যোক্তরা জানান, এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি অনলাইন ফরম পূরণের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হয়। অফলাইনেও চট্টগ্রামের হালিশহরে দুটি ঠিকানায় নিবন্ধন করতে পারবে।

২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরের সময় একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে সন্দ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বাড়ি ফেরা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জনের কারণে এ বছরও তা অব্যাহত রাখা হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ইরানে ইসরাইলের পাল্টা হামলায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়ে গেছে জ্বালানি তেল ও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম স্বর্ণের দাম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, ইসরাইলের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইরানের একটি স্থানে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে’ বলে খবর পাওয়া গেছে। এমন খবরে বিশ্ববাজারে মুহূর্তের মধ্যেই জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে সাড়ে ৩ শতাংশের বেশি। এতে আবার প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছাড়িয়ে গেছে ৯০ ডলার।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে আবারও অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ায় প্রতি ব্যারেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় ৩.৬৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ ডলার ২৭ সেন্টে। আর প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩.৬ শতাংশ বেড়ে ঠেকেছে ৮৫ ডলার ৭৬ সেন্টে।

মধ্যপ্রাচ্যের এ অস্থিরতায় নতুন রেকর্ড গড়েছে স্বর্ণের দামও। দাম বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্সের স্বর্ণ বেচাকেনা হয়েছে ২ হাজার ৪১১ ডলার ৯ সেন্টে।


আরও খবর