আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ মে ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

বারডেম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই রোগী অন্যান্য রোগের পাশাপাশি মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত একজন রোগী এখনো বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনাক্ত হওয়া আরেকজন রোগী অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন।

বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তি থাকা রোগীর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। তাকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে বারডেম হাসপাতালের একটি কেবিনে ৫৫ বছর বয়সী এই রোগীর চিকিৎসা চলছে। রোগীর বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। প্রায় এক মাস আগে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি যান। কিন্তু আবার জ্বর দেখা দিলে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বারডেমে নেওয়া হয়।

মিউকোরমাইকোসিস ছোঁয়াচে নয়। শরীরের যেকোনো স্থানে এর সংক্রমণ হতে পারে। নাকের আশপাশে ও চোখে সংক্রমণ বেশি হয়। চোখে সংক্রমণ হলে তা দ্রুত মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত এলাকায় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ওই এলাকা কালো হয়ে যায়। তাই একে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসবলা হয়।

নিউজ ট্যাগ: ব্ল্যাক ফাঙ্গাস

আরও খবর



ডিইউজের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টায় এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফরিদ হোসেন।

নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে। ফলে সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

নির্বাচনে সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন-আবদুল মজিদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন-আকতার হোসেন, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, এ জিহাদুর রহমান জিহাদ ও খায়রুল আলম।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন-আশরাফুল ইসলাম, আসলাম সানী, নজরুল ইসলাম মিঠু ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম। সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন- ইব্রাহিম খলিল খোকন, বাঁধন কুমার সরকার, মো. রেজাউর রহিম, রফিকুল ইসলাম সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর।

যুগ্ম সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন-আছাদুজ্জামান, এস এম সাইফ আলী, জাকির হোসেন ইমন, ফজলুল হক বাবু, ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী ও মো. শাহজাহান মিঞা। কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য লড়ছেন-মীর আফরোজ জামান, রেজাউল কারীম, সাকিলা পারভীন ও সোহেলী চৌধুরী।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন গোলাম মুজতবা ধ্রুব, জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও রাজু হামিদ। আইন বিষয়ক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আসাদুর রহমান, মাসুম আহাম্মদ ও রবিউল হক। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আমানউল্লাহ আমান, এম শাহজাহান সাজু ও মুহাম্মদ মামুন শেখ।

দপ্তর সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আইরিন নিয়াজি মান্না, এ কে এম ওবায়দুর রহমান ও জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী। কল্যাণ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন- আনোয়ার হোসেন, রেহানা পারভীন ও শাহজাহান স্বপন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন- ইস্রাফিল হাওলাদার, এস এম বাবুল হোসেন, দুলাল খান ও মো. আসাদুজ্জামান (লিমন আহমেদ)। নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন দীপা ঘোষ রীতা, সুমি খান ও সুরাইয়া অনু।

নির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে ৮টি পদের জন্য লড়ছেন-অনজন রহমান, আতাউর রহমান জুয়েল, আনোয়ার সাদাত সবুজ, আনোয়ার হোসেন আকাশ, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, এ এম শাহজাহান মিয়া, এম এ রহিম রনো, এম জহিরুল ইসলাম, এস এম মোশাররফ হোসেন, জি এম মাসুদ ঢালী, নাঈম মাশরেকী, নাসরিন বেগম গীতি, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী হিমেল, মো. কিরণ মোস্তফা, মো. মেহেদী জামান, মো. শাহীন আলম, মো. সাজেদুল ইসলাম রাজু, মোহাম্মদ খসরু নোমান, রাগেবুল রেজা, রারজানা সুলতানা, শহিদুল ইসলাম স্বপন, শাহিদুর রহমান শাহিদ, সাজেদা হক, সাজ্জাদ হোসেন চিশতী এবং সালাম মাহমুদ।

নিউজ ট্যাগ: ডিইউজে

আরও খবর



ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরিতে কী খাবেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডায়াবেটিস রোগীদের টানা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখলে তাদের জন্য সেহরি বাধ্যতামূলক।

একজন ডায়াবেটিস রোগী সঠিক নিয়মে সঠিক খাবার দিয়ে সেহরি করলে, খুব সহজে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন। আসুন জেনে নিই কিছু টিপস; যা আপনাকে দীর্ঘ একটি দিনেও রোজা রাখতে সাহায্য করবে।

১. অনেকে মনে করেন, সেহরি পেটপুরে খেলে সারা দিনে ক্ষুধা লাগে না। তাই অনেককে সেহরি বেশি খেতে দেখা যায়। শেষ সময় পর্যন্ত অনেকে পানি পান করতেই থাকেন। এটি বরং অস্বস্তি তৈরি করবে।

২. অন্য সময় দুপুরে বা নৈশভোজে যা খেতেন, সেহরি সেই স্বাভাবিক খাবারটাই খাবেন। পরিমিত পরিমাণে ভাত অথবা রুটি, সঙ্গে মাছ বা মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ। শেষে এক কাপ দুধ বা দই।

৩. ডায়াবেটিস রোগীরা সেহরি আতপ চালের ভাত খাবেন না। লাল চালের ভাত খাওয়া ভালো। কারণ, সেদ্ধ মোটা চাল ও লাল চালের গ্লাইসিমিক ইনডেক্স অনেক কম। এতে ফাইবার বেশি, তাই ধীরে শোষিত হয়। তাই সারা দিন ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করবে। ভাতের বদলে লাল আটার রুটিও খেতে পারেন।

৪. অনেক বেশি খাবার খেলে বদহজম, গ্যাসের সমস্যা হওয়া ছাড়াও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

৫. সবজির পাশাপাশি কিছু শাক অবশ্যই খাবেন। শাকের সেলুলুজ আপনাকে সারা দিনে পেট ভরে থাকার মতো অনুভূতি দেবে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।

৬. সেহরি শেষ সময়ের ১০-১৫ মিনিট আগে খাওয়া শেষ করতে হবে। অনেকের স্বভাব, মাঝরাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া। ডায়াবেটিস রোগীরা তা কখনো করবেন না।

৭. বিরিয়ানিপোলাও বা খিচুড়ির মতো খাবার খাবেন না। এগুলো পানির চাহিদা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

৮. প্রোটিন হিসেবে মাংসের বদলে মাছ খান অথবা ঘন ডাল রাখুন।

৯. অনেকে ওজন কমাতে কিছু না খেয়েই রোজা রাখেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

১০. চাইলে একটা খোসাসহ ফল খেতে পারেন।

১১. সন্ধ্যা থেকে সেহরি পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন। সেহরি চাকফি পান করলে ডিহাইড্রেশন বাড়বে।

সেহরি কোনো কিছুই বেশি খাবেন না। চাহিদার বেশি খাবার খেলেই বিপত্তি ঘটবে। শরীর প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে বাকিটা ফ্যাট হিসেবে আপনার শরীরে জমা করে রাখবে। ফলে ওজন বেড়ে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: ডায়াবেটিক রোগী

আরও খবর



আজ বিশ্ব পানি দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ বিশ্ব পানি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ওয়াটার ফর পিস বা শান্তির জন্য পানি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালনে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন পানি দিবস নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

জানা গেছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

পানি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোত্তম ব্যবহারই নিশ্চিত করতে পারে পানির সর্বজনীন ন্যায়ভিত্তিক বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা। পানি দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ওয়াটার ফর পিস সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পানি শান্তি কিংবা সংঘাত ঘটাতে পারে। পানির অসম বণ্টন বা দুষ্প্রাপ্যতা উত্তেজনা ও সংঘাত সৃষ্টি করে। সুষম পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

প্রতি বছর বিশ্ব পানি দিবস ঘিরে জাতিসংঘের বিশ্ব পানি উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে প্রত্যেকের পানি এবং পয়োনিষ্কাশনের অধিকার ও প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। দিবস পালনের মধ্যদিয়ে নিরাপদ পানির সংকট তুলে ধরা হয় এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে নিরাপদ পানি সংরক্ষণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।


আরও খবর
আজ আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস

বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪




গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকারের স্বীকৃতি দিলো ফ্রান্স

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স। সোমবার নিম্নকক্ষ অ্যাসম্বলি ন্যাশনাল ও উচ্চ কক্ষ সেনেটের অধিকাংশ সদস্য এ সংক্রান্ত একটি বিলে সমর্থন জানিয়ে ভোট দিয়েছেন।

কয়েক দিন আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দপ্তর ও বাসভবন এলিসি প্রাসাদ থেকে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে পাঠানো হয়েছিল বিলটি। সোমবার অ্যাসেম্বলি ন্যাশনাল ও সেনেটে যৌথভাবে বিলটির ওপর ভোট হয়।

অ্যাসেম্বলি ন্যাশনালের মোট আসনসংখ্যা ৫৭৭টি, সিনেটের ৩৪৮টি। ভোটের পর দেখা যায়, উভয় কক্ষের ৯২৫ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ৭৮০ জন বিলটির পক্ষে এবং ৭২ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। বাকি ৭৩ জন আইনপ্রণেতা ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন।

রাজধানী প্যারিস থেকে মাত্র ১৯ কিলোমিটার পশ্চিমে ভার্সাইলেস প্রাসাদে হয়েছে এই ভোট। বিলটি পাসের পর প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে জড়ো হয়ে আতশবাজি জ্বালিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাধারণ লোকজন ও গর্ভপাত বিষয়ক অধিকারকর্মীরা। তাদের অনেকের হাতেই আমার শরীর আমার পছন্দ (মাই বডি মাই চয়েস) প্ল্যাকার্ড ছিল।

গর্ভপাত ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের তুলনায় ফ্রান্সের জনগণ অনেক উদার। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ গর্ভপাতকে অবৈধ কোনো ব্যাপার বলে মনে করেন না। সোমবার আইন পাসের মাধ্যমে জনগণের এই ধারণাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে ফরাসি পার্লামেন্ট।

পার্লামেন্ট ভোটের পর এক বিবৃতিতে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল বলেন,এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আমরা নারীদের এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে আপনার শরীরের মালিক আপনি এবং এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক্তিয়ার একমাত্র আপনার, অন্য কারোর নয়। 

গত শতকের সত্তরের দশক পর্যন্ত ফ্রান্সে গর্ভপাত আইনত অবৈধ বলে বিবেচনা করা হতো। ১৯৭৪ সাল থেকে দেশটির নারী অধিকার কর্মীরা গর্ভপাতের আইনগত বৈধতা আদায়ে তৎপরতা শুরু করেন। পরে আশির দশকে গর্ভপাতকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দেয় ফ্রান্সের বিচারব্যবস্থা। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই গর্ভপাত আইনগতভাবে স্বীকৃত; তবে ফ্রান্সই প্রথম দেশ যেটি গর্ভপাতকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলো।

ফরাসি নারী অধিকার কর্মী লরা সিরিমানি রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায়ের তৎপরতা শুরু হয়েছিল, কিন্তু ২০২২ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে তা থেমে যায়। আমাদের ভয় ছিল, ফ্রান্সেও একই ঘটনা ঘটে কি না। কিন্তু তা হয়নি। (বিল পাসের খবর শোনার পর থেকে) আমি বার বার আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছি...একজন নারী অধিকার কর্মী হিসেবে, একজন নারী হিসেবে।

সোমবারের ভোটের পর গর্ভপাতের স্বীকৃতি সংক্রান্ত নতুন যে ধারাটি ফ্রান্সের সংবিধানে যুক্ত হতে যাচ্ছে, সেটির নাম আর্টিক্যাল ৩৪।

বিরোধীদের কটাক্ষ

ফ্রান্সের জনগণের অধিকাংশ গর্ভপাতের পক্ষে থাকলেও একে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে রাজি নন অনেকেই। সোমবারের ভোটের পর ফ্রান্সজুড়ে উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি সমালোচনাও শুরু হয়েছে।

পার্লামেন্ট ভোটের আগে এক বার্তায় দেশটির প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ম্যারিন লে পেন বলেন, এই ইস্যুটির সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু আমি বলতে চাই, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জনগণের আবেগকে তার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ব্যবহার করছেন। আগামী নির্বাচনে যে তিনি এই ব্যাপারটিকে কাজে লাগাবেন, তা জনগণ বুঝতে পারছে।

ফ্রান্সের ক্যাথলিক গির্জা অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্যাসকেল মরিনিয়েরে রয়টার্সকে বলেন, যে বিষয়টিকে সবাই নারীদের বিজয় বলে ভাবছে, তা আসলে নারীদের পরাজয়; আর পরাজয় সেই সব শিশুদের জন্য, যারা কোনোদিন পৃথিবীর আলো দেখতে পারবে না।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে মারামারি, তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, জাকির হোসেন মাসুদ ও শ্যামা আক্তারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ থেকে তাদের বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুদিনে ভোট দেন পাঁচ হাজার ৩১৯ জন আইনজীবী। কিন্তু ভোট গণনা দিনে হবে না রাতে এ নিয়ে তুমুল হট্টগোল আর সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষ। এ সময় হারিয়ে যায় ব্যালট বাক্স। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা উদ্ধার হয়।

এক পর্যায়ে গণনা ছাড়াই শুক্রবার সকালে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক, নাহিদ সুলতানা যুথীকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তবে বহিরাগতদের চাপে তার নাম ঘোষণার কথা জানান নির্বাচনের সাব-কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের। এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘোষণাটি লিখতে বাধ্য করা হয়।

ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেফতার পাঁচ আইনজীবীকে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও খবর