নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে এবং আরো বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে শেখ হাসিনা কিছু করবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামগ্রিক চিন্তা করেন। চট্টগ্রাম বন্দরের স্বার্থ, দেশের স্বার্থ ক্ষুন হয় এমন কিছু শেখ হাসিনার সরকার করবে না।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪নং গেইট সংলগ্ন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংযোজিত রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী কন্টেইনার স্ক্যানার স্থাপন ও হস্তান্তর এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা আরিফুর রহমান খান।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সব বন্দরে স্ক্যানার বসাতে হবে। তাঁর আন্তরিকতায় অনেক স্ক্যানার বসানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর রপ্তানি পণ্যের জন্য দুইটি স্ক্যানার বসানোর খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই খুশি হবেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আইএসপিএস কোড কমপ্লায়েন্স চট্টগ্রাম বন্দরের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখার জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আন্তর্জাতিক মহলে নিরাপদ হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্য আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি চট্টগ্রাম বন্দরে স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া মোংলা, পায়রা এবং অন্যান্য স্থল বন্দর ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে। সেখানেও স্ক্যানার বসানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের গৃহীত ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বহরে যুক্ত হয়েছে রপ্তানিমুখী কন্টেইনার স্ক্যানার। এটি রপ্তানি পণ্যের জাহাজীকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে, বন্দরের কন্টেইনার জট হ্রাস করবে, বৈধ বাণিজ্য সহজতর করবে, অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের রপ্তানি নিবৃত্ত করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বন্দর নিরাপত্তা সংস্থা এবং রপ্তানি সহযোগী দেশের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ও কার্যকর ব্যবস্থা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে সহায়তা করবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকার অভ্যন্তরে ৪ নম্বর ও সিপিএআর গেট সংলগ্ন এলাকায় এ স্ক্যানার দুইটি স্থাপন করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ২টি রপ্তানিমুখী গেটে ২টি কন্টেইনার স্ক্যানার, ২ সেট রেডিও একটিভ পোর্টাল মনিটর, স্ক্যান্ড ইমেজ মনিটরিং সেন্টার, রিয়েল টাইম সিসিটিভি ও ইমেজ মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে কার্গো রপ্তানির ক্ষেত্রে কার্যকর প্রয়োগ ও স্বেচ্ছা পরিপালনের মাধ্যমে বিদ্যমান কার্গো পরীক্ষা পদ্ধতিতে প্রচলিত ব্যক্তি কর্তৃক হস্তক্ষেপ প্রতিহত করা সম্ভব হবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, বাণিজ্যিক ব্যয় হ্রাস করাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত মনিটরিং ব্যবস্থা চালু হবে। বন্দরের সার্বিক উন্নয়ন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আজিম, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, ফাইভ আর অ্যাসোসিয়েটসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান জাহিদ রহমান প্রমূখ।