কুমিল্লায় র্যাবের সঙ্গে মাদকবিক্রেতাদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনায় কর্পোরাল মো. রুবেল গাজী নামে র্যাবের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনার পর তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা সিএমএইচ পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাতে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার জোড়কানন ইউনিয়নের লালবাগ এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন মাদকবিক্রেতা গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়াও দুই জনকে আটক করা হয়। তখন তাদের কাছ থেকে ৫৬ কেজি গাঁজা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন এবং দুই রাউন্ড অ্যামিনেশন উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-১১ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
গুলিবিদ্ধ মাদকবিক্রেতারা হলেন- মো. সাইদুল ইসলাম (২২), মো. হযরত আলী (২০) এবং মো. মশিউর রহমান (২১)। পালানোর সময় ঘটনাস্থলে গ্রেফতার দুই মাদকবিক্রেতা হলেন- সবুজ ইসলাম (২০) এবং মো. শরীফ (১৯)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি মাদকের একটি বড় চালান পার হচ্ছে সদর দক্ষিণ উপজেলার জোড়কানন ইউনিয়নের লালবাগ এলাকা দিয়ে। এমন খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এসময় কিছু সময় পর দূর থেকে দেখতে পায় ২০-২৫ জন মাদকবিক্রেতা কাঁধে করে মাদকের বস্তা নিয়ে মাঠ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন কর্তব্যরত টহল কমান্ডার তাদের থামতে বলে এবং নিজেদের র্যাব পরিচয় দেয়। কোন উত্তর না দিয়ে কয়েকজন মাদককারবারি দৌঁড়ে পালিয়ে যায় এবং কয়েকজন মাদককারবারি অতর্কিতভাবে গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও গুলি করে। এ ঘটনায় একজন র্যাব সদস্য ও তিনজন মাদকবিক্রেতা গুলিবিদ্ধ হন।
এছাড়াও তিনজন মাদকবিক্রেতার মধ্যে একজনের গুলি শরীর স্পর্শ করে চলে গেলে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দেয়। বর্তমানে তিনি র্যাব হেফাজতে রয়েছেন। বাকি দুইজন গুলিবিদ্ধ মাদককারবারি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা মেজর সাকিব হোসেন জানান, এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বাকি আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।