আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ বিচার হয়নি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ বিচার হয়নি। খন্ডিত বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে যারা ষড়যন্ত্রকারী তাদের বিচার হয়নি। পরিকল্পনায় যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়নি। যারা সুবিধাভোগী তাদের বিচার হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিচার হয়নি। আবার নতুন করে তদন্ত করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারার ২ এর বি অনুসারে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট করে তাদের বিচার করার সুযোগ রয়েছে। এখন সময় এসেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী, সুবিধাভোগী এবং যারা সে সময়ে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছিল তাদেরও বিচার করতে হবে। একটা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, কারা সুবিধাভোগী, কারা ষড়যন্ত্রকারী, এমনকি যারা আদালত থেকে ছাড়া পেয়েছেন তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা দরকার।

আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনের যে কলঙ্ক বাঙালি জাতির ললাটে লেপন করা হয়েছিল, এ কলঙ্ক কোনদিনই মুছে যাবে না। বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে জীবনের প্রায় ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু চাইলে পাকিস্তানিদের সাথে সমঝোতা করে পাকিস্তানের নেতা হিসেবে রাষ্ট্র ও সরকারে থাকতে পারতেন। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। পাকিস্তানিরা তাঁকে ফাঁসি দিতে পারেনি। কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি মুজিবের হত্যাকান্ড হিসেবে বিবেচনার অবকাশ নেই। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করার চেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতরা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করেছিল। স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে সে সময় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা দেওয়া হয়েছিল। এরশাদ সরকার, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সময়ে তারা পুনর্বাসিত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ১২টি রাষ্ট্রের হাইকমিশনে প্রতিষ্ঠা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এ অর্ডিন্যান্সকে পার্লামেন্টে ১৯৭৯ সালে আইনে পরিণত করেছে জিয়াউর রহমান। এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে খুনিদের পার্লামেন্টে নিয়ে এসে বিরোধী দলে বসিয়েছে। এভাবেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের শেষ আকাঙ্ক্ষার জায়গা, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুসহ সব আদর্শকে ধ্বংস করা হয়েছিল।

মন্ত্রী যোগ করেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর আবার নতুন করে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ২১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগকে তিনি আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা হবে। খুনিদের বিচারের লক্ষ্য নিয়ে তিনি ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করেন। জাতির দুর্ভাগ্য ৩৪ বছর অপেক্ষা করতে হয় জাতির জনকের খুনিদের বিচার করার জন্য। ৩৪ বছর পরও আমরা সব খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করতে পারিনি।

একজন শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, যে মানুষটি জীবনে কোন সুখ ভোগ করেন নি, যে মানুষটি আমাদের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের পরিশ্রম করা দরকার। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এ অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার জন্য আবার একটি মহল সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তারা ১৯৭৫ এ মিথ্যাচার করেছিল, মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। এখন সে জাতীয় একটি চক্র নানাভাবে মিথ্যাচার করছে। সে চক্রের অশুভ ষড়যন্ত্র, অশুভ পরিকল্পনা যাতে বাস্তবায়ন না হয় সে লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ শেখ হাসিনার কাছেই নিরাপদ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতেই সৃষ্টি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

এদিন দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রী।


আরও খবর



চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ালো টিসিবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিকেজি চিনির দাম একলাফে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা নির্ধারণ করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর আগে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের ৭০ টাকা কেজি দরে চিনি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর গত রমজানে প্রতিকেজি চিনির দাম ছিল আরও ১০ টাকা কম, প্রতি কেজি ৬০ টাকা।

বুধবার (৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির তথ্য জানিয়েছে টিসিবি। এখানে চিনির এ নতুন দাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, বাজারে দাম সমন্বয় করার জন্য চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে। আগে তুলনামূলক কমদামে চিনি বিক্রি করেছে টিসিবি। সর্বশেষ দুই-তিন মাস আগে ডিলারদের চিনি দেওয়া হতো, তখন দাম কমছিল। এখন বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়েছে।

একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ১০০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি।

টিসিবি বলছে, সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

জানা গেছে, রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তিব্বত মোড়ের পূর্ব কলোনী বাজার সংলগ্ন পলিটেকনিক মাঠে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় জমি ব্যবসায়ী সাধন মিয়া হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দুই জনকে একলাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতে বিচারক আক্তারুজ্জামান ভূইয়া এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৪ সালের ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানার আলোচিত জমি ব্যবসায়ী সাধন হত্যা মামলায় এক জনের যাবজ্জীবন ও দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৬ জুন রাতে সোনারগাঁওয়ের সাধনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে সাধনের পরিবারের পক্ষ থেকে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নারী সাংবাদিকের লাশ হস্তান্তর করা হবে না

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত নারী সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হবে না বলে জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে ওই নারী সাংবাদিক।

ওই নারী সাংবাদিকের লাশ এখনও হস্তান্তর না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উৎপল বড়ুয়া। তিনি বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার ওই লোক ছাড়াও আরও একজন অভিশ্রুতি শাস্ত্রীকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করেছেন।

ওই নারী সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও চাকরি ক্ষেত্রে নিজের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে শনিবার বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে অভিশ্রুতির নাম বৃষ্টি খাতুন নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং তার মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অভিশ্রুতির মৃত্যুর খবরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ছুটে আসেন এক ব্যক্তি। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা থেকে আসা সাবরুল আলম সবুজ নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে অভিশ্রুতির বাবা বলে দাবি করেন। তিনি জানান, অভিশ্রুতির আসল নাম বৃষ্টি খাতুন।

তবে জন্মনিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নামের ক্ষেত্রে কোনোটিতে বৃষ্টি খাতুন আবার কোনোটিতে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামটা দেওয়া আছে। এসব নথিতে বাবার নামের জায়গায় সাবরুল আলম সবুজ এবং মায়ের নাম বিউটি বেগম লেখা থাকলেও চাকরির জন্মবৃত্তান্তে মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী লেখা।

এদিকে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অভিশ্রুতির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিষয়টি নিশ্চিত হতে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে। তিনি বলেন, ওই নারী সাংবাদিকের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ওই নারী সাংবাদিককে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে চিনতেন তার সহকর্মীরা। ফেইসবুকেও তার ওই নাম পাওয়া যায়। মন্দিরে গিয়ে নিয়মিত পূজা-অর্চনাও করতেন তিনি।

২০ বছর বয়সী ওই তরুণীর জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে প্রবেশপত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নামের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন গরমিল রয়েছে। লাশ গ্রহণ করতে এসে সাবরুল আলম বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ে। ওর জন্ম ২৫ ডিসেম্বর মনে হয়। আমার মেয়ে। ওর ডাক নাম বৃষ্টি খাতুন। গ্রামে নাম বৃষ্টি, স্কুলে নাম বৃষ্টি, কুষ্টিয়া গভর্নমেন্ট মহিলা কলেজে যখন পড়েছে, তখনও বৃষ্টি, ঢাকাতে যখন ভর্তি হয়েছে ইডেন কলেজে, ঢাবি সাত কলেজের অধীনে, তখনও বৃষ্টি, দর্শনে পড়াশোনা করে রোল নম্বর ২৭৬, তখনও বৃষ্টি।

অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে বাবা-মায়ের নামে বিভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া গেছে। তবে, স্থায়ী ঠিকানা সব জায়গায় একই।

২০২১ সালের ৬ জুলাই ইস্যু করা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম বৃষ্টি খাতুন হিসাবেই রয়েছে। সেখানে পিতার নাম সবুজ শেখ এবং মাতার নাম বিউটি বেগম। কলেজের প্রবেশপত্রেও তার একই রকম তথ্য আছে।

সাবরুল আলম সবুজ যে এনআইডি কার্ড দেখিয়েছিলেন, তাতে বৃষ্টি খাতুন নাম দেখে প্রতারক ভেবে পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ইস্যু করা জন্ম নিবন্ধন সনদে আছে নাম অভিশ্রুতি লেখা হলেও বাবার নাম লেখা হয়েছে মো. সাবুরুল আলম এবং মায়ের নাম বিউটি বেগম।

অন্যদিকে, চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নিজের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী লিখেছেন তিনি। তবে বাবার নাম লেখা হয়েছে সাবুরুল আলম এবং মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী।

জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং জন্মবৃত্তান্তে জন্ম তারিখ ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর রয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৮।

অভিশ্রুতির ধর্ম পরিচয় নিয়ে আলোচনা চলছিল ফেইসবুকেও। নিজেকে অভিশ্রুতির কাছের বন্ধু পরিচয় দেওয়া মাহফুজুর রহমান নামের একজন এক পোস্টে লিখেছেন, ধর্মপরিচয় নিয়ে প্রশ্নের সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে তার কাছে। কিন্তু পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় শনিবারও মেয়ের লাশ বুঝে পাননি সাবরুল আলম সবুজ।


আরও খবর



যাদের কাজ নেই, তারাই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহী: ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত আছেন। গড়ে তুলেছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলন নামের সামাজিক সংগঠন। গেল দুই বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এই অভিনেতা। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, সমিতির আগামী নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না।

এবার জানালেন, যাদের কাজ নেই এবং যারা এই সমিতিরি সদস্য হওয়ার যোগ্যতাই রাখেন না, তাদেরই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহ। আর তাদের সংখ্যা ও দাপট দুটোই বেশি।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইলিয়াস কাঞ্চন আরও অভিযোগ করেন, ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয় এবং সব পক্ষের কাছ থেকেই তারা টাকা নেন।

জনপ্রিয় এই অভিনেতা জানান, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে অনেক সদস্যের জন্য নিজের মতো করে কাজ করতে পারেননি তিনি।

তার কথায়, শিল্পী সমিতিতে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোটার আছেন, যাদের আমিও চিনি না, অন্য অনেকেও চেনেন না। অথচ তারা শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্য। ভোট প্রদান করেন, নির্বাচনও করেন। আর এ কারণে সিনিয়র শিল্পী ও প্রকৃত শিল্পীরা সমিতিতে আসতে চান না। আসলে একবার যদি পূর্ণ সদস্য দিয়ে দেওয়া হয়, তখন বাদ দেওয়াটা মুশকিল।’

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমার কথা হচ্ছে, তারা থাকুন। সহযোগী হয়েই থাকুক। ভোটাধিকার না থাকুক। শুধু ভোটাধিকার থাকার কারণে নির্বাচনের সময়ে এরা বিশাল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। ভোটের সময় তাদের সবাইকে টাকা দেওয়া হয়। সব পক্ষের কাছ থেকে তারা টাকা নেন। আমি আসলে সংখ্যাটা উল্লেখ করতে পারব না। আমি দূরে থাকতে চাই। আমি যখন এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করলাম, তখন অন্যরা আমাকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। আমিও এসব নিয়ে তাই আর মাথা ঘামাতে চাই না।’

যাদের কাজ নেই তারাই সমিতি নিয়ে বেশি আগ্রহী এমনটা দাবি করে এই অভিনেতা বলেন, সহযোগী সদস্য যাদের হওয়ার কথা, তাদের আগ্রহটা বেশি। প্রচণ্ড রকম বেশি। এই সংগঠন তাদের প্রধান পরিচয়। প্রকৃত শিল্পীদের আগ্রহ সহযোগীদের চেয়ে অনেক কম। প্রকৃত শিল্পীদের তো সমিতির পরিচয় লাগে না। তাদের এমনিতেই সবাই চেনেন, এক নামে জানেন। সমিতি বরং প্রকৃত শিল্পীদের কারণে আলোকিত-আলোচিত হয়।’


আরও খবর



বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: মুন্সীগঞ্জের কলেজছাত্রী প্রিয়তির মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জ সদরের পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা ও সরকারি হরগঙ্গা কলেজের শিক্ষার্থী জেরিন খান প্রিয়তি (২১)।

পরিবার সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নিহত প্রিয়তি বিনোদপুর এলাকার অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন খানের মেয়ে। তিনি সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিজ এলাকায় প্রিয়ন্তীর জানাজা ও দাফনের কথা রয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আপনারা জানেন, গতকাল রাতে অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা ঘটে, যেটি কখনো কাম্য ছিল না। এ দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৪৬ জন মারা গেছেন। বাকি যে কয়জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে তাদের জন্য চেষ্টা করছি। আমি এখন আবার চিকিৎসকদের নিয়ে বসব। একটি পরিকল্পনা করব, কীভাবে কী করা যায়।

এর আগে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ রোগীদের দেখতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪