আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক সমালোচনার কঠোর জবাব দিতে হবে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একটা ভয়াবহ প্রচেষ্টা দেশের ও দেশের বাইরে চলছে। ১৯৭৫ এর প্রেক্ষাপট রচনা কিছু লোক করেছিল। সে সময় আস্থিতিশীলতা সৃষ্টি, সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষ্যাপিয়ে তোলা, অহেতুক বদনাম সৃষ্টি করাসহ ভয়াবহ নৈরাজ্যের একটি অবস্থা দেশের ভিতরে সৃষ্টি করেছিল কিছু মানুষ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক সমালোচনার কঠোর জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচন সভায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একটা ভয়াবহ প্রচেষ্টা দেশের ও দেশের বাইরে চলছে। ১৯৭৫ এর প্রেক্ষাপট রচনা কিছু লোক করেছিল। সে সময় আস্থিতিশীলতা সৃষ্টি, সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষ্যাপিয়ে তোলা, অহেতুক বদনাম সৃষ্টি করাসহ ভয়াবহ নৈরাজ্যের একটি অবস্থা দেশের ভিতরে সৃষ্টি করেছিল কিছু মানুষ। সে মানুষরা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। সামরিক শাসকদের গৃহপালিত বিরোধী দলে নেতৃত্ব দেওয়া এসব ব্যক্তিরা এখন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গণতন্ত্রের ছবক দিচ্ছে। তারা রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ও উপেক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়ে জোট গঠন করে নানাভাবে শিষ্টাচারহীন ভাষা ব্যবহার করছে, যেটা রাজনীতির ভাষা না। এ পরিস্থিতিতে মনেপ্রানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করেন যারা, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যারা বিশ্বাস করেন তাদের ঐক্যের ভিত্তি দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করা দরকার। মনে রাখতে হবে একজন শেখ হাসিনা থাকার কারণে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আবার ফিরে এসেছে। একজন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব না থাকলে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হতো না। একজন শেখ হাসিনা না থাকলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দর্প চূর্ণ করে তাদের বিচার করে বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হতো না। এজন্য তাঁর হাতকে শক্তিশালী করা জাতীয় শোক দিবসের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত।

মন্ত্রী যোগ করেন, দীর্ঘ ধারাবাহিক পরিকল্পনায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের 'গো অ্যাহেড' বলে এগিয়ে যেতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিল জিয়াউর রহমান। তাই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তে জিয়াউর রহমানের নাম আসা উচিত ছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এ আইন সংসদে পাস করেছে জিয়াউর রহমান। তাই আইনগতভাবে জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে দেয়নি।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ কন্টকাকীর্ণ ছিল উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। সে সময় বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্যক্তিদের বিচার করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগীদেরও বিচার করা হয়নি। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে খন্ডিত বিচার, অসম্পূর্ণ বিচার। নির্দিষ্ট খুনিদের বিচার হয়েছে কিন্তু ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অনেকেরই বিচার হয়নি। এখনও সে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু অবিনাশী সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, একটি বিশ্বাস, একটি দর্শন, পথ চলার পাথেয়। বঙ্গবন্ধুর আরোধ্য সাধনা ছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। তিনি তা দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু যা কিছু রেখে গেছেন সেটা ধারণ করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মো. সাঈদুর রহমান সেলিম প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



বগুড়া বোরো ধানের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষক-কিষানী।

এবার জেলায় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪ শত ৩২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা দেশে ধান-চালসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনের উদ্বৃত্ত জেলা হিসাবে বগুড়া খ্যাতি রয়েছে। জেলার মাঠ গুলো এখন সবুজের আভায় এক অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে। বোরো ধানের (পি আই)শিষ বের হওয়ার পূর্ব মুহুর্ত চলছে সারা জেলায়। সেচসহ আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ইরি-বোরো মৌসুমে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই জেলায় বোরো ধান লাগানো সম্পন্ন করেছে কৃষকেরা। এখন সেচ ও ধান খেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছে তারা। কৃষি বিভাগ জেলায় ১০০ ভাগ জমিতে বিদ্যুৎ চালিত মোটরের আওতায় সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে শেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। প্রতিদিন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে জমিতে পানির কোন সংকট হচ্ছে না।

সদর উপজেলার এরুলিয়া গ্রামের কৃষক সুলতান আলি জানান, বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সরবরাহ পাওয়ায় তাদের ইরি বোরো ধান চাষে খুব সুবিধা হয়েছে। বিঘা বা একর প্রতি ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সেচ যন্ত্রের মালিকের সাথে চুক্তি রয়েছে। জমির মালিকদের সেচ নেয়ার জন্য ঘুরতে হয় না। সেচ যন্ত্রের মালিকেরা নিজেরাই ধানের জমিতে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচ দিয়ে থাকেন। চুক্তির অর্ধেক টাকা দিয়ে বাকি টাকা ধান কাটার পর পরিশোধ করেন।

একই কথা জানালেন, কাহালু উপজেলার দেহড় গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম ও হিসাম উদ্দিন। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তারা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

অধিদপ্তর জানায়, এখনো পর্যন্ত জেলার ১২টি উপজেলার কোন স্থান থেকেই ইরি বোরো ধান চাষে কোন সমস্যার খবর তাদের কাছে আসেনি।

কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতলুবর রহমান বলেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জেলায় ৪২০০০ জন কৃষককে ২ কেজি হারে হাইব্রিড বিজ প্রনোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এবার লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ফলন হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে কাতারের আমির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেছেন সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা।

একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকালে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর



ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে হিজবুল্লাহর দুই শীর্ষ কমান্ডার নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সরাসরি হামলার পর পাল্টা ব্যবস্থা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। দেশটি এখনো সরাসরি ইরানে হামলা চালায়নি। তবে ইরানকে কাবু করতে ভিন্ন পথে হাঁটছে তেল আবিব। হঠাৎ করেই লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ওপর হামলা জোরদার করেছে তারা।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) লেবাননে হামলা চালিয়ে তারা হিজবুল্লাহর দুই শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ইসমাইল ইউসুফ বাজ নামের এক শীর্ষ হিজবুল্লাহ কমান্ডার। ইসরায়েলের দাবি মতে, যিনি দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে চালানো রকেট ও অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করতেন। হিজবুল্লাহও ইউসুফ বাজের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি।

একই দিন আরেকটি পৃথক হামলায় লেবাননের চেহাবিয়েহ শহরে হিজবুল্লাহর দুই সদস্যকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে ছিলেন মুহম্মদ শাহৌরি রাদওয়ান। যিনি পশ্চিম জেলা রকেট ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন।

গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলে যেসব রকেট ছোড়া হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণ করছিলেন রাদওয়ান। এ কমান্ডার খুব দক্ষ ও চতুর ছিলেন।


আরও খবর



ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ২ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। এরপর ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহতের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩) এবং শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম। বাকিদের নাম এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা ১১ জন যাত্রী ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। আরও পাঁচজন আহত রয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ফরিদপুর

আরও খবর



চলতি মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট ৯ মে

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। তবে হজের প্রথম ফ্লাইটের তারিখ ঘোষণা করা হলেও চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এখনো শিডিউল ঘোষণা হয়নি। দ্রুত এই শিডিউল যাত্রীদের জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

জানা গেছে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৪ হাজার ৩০৭ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পালিত হতে পারে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবছর ঈদের একমাস আগে থেকেই শুরু হয় হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্সগুলো। অথচ এবার এখনো শুরু হয়নি ভিসা কার্যক্রম। চূড়ান্ত হজযাত্রীদের তালিকা না পাওয়ায় ঘোষণা হয়নি ফ্লাইট শিডিউলও।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪