গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আবারও প্রাণির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এবার একটি ব্লু মেকাউ পাখির মৃত্যু খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেছে ওয়াইল্ডবিস্টের মৃত্যুর খবর। বরাবরই প্রাণি মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করার প্রবণতা ছিলো পার্ক কর্তৃপক্ষের। একটি প্রাণি বাচ্চা দিলে সেটার তথ্য দ্রুত গণমাধ্যমে দেয়া হলেও মৃত্যুর বিষয়টি ছিলো বিপরীত।
শ্রীপুর থানা সুত্রে জানা যায়, চলতি মাসে একটি ব্লু মেকাউ পাখি ও একটি ওয়াইল্ডবিস্টের বাচ্চার মৃত্যু বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। চলতি মাসের ৭ তারিখ ওয়াইল্ডবিস্ট ও ৮ তারিখ মারা যায় ব্লু মেকাউ। জিডি করেন সাফারি পার্কের ইনচার্জ সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম। জিডি নাম্বার ৩৫০ ও ৪৭৫। এর আগেও গত বছরের নভেম্বর মাসে মারা যায় আরেকটি ওয়াল্ডবিস্ট।
গাজীপুর জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) মো: আজমির হোসেন আজকের দর্পণকে ওয়াইল্ডবিস্ট ও ব্লু মেকাউ এর মৃত্যুর বিষয়ে শ্রীপুর থানায় জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয় ব্লু মেকাউ কোয়ারেন্টাইন শেডে ও ওয়াইল্ডবিস্টের বাচ্চা ১৪ মাস অসুস্থ্য থেকে মারা যায়।
বুধবার সকালে সাফারী পার্কে সাফারী কিংডম (ব্লু মেকাউ) ও কোর সাফারী (ওয়াইল্ডবিস্ট) জোনে কর্মরতদের সাথে কথা বললে তারা প্রাণি মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেন। পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজারের রুমটি ছিলো তালাবন্ধ।
প্রাণি মৃত্যুর তথ্য জানতে চাইলে সাফারী পার্কের ইনচার্জ (সহকারী বন সংরক্ষক) রফিকুল ইসলাম তথ্য অধিকার আইনের ফরমের মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে বলেন।
এর আগেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রাণি মৃত্যুর তথ্যগুলো গোপন রাখার প্রবণতা দেখা গেছে। গত বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও একটি সিংহী মারা যায়। সে বছর মোট ২৬টি প্রাণি মারা যায়। এসব প্রাণি মারা গেলেও সে সময় সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করা হয়নি। এমনকি বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া প্রাণির মৃত্যুর তথ্য যাচাই করতে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরা বারবার যোগাযোগ করলেও তিনি এগুলো পুরোপুরি অস্বীকার করেছিলেন।