আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় ৩০ কি‌লো‌মিটার যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মে ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
মহাসড়কের করটিয়া, টাঙ্গাইল বাইপাস, এলেঙ্গা, সল্লা, হাতিয়া এলাকায় যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীদের জটলা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের চেকপোস্ট থাকায় খালি কোনো যানবাহন দেখলেই যাত্রীরা তাতেই উঠে বসছে

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই এলাকায় থেমে থেমে যান চলাচল করছে। বুধবার (১২ মে) সকাল থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ট্রাক, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে চলাচল করা ঘরমুখী মানুষ। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের করটিয়া, টাঙ্গাইল বাইপাস, এলেঙ্গা, সল্লা, হাতিয়া এলাকায় যানবাহনের সঙ্গে যাত্রীদের জটলা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের চেকপোস্ট থাকায় খালি কোনো যানবাহন দেখলেই যাত্রীরা তাতেই উঠে বসছে। তাদের অধিকাংশই গার্মেন্টস কর্মী। ঘরমুখী এসব মানুষদের গুণতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি ভাড়া। গাদাগাদি করে বাড়ি ফেরা এসব মানুষদের মাঝে বেড়ে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

এ দিকে, চন্দ্রা, গোড়াই, মির্জাপুর ও দেওহাটা এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ রয়েছে। যার অধিকাংশই উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার লোক।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপার থেকে গাড়ি টানতে না পারায় টাঙ্গাইলের অংশে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হবে।

নিউজ ট্যাগ: বঙ্গবন্ধু সেতু

আরও খবর



আজ আন্তর্জাতিক নদী কৃত্য দিবস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। শতাধিক বড় বড় নদী জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে এ দেশজুড়ে। কালের বিবর্তনে বর্তমানে অনেক নদ-নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। দখলদারদের দৌরাত্ম্যে অনেক নদ-নদী ভরাট হয়ে অস্তিত্ব হারিয়েছে। এসব নদী মরে যাওয়ায় চাষবাসে সংকট, জীববৈচিত্র ধ্বংসসহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

নদী হারাচ্ছে তার বৈশিষ্ট্য, অন্যদিকে দূষণের মাত্রাও বাড়ছে। বিশেষ করে পানিতে বর্জ্য মিশ্রণের ফলে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে নদীগুলো।

নদীর প্রতি তাই দায়বদ্ধতা মনে করিয়ে দিতে ১৪ মার্চ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হবে।

জানা যায়, ১৯৯৭ সালে ব্রাজিলে কুরিতিবা শহরে এক সমাবেশ থেকে এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে এক হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। তাইওয়ান, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওই সম্মেলনে অংশ নেন প্রতিনিধিরা। ওই সম্মেলন থেকেই ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

দখল হওয়া নদী ও বিভিন্ন স্থানে গতিপথ পরিবর্তন, নাব্য হারিয়ে নদীভাঙন ব্যাপক হচ্ছে। এ নদীগুলো বাঁচানোর আকুতি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন পরিবেশবাদীরা। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) অন্যান্য পরিবেশবাদী সংগঠন উদ্যোগে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর বর্তমান অবস্থা সরজমিনে পরিদর্শন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এতে উপস্থিত থাকবেন বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, বাপার যুগ্ম সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক ও বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাস, নোঙর ট্রাস্টের সভাপতি সামস সুমন, আরডিআরসির সভাপতি মোহাম্মদ এজাজ, নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি ও অন্যান্য নেতারা।

নিউজ ট্যাগ: নদী কৃত্য দিবস

আরও খবর
আজ বিশ্ব পানি দিবস

শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪




উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৬ সদস্যের দুর্ধর্ষ ‘কিলার গ্রুপ’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয় ১৬ সদস্যের দুর্ধর্ষ কিলার গ্রুপ। যারা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং, অপহরণ, মাদক ও অস্ত্র সরবরাহ করত। একই সঙ্গে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামও নানা উপায়ে সংগ্রহ করত। যা দিয়ে নাশকতার পাশাপাশি পুরো ক্যাম্পের অপরাধ কার্যক্রম চালানো হতো।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার করিম উল্লাহসহ ৪ জনকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এলজি, ৭টি ককটেল, ৫ রাউন্ড এ্যামুনিশন এবং ১২ বোর ১ রাউন্ড গুলি।

উখিয়ার ঘোনারপাড়াস্থ ২০ নম্বর বর্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ নম্বর ব্লকে অভিযানে গ্রেফতারের মধ্যে রয়েছে বালুখালীর ২০ নম্বর ক্যাম্পের হোসেন আহমেদের ছেলে বর্তমানে বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ বিভাগের প্রধান মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ (৩২), কুতুপালং এর ৭ নম্বর ক্যাম্পের মৃত মো. কায়সারের ছেলে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী মো. আকিজ (২৭), ১৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে আরসার অর্থ বিভাগের সহযোগী মোহাম্মদ জুবায়ের (২৯), ২২ নম্বর ক্যাম্পের মৃত হাসমত উল্লাহর ছেলে আরসার গান গ্রুপের সদস্য সাবের হোসেন প্রকাশ মৌলভী সাবের (৩৫)।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন সংবাদ পেয়ে উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্পে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাবের অবস্থান টের পেয়ে আরসা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করা হয়। আর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও ককটেল।

তিনি জানান, গ্রেফতার আরসার এই ৪ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে হামলা করাসহ ৮টির অধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করে ৪ জনকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহর ব্যাপারে র‌্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতার মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ স্বপরিবারে ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় রাস্তার পাশে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে স্বপরিবারে ক্যাম্প-১২ তে গিয়ে বসতি নির্মাণ করে অস্থায়ীভাবে বসবাস এবং সেখান থেকে ক্যাম্প-২০ এ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তিনি ক্যাম্প-২০ এ বসবাসের সুবাদে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্যাম্প-২০ এর আরসা জিম্মাদার মৌলভী ইয়াসিনের মাধ্যমে আরসায় যোগদান এবং আরসার সাথী সদস্য হিসেবে কাজ করতে থাকে। তিনি ২০২০ সালে পার্শ্ববর্তী দেশে আরসার প্রশিক্ষণ শেষ করে বাংলাদেশে পুনরায় প্রবেশের পর ক্যাম্প-২০ এর এম/৩৩ ব্লকের জিম্মাদার এবং আরসার হয়ে হত্যা ও চাঁদাবাজি সহকারে নানান ধরনের অপকর্মের ফলশ্রুতিতে তাকে ক্যাম্প-২০ এর হেড জিম্মাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে তিনি ক্যাম্পে আরসার সদস্য বৃদ্ধি সহকারে তার নিজের প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। তার নেতৃত্বে ১৬ সদস্যদের একটি অস্ত্রধারী গান গ্রুপ পরিচালনা করতো। আরসার অস্ত্রধারী গান গ্রুপের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তারকাটার বাইরে বাংলাদেশের পাহাড়ে অবস্থান করে থাকে। রাতের আঁধারে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘঠিত করে আরসা সন্ত্রাসীরা সকাল ৭/৮ টার আগেই ক্যাম্প ত্যাগ করে পুনরায় পাহাড়ে অবস্থান নিতো।

জিজ্ঞাসাবাদে মো. করিম উল্লাহ জানান, আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির নির্দেশে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ টেকনাফের খারাংখালী এবং উনচিপ্রাং সীমান্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়া মাস্টার কলিম উল্লাহর কাছে আসতো। পরবর্তীতে সকল ক্যাম্পের জন্য বরাদ্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ তিনি নিজেই আরসা ক্যাম্প কমান্ডারদের কাছে হস্তান্তর করতো। অতঃপর ক্যাম্প কমান্ডাররা অস্ত্র-গোলাবারুদ আরসা কিলার গ্রুপের মাঝে সরবরাহ করতো। এছাড়াও মাস্টার কলিম উল্লাহ বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী ও সদরের ভারুয়াখালী এলাকা এবং টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেশীয় অস্ত্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় করতো।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, মো. করিম উল্লাহ নানা কৌশল অবলম্বন করে মাইন ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আরসার গোপন আস্তানা ও গহীন পাহাড়ে নিয়ে যেতো। পরবর্তীতে মাইন ও বিস্ফোরক তৈরির পারদর্শী আরসা সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের মাইন, বোমা ও বিস্ফোরক তৈরি করতো। তৈরি করা এ সকল বিস্ফোরক রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হতো। মো. করিম উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ৮টি মামলা রয়েছে।

মো. আকিজের ব্যাপারে র‌্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতার মো. আকিজ ২০১৭ সালের প্রথম দিকে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে উনচিপ্রাং সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং ক্যাম্প-৭ এ বসবাস শুরু করেন। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে ক্যাম্পে বসবাস করতেন। তিনি আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন। তাছাড়া তিনি আরসার অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আরসা প্রধানের পক্ষ থেকে বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতো। পরবর্তীতে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে চট্টগ্রামে বসবাসকালে তিনি আরসা নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতো এবং চট্টগ্রাম থেকে আরসার জন্য লজিস্টিক সামগ্রী সহকারে বিভিন্ন মালামাল পাঠাতো। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, মোহাম্মদ জুবায়ের বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ শাখার প্রধান মাস্টার কলিম উল্লাহ তার আপন চাচাতো ভাই। সেই সুবাদে মো. করিম উল্লাহর একান্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। এই সময়ে তিনি মাস্টার কলিম উল্লাহর নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি, অগ্নি সংযোগ সহকারে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার সাবের হোসেন প্রকাশ মৌলভী ২০১৭ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ক্যাম্প-২২ এ বসবাস করেন। এরপর ক্যাম্পের ইবনে আব্বাস মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। তিনি আরসার নেট গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তিনি আরসার সন্ত্রাসীদের পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করতো এবং আরসার সদস্যদের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আরসার গান গ্রুপের ক্যাম্পে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতো বলেও জানায় র‌্যাব অধিনায়ক।

র‌্যাব জানায়, এখন পর্যন্ত র‌্যাব-১৫ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সামরিক কমান্ডার, গান গ্রুপ কমান্ডার, অর্থ সম্পাদক, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও নানা বিভাগের প্রধানসহ ১০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ১০টি বিদেশি অস্ত্র, ৫২টি দেশীয় অস্ত্র, ১৪৪ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ, ৬৭ রাউন্ড খালি খোসা, ৫০.২১ কেজি বিস্ফোরক, ২৮ টি ককটেল, ৪টি আইইডি, ১.৫ কেজি মার্কারী (পারদ) এবং ৪টি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর



টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথম ম্যাচে অল্পের জন্য পাওয়া হয়নি জয়। পাহাড়সম রান তাড়ায় বাংলাদেশ অবশ্য দিয়েছে সাহসিকতার পরিচয়। সেই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে আজ বুধবার (৬ মার্চ) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইতোমধ্যে পিছিয়ে পড়েছেন শান্ত-লিটনরা। সিরিজে টিকে থাকতে আজ জয়ের বিকল্প নেই স্বাগতিকদের।

টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, আমরা আগের ম্যাচে দারুণ খেলেছি। সবার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। জিততে পারলে অবশ্যই ভালো হতো। আজ ভুলগুলো শুধরে জয়ের জন্যই নামব।

শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা বলেন, টস জিতলে আমরাও ব্যাটিংই নিতাম। আগের ম্যাচে আমাদের কিছু ভুল ছিল। যে কারণে প্রায় হেরে যাচ্ছিলাম। তবে, সেসব নিয়ে ভাবছি না। আজকের ম্যাচে নজর দিচ্ছি।

প্রথম ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ভরসা রেখেছে সেই ১১ জনের ওপর। যাদের নিয়ে আজ লড়াইটা সিরিজ বাঁচানোর।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ফের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষকদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

শিক্ষকদের দাবি না মানায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৯ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ৬ কর্মদিবস ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়(কুবি) শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান খান বলেন, শিক্ষক সমিতি গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ গঠিত হয়। এরপর পাঁচবার লিখিতভাবে আমাদের দাবিগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ উপাচার্য মহোদয় জানান, তিনি নাকি আমাদের দাবি পড়ার সময় পাননি। আমরা দাবি আদায়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ক্লাস বর্জন করি এবং লিখিত দিই। তাও তিনি ভ্রূক্ষেপ করেনি। আজ আমরা আবারো যখন উপাচার্যের কার্যালয়ে দেখা করে বলি, স্যার আপনি চাইলে আমাদের সংকট এক ঘণ্টায় সমাধান হবে, আর না চাইলে তা সম্ভব না। তখন তিনি উত্তরে বলেন 'আমি এ পরিস্থিতিকে কোন সংকট মনে করি না, তোমাদের যা ইচ্ছে করতে পারো। যদি কোর্টে যেতে চাও, যেতে পারো।'

তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষকদের কাজ কি কোর্টে কোর্টে দৌড়ানো। আমরা প্রধানমন্ত্রী, ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা এসে তদন্ত করুন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে আপনাদের সাহায্য প্রার্থনা করছি। উপাচার্যের এমন অসহযোগিতামূলক আচরণ ও দাবি আদায়ে অনিচ্ছা থাকায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১৯ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত সকল ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের বলেন, আমরা শিক্ষক সমিতি যে দাবিগুলো দিয়ে ছিলাম আমরা মনে করেছি ভিসি আমাদেরকে ডাকবে। ওনি এসব নিয়ে আমাদের সাথে বসে নাই। আমাদের ছাত্রদের কাছ থেকে দূরে থাকতে কষ্ট লাগে তাই আমরা সদয় হয়ে ওনার কাছে গিয়েছি। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সংকটে পড়ে ক্লাস না করে সেশন জট আটকে যাক। কিন্তু ভিসি এসবকে কোন সংকটই মনে করেন না। ওনি এতদিন আমরা যে চিঠির পর চিঠি দিয়েছি এসব দেখনি। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে ওনি এসব সংকট সমাধান করতে চাচ্ছেন না।

ক্লাস বর্জনের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম. আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষক সমিতি আমার কাছে একটা চিঠি দিয়েছিল। চিঠির বিষয়ে আমি তাদের সাথে কার্যালয়ে বসে কথা বলি। তাদের পক্ষ থেকে শুধু সভাপতি, সেক্রেটারি কথা বলবে। কিন্তু তারা সাইড টক শুরু করে দিয়েছিল। এক পর্যায়ে তারা বলেন আমরা এখানে কথা বলতে না পারলে এখানে কেন আসছি? পরে তারা চলে যায়।

তাদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, তাদের বলেছি আপনাদের দাবি আইনসম্মত হলে আমি মেনে নেব। ক্লাস বর্জনের বিষয়ের আমি তাদের রিকোয়েস্ট করেছি। আপনারা ক্লাস বর্জন করবেন না। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ও ১৪ মার্চ ৭ দফা দাবিয়ে ক্লাস বর্জন করেছিল শিক্ষক সমিতি।


আরও খবর



বাঁশখালীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড, আহত ১৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বাঁশখালীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। একই সাথে ৫ টি গ্যারেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের মোশাররফ আলী মিয়া বাজারের পশ্চিম কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

গুরুতর আহত রাজিব, শামসুল আলম, সাদেক হোসাইন, সাইদ আহমদ, ইমরান, ফরহাদ, আজগর, গফুর উদ্দিনকে বাঁশখালী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা আজাদুল ইসলাম জানান, গাড়ির গ্যারেজে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। গ্যারেজে ওয়ারিংয়ের কাজ করার সময় আগুন ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরে আবারও গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: বাঁশখালী

আরও খবর
টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪