আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া হলো ‘বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার’

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিনটি বইয়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার দিয়েছে ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেসার (এফওএসডব্লিউএএল)।

আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের আঞ্চলিক সম্মেলনে সফররত বাংলাদেশি লেখক ও গবেষক রামেন্দু মজুমদার এবং মফিদুল হকের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন প্রখ্যাত পাঞ্জাবি ঔপন্যাসিক এবং এফওএসডব্লিউএএলর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অজীত কৌর।

বঙ্গবন্ধুর ওই তিনটি বই হলো অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়াচীন ১৯৫২

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আজ সকালে শুরু হয়েছে এফওএসডব্লিউএএলর তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিক অংশগ্রহণ করছেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সম্মেলনের উদ্বোধনের তাৎপর্য বর্ণনা করে অজিত কৌর এর আগে এক বার্তায় লেখেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় কোনো ছোট ঘটনা ছিল না। বাংলা জাতির পিতার দৃঢ় প্রত্যয়ের সবচেয়ে অনন্য সাহসিকতার মাধ্যমে এটি একটি অনন্য কৃতিত্ব ছিল, যাকে ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধু বলা হয়। যিনি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষা রক্ষার জন্য সিংহের মতো লড়াই করেছিলেন। যেকোনো মানুষের জীবনের চেয়েও একটি দেশের মর্যাদা সংরক্ষণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!

বার্তায় তিনি লেখেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে না থাকলেও তিনি আমাদের জন্য তিনটি মূল্যবান ও চিন্তাশীল বই রেখে গেছেন। তাই এই মহান মানবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাকে (বঙ্গবন্ধু) এফওএসডব্লিউএএল সাহিত্য উৎসব-২০২৩-এর সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।

এফওএসডব্লিউএএল আঞ্চলিক সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে আরও অংশ নিয়েছেন বিশিষ্ট লেখক সেলিনা হোসেন ও মোহিত কামাল। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ এবং হাইকমিশনের পক্ষে কনস্যুলার (রাজনৈতিক) সফিউল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সাল থেকে ফাউন্ডেশন অফ সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার প্রদত্ত এই বার্ষিক পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।


আরও খবর



মুশফিকের জায়গায় টেস্ট দলে তাওহীদ হৃদয়

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চোটে পড়া মুশফিকুর রহিমের জায়গায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে নির্বাচক কমিটি সভায় বসেছিল মুশফিকের বিকল্প ঠিক করতে। সেখানেই বিকল্প হিসেবে নির্বাচকরা হৃদয়কে টেস্ট দলে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

২০২৩ সালের মার্চে জাতীয় দলে মুশফিকুর রহিমের বদলি হিসেবেই নেয়া হয়েছিল হৃদয়কে। মুশফিকের ব্যাটিং পজিশনেই খেলেছেন তিনি। টানা এক বছর ব্যাট হাতে দারুণ করে দলে থিতু করেছেন নিজেকে। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩০টি ওয়ানডে এবং ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার পর এবার তার সামনে খুলে যাচ্ছে টেস্ট অভিষেকের দুয়ারও। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী শুক্রবার। শেষপর্যন্ত টেস্ট অভিষেকের সুযোগ পেলে দারুণ একটা বিষয় হবে। এই মাঠেই গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ ম্যাচে হৃদয় ১৬৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছিলেন।

সব মিলিয়ে ১৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ২০ ইনিংসে ৪৮.০৫ গড়ে হৃদয়ের রান ৯১৩। সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি, আছে ডাবল সেঞ্চুরিও।

তাকে নিয়ে ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের চার জন বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ পেলেন। এর আগে শরীফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদত হোসেন দীপু দেশের হয়ে লাল বলে ক্রিকেট খেলেছেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের টেস্ট দল

নাজমুল হাসান শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন দাস, মুমিনুল হক, শাহাদাত হোসেন দিপু, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মুশফিক হাসান, নাহিদ রানা, তাওহীদ হৃদয়।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মায়ার্স তাণ্ডবে কুমিল্লাকে উড়িয়ে বিপিএলের প্রথম শিরোপা তামিমের বরিশালের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কাইল মায়ার্স তাণ্ডবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে ফরচুন বরিশাল। এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা না পাওয়ার বেদনা ছিল বরিশালের। অবশেষে সেই ক্ষতে তারা প্রলেপ দিতে সক্ষম হলো।

শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অঙ্কনের ৩৮ ও শেষ দিকে রাসেলের ১৪ বলে ২৭ রানে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। জবাবে ৬ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল।

কুমিল্লার দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ সংগ্রহ পায় বরিশাল। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার তামিম ইকবাল ও মেহেদি মিরাজ ৭৬ রানের জুটি গড়েন। তামিম ব্যক্তিগত ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও সমান চারে ৩৯ রান সংগ্রহ করে মঈন আলির বলে বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। তামিমের বিদায়ের ৬ রান পরই বিদায় নেন আরেক ওপেনার মেহেদি মিরাজ। তখন বরিশালের রান ৮২। এরপর তৃতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্স ও মুশফিকুর রহিম ৫৯ রানের জুটি গড়েন।

এরপর দলীয় ১৪১ রানে মায়ার্সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা মুস্তাফিজ। তার আগে মায়ার্স ৩০ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে করেন ৪৬ রান। মায়ার্সের বিদায়ের তিন রান পরেই মুশফিককে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মুস্তাফিজ। ম্যাচে এটি ছিল ফিজের দ্বিতীয় শিকার। পঞ্চম উইকেটে মিলার ও মাহমুদউল্লাহ মিলে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বরিশালের বোলারদের তোপে পড়ে কুমিল্লা। দলীয় ৬ রানেই সুনীল নারাইনকে হারায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন-হৃদয় জুটি গড়ার আগেই ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফুলারের বলে বিদায় নেন তিনি। হৃদয়ের বিদায়ের ১২ রান পর ব্যক্তিগত ১৬ রান করে ফুলারের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন লিটন।

এরপর দ্রুতই ফিরে যান জনসন চার্লস ও মঈন আলি। এরপর ৬ষ্ঠ উইকেটে অঙ্কন ও জাকের আলী ৩৬ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ১১৫ রানে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে আউট হয়ে যান অঙ্কন। সপ্তম উইকেটে আন্দ্রে রাসেল ১৪ বলে ২৭ রানের ছোট্ট ইনিংস খেলেন। যেখানে ছিল ৪টি ছয়ের মার। শেষ পর্যন্ত কুমিল্লার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১৫৪ রানে। বরিশালের হয়ে ফুলার ২টি, কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ওবেদ ম্যাককয় প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে, রয়েছে তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রকৃতিতে চলছে পাতা ঝরার দিন। বসন্ত বাতাসে গাছের শাখায় নতুন পাতা আর আমের মুকুলে সেজেছে প্রকৃতি। মধ্যফাল্গুনে এসে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া চলতি মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে। মার্চের শেষদিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এ মাসেই দেশে কয়েকটি কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, চলতি মাসে ২-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা অথবা মাঝারি ধরনের এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এ মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে ১-২টি মৃদু বা মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা সামান্য বেশি থাকতে পারে। 

আরও পড়ুন>> জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী

থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে গত ফেব্রুয়ারি মাসের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি তুলে ধরা হয়েছে। দেখা গেছে, মে মাসে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৩৬ ভাগ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি এবং ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। মার্চ মাসেও সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

জানুয়ারি মাসে ৩ ধাপে দেশের অনেক জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। গত ২৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসেও দুই ধাপে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

এদিকে রোববার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। একদিন আগে যা চুয়াডাঙ্গা ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




সড়কের গাছ কাটলেন চেয়ারম্যান, জব্দ করলেন ইউএনও

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

চলছে সড়ক উন্নয়নের কাজ। উন্নয়নের পাশাপাশি সড়কের গাছ কেটে হরিলুটের রমরমা ফন্দি এটেছিলেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এমন সময় হঠাৎ ঘটনাস্থলে হাজির সদর উপজেলা ইউএনও। সমস্ত গাছ জব্দ করে ইউনিয়ন পরিষদ নেয়ার নির্দেশ ও সাময়িকভাবে সড়কের কাজ বন্ধ ঘোষণা করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বড়গাঁও ইউনিয়নের ভুল্লি-ফাড়াবাড়ির সড়কে।

শনিবার (১৬ মার্চ) বিকালে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার খবর পেয়ে সরজমিনে গিয়ে ইউএনও বেলায়েত হোসেন কথা বলেন গাছ কাটা শ্রমিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে। তারা জানান, বড়গাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমানোর নির্দেশে গাছগুলো কর্তন করা হচ্ছে। এ সময় শ্রমিকরা জানান, প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার মজুরি চেয়ারম্যান দেবেন বলেও জানান শ্রমিকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কের পাশে সরকারি জমিতে চুক্তিভিত্তিক গাছ রোপনের পর তা ৩০ বছর ধরে পরিচর্যা করে আসছেন স্থানীয় কয়েকজন উপকারভোগী নারী। ভুল্লি বড়গাঁও থেকে ফারাবাড়ি প্রায় ৮ কিলোমিটার এ সড়কে ১৯৯২ সালে গাছ লাগানো প্রকল্পের আওতায় প্রথম পক্ষ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ, দ্বিতীয় পক্ষ অরগানাইজেশন ফর রুরাল ডেভলপমেন্ট (ওআরডি) ও তৃতীয় পক্ষ বনলতা মহিলা উন্নয়ন দলের স্থানীয় ১০ জন নারীর সঙ্গে চুক্তি নামা হয়। এ চুক্তিনামায় প্রত্যেক নারী ১৫০ গাছ রোপন করলে মোট ১৫০০ গাছ রোপন করা হয়। যা ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকরের মেয়াদ রয়েছে। এ সময়ের পর গাছগুলো সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কেটে মুনাফার একটি অংশ পাবেন সেসব নারীরা।

কিন্তু এরইমধ্যে সড়ক প্রসস্থকরণ কাজ শুরু করে এলজিইডি। তবে সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে উপকারভোগী নারীদের অভিযোগ।

তাদের অভিযোগ, আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে। আমরা ইউএনওকে মুঠোফোনে জানালে তিনি গাছগুলো জব্দ করেন। কিন্তু এরই মাঝে কিছু গাছ হরিলুট হয়ে গেছে বলে জানান নারীরা।

বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমানের দাবি, গত শুক্রবার ঠিকাদার রাস্তার বক্সকাটিং করার সময় ভেকু মেশিন ব্যবহার করার ফলে গাছগুলো উপড়ে গেছে। গাছ যাতে লুট না হয় সেই জন্য ইউনিয়ন পরিষদে নেয়া হয়েছে।

তবে ঠিকাদারের দাবি, গাছ উপড়ে ফেলার মতো কোন নির্দেশনা ভেকু চালকের প্রতি তার ছিলো না। তিনি বলেন, যেখানে গাছ কাটা হয়েছে সেখানে এর আগে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বক্স কাটিং করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে বক্সকাটিংয়ের কাজ চলছে। কোন গাছ কাটা বা উপড়ে ফেলা হয়নি।

সড়ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি গাছ কাটার ক্ষেত্রে কি নিয়ম আছে জানতে চাইলে সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদের কোন তথ্য জানাতে পারেননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সড়ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি গাছ কাটার প্রয়োজন হলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ইউএনওকে চিঠি দেবেন। পরবর্তীতে ইউএনও বন বিভাগকে চিঠি দিয়ে সেসব গাছ চিহ্নিতকরণ ও দাম নির্ধারন করতে বলবেন এবং নিলামে গাছ বিক্রি করবেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, গাছ কার নির্দেশে কাটা হয়েছে বা উপড়ে ফেলা হয়েছে এগুলো তদন্তের বিষয়। তবে এতগুলো গাছ কাটার ঘটনায় যা হয়েছে তা অনৈতিক। আপাতত সড়কের বক্স কাটিং-এর কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে, তদন্ত হবে এবং দোষীরা আইনের আওতায় আসবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরে মাওলানা লুৎফর রহমানের জানাজায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, জনপ্রিয় আলেম ইসলামি আলোচক ও বক্তা মাওলানা লুৎফর রহমানের জানাজায় মানুষের ঢল দেখা গেছে।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের গাজীপুর রাজ্জাকিয়া জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকায় কাউকেই মরহুমের মরদেহ দেখানো হয়নি।

চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব আওলাদের রাসুল (সা.) মাওলানা আনোয়ার হোসাইন তাহেরী জাবেরী আল মাদানী। এতে অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। তার তৃতীয় নামাজে জানাজা বদরপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ-মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে বদরপুর গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের জেনারেল সেক্রেটার মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহসেক্রেটারি এ টি এম মাসুম, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি রুহুল আমিন, শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ড. রেজাউল করিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বিপ্লব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ইমতিয়াজ আরাফাত, করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মির্জা, বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানসহ বিপুলসংখ্যক মুসল্লি।

রোববার (৩ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাওলানা লুৎফর রহমান শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব করেন মাওলানা লুৎফর রহমান। তাৎক্ষণিক তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

লুৎফর রহমান লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মাওলানা আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি পাঁচ কন্যা ও দুই ছেলের বাবা। আল্লামা লুৎফর রহমান কর্মজীবনে রাজখালি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনি এলাকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।


আরও খবর