আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রেলওয়ের ‘ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর’, উদ্বোধন ২৭ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তার জীবনের নানান গল্প নিয়ে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর স্থাপন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মিটারগেজ ও ব্রডগেজ এই দুই ধরনের দুটি কোচে এই জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে। আগামী বুধবার (২৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রেল কোচে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর তৈরির এ উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছর। ১৯২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ও বেদনাবিধুর ঘটনার দিন পর্যন্ত নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই জাদুঘরে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম, তার শৈশব, কৈশোর থেকে শুরু করে ছাত্র রাজনীতি, ১৯৫৪ এর নির্বাচন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, সর্বোপরি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সাড়া জাগানো কাব্যিক ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেওয়া থেকে শুরু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং তার বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠা-এর সবই তুলে ধরা হয়েছে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে।

দৃষ্টিনন্দন ইন্টিরিয়রের মাধ্যমে মিটার গেজ ও ব্রডগেজ এর দুটি কোচের ভেতর সাজানো হয়েছে। প্রত্যেক কোচের ভেতরে মধ্যের অংশ খালি রেখে চারপাশ সাজানো হয়েছে সাদাকালো ও রঙ্গিন ছবিতে। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী এবং প্রত্যন্ত জনপদের সাধারণ মানুষ যেন সহজেই খুব স্বল্প সময়ে বঙ্গবন্ধুকে পাঠ করতে পারেন তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

ভ্রাম্যমাণ এই রেলওয়ে জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করা যাবে দুই পাশের চারটি দরজা দিয়েই। তবে যে পাশে প্লাটফর্ম থাকবে সেই পাশের দরজা দুটিই শুধু খোলা থাকবে। ভিতরে ঢুকে প্রথমেই দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যেখানে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল সেই গ্রামের চিত্র। এই অংশে ১৯২০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত একে একে তুলে ধরা হয়েছে তার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য, যৌবনকাল।

এরপর আছে ১৯৪৩ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তার জীবনের নানা ঘটনার স্থির চিত্র। আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪ সালকে। বড় ফ্রেমে বাঁধাই করা এসব স্থির চিত্র একেবারেই দৃষ্টিনন্দন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ সাল, ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫, ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল, ৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সালের গণঅভূত্থান ও নির্বাচনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৭ মার্চের ভাষণ, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণ, তার শাসনামল তুলে ধরা হয়েছে পৃথক পৃথক চিত্রে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের পর টুঙ্গিপাড়ায় গড়ে উঠা বঙ্গবন্ধুর মাজারের একটি স্থির চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের অধ্যায়।

রেলওয়ে জাদুঘরের প্রতিটি স্থির চিত্রের নিচে লেখা রয়েছে বঙ্গবন্ধু কখন কার কার সঙ্গে কোথায় কি কাজ করেছেন, কোন কোন আন্দোলনে তিনি যুক্ত ছিলেন। আছে শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীসহ বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ ছবি। প্রতিটি চিত্রে ভাগ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান জীবন বৃত্তান্ত।

এই জাদুঘরে রয়েছে একটি ছোট বুক কর্ণার। যেখানে বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচাসহ বিভিন্ন বই ও প্রকাশনা। আছে বঙ্গবন্ধুর হাতের লেখার কিছু পোট্রেট। এ ছাড়া ৭ মার্চের ভাষণের ভিজ্যুয়ালও রয়েছে।

এই জাদুঘর সম্পর্কে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমাদের অনেকগুলো কর্মসূচীর মধ্যে এই ভ্রাম্যমান রেলওয়ে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা হচ্ছে অন্যতম। আমরা চেয়েছি বঙ্গবন্ধুকে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনেক কাজ হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই জাদুঘরটা হচ্ছে স্থায়ী একটা কাজ। মিটারগেজ ও ব্রডগেজ দু্টি কোচে আমরা এই জাদুঘর তৈরি করেছি। সারাদেশের প্রতিটি স্টেশনে এই জাদুঘর নিয়ে যাওয়া হবে। সেসব স্টেশনে রেখে প্রচারণা চালানো হবে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী, শিশু-কিশোররা এবং গ্রামের সাধারণ মানুষ এই জাদুঘর বিনা পয়সায় দর্শন করে বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবেন। এটিই হচ্ছে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য।

রেলপথমন্ত্রী জানান, এটি মুজিববর্ষে তৈরি করা হলেও কোভিডের অভিঘাতের কারণে আমরা সেটি উদ্বোধন এবং চালু করতে পারিনি। আগামী ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ের এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর উদ্বোধন করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। আশা করছি ওই দিন থেকেই এই জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু হবে।

এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে যেসব কাজ হয়েছে সেগুলোর সবই ক্ষণস্থায়ী, মুজিববর্ষ শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবই শেষ হয়ে যাবে। তখনই আমার মাথায় একটা চিন্তা এলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী কোনো কাজ করা যায় কি না। এরই অংশ হিসেবে আমাদের রেলওয়ের এই ব্যতিক্রমী চিন্তা। বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে জাদুঘর করা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ৮০ শতাংশ স্টেশন হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আমরা যদি এই জাদুঘর সেই স্টেশনগুলোতে নিয়ে যেতে পারি তাহলে প্রান্তিক মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী অনেক সুন্দর ও সহজভাবে উপস্থাপন করা যাবে। সাধারণত আমরা শহরকেন্দ্রিক আলোচনা বেশি করে থাকি। আয়োজনও সেরকমই হয়ে থাকে। এসব চিন্তা থেকেই রেলপথ মন্ত্রীর সক্রিয় সহযোগিতা এবং নির্দেশনায় আমরা রেলপথ জাদুঘর গড়ে তোলার কাজ শুরু করি। প্রায় এক বছর সময় নিয়ে করোনাকালীন সময়ে আমরা এই জাদুঘর তৈরির কাজ করি রেলওয়ের দুটি কোচে। এই জাদুঘরে ১২টি এলইডি আছে। সেগুলোতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ১৯২০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তুলে ধরা হয়েছে। তার জীবনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ এবং অডিও, ভিজ্যুয়াল এবং স্থির চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী জানান, জাদুঘর দেখতে আসা দর্শকরা যেমন স্থির চিত্র দেখতে পাবেন, তেমনি কানে হেডফোন লাগিয়ে অডিও-ভিজ্যুয়াল শুনতে পারবেন। বঙ্গবন্ধুর মুজিব কোট, চশমা, পাইপ এগুলোর রেপ্লিকাও আমরা তৈরি করে জাদুঘরে স্থান দিয়েছি। একইভাবে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং বঙ্গবন্ধুর মাজারের রেপ্লিকাও রাখা হয়েছে। একটি বড় এলইডিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ অন্যান্য ভাষণও এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর মানুষের কাছে স্বল্প পরিসরে চিত্তাকর্ষকভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবন তুলে ধরতে সম্ভব হবে। দেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে পৌঁছে দিতে একটা বিশেষ ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ রেলওয়ের এই উদ্যোগ। আমরা এই দুটি কোচের বাহিরের অংশ সাজিয়েছি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যেসব ধারাবাহিক ঘটনা রয়েছে সেগুলোর ম্যুরাল দিয়ে।  মুজিববর্ষ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ের এই চেষ্টা বছরের পর বছর দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়াবে। বিভিন্ন স্টেশনে প্রচারণা চালাবে।


আরও খবর



সোমবার থেকে ঢাকাসহ ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তাপদাহের কারণে পাঁচ জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদফতরের পরামর্শে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) তারিখ বন্ধ থাকবে।

তবে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে রবিবার থেকে নতুন করে সারা দেশে আবারও ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট (তাপপ্রবাহ) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ মে সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে তিন দফা ৭২ ঘণ্টা করে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে গরমের কারণে ঈদের ছুটির পর থেকে বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আজ রবিবার থেকে প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া বাকি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর



দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে ফের ইলিশ ধরতে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। এদিন মধ্যরাতে চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বিচরণ করছেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।

জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯ কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ২ মে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আগামী ২ মে আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের লেজিসলেটিভ সাপোর্ট উইং আইন শাখা।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নিম্নলিখিত আদেশটি সাধারণ অবগতির জন্য প্রকাশ করা হলো বলেও জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংসদ সচিবালয় জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২ মে বিকেল ৫টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন।


আরও খবর



বানিয়ে ফেলুন আমের কাশ্মিরি আচার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমের আঁটি শক্ত হয়ে গেলেই বানিয়ে ফেলা যায় দারুণ মজার কাশ্মিরি আচার। সারা বছর সংরক্ষণ করে খাওয়া যায় মিষ্টি স্বাদের এই আচার। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই আচার।

শক্ত কাঁচা আমের খোসা ছাড়িয়ে ফালি করে কাটুন। ফালি করে কাটা আম লবণ মাখিয়ে রেখে দিন ৩০ মিনিট। আম থেকে টক পানি বের হলে ফেলে দিয়ে আবারও কিছুটা লবণ মেখে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলায় একটি পাত্রে পরিমাণ মতো পানি বসান। পানি ফুটে উঠলে চিনি দিয়ে দিন স্বাদ মতো। কয়েকটি লবঙ্গ ও এলাচ দিয়ে নাড়ুন। সিরা তৈরি হলে এর মধ্যে পানি ঝরিয়ে রাখা আমের ফালি দিয়ে দিন। জ্বাল দিন আম স্বচ্ছ না হওয়া পর্যন্ত। আম স্বচ্ছ হয়ে গেলে শুকনা মরিচের কুচি, ১ টেবিল চামচ আদা কুচি ও আধা কাপ সিরকা দিন। পছন্দ মতো ঘনত্ব থাকা অবস্থায় নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে সিরা আরেকটি টেনে যাবে। এলাচ ও লবঙ্গ উঠিয়ে কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর