আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার ব্যর্থতাই দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ঘটিয়েছে’

প্রকাশিত:রবিবার ১১ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার ব্যর্থতাই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের বিরোধীতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা তুল্য অপরাধ শীর্ষক ওয়েবিনারে রাজধানীর বেইলী রোডের সরকারি বাসভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সঞ্চালনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের রচয়িতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, শহীদজায়া পান্না কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর, দীপক কুমার, আব্দুল হাই, লক্ষ্মী চ্যাটার্জী প্রমুখ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় শ ম রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সে ঘোষণাটি ১০ এপ্রিল গঠিত স্বাধীন বাংলা সরকার তথা মুজিব নগর সরকার অনুমোদন দেয় এবং এ আলোকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হয়। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারের কথা উল্লেখ করা ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণয়নও অনুমোদনের পূর্ব পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্রই ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান। তার ভিত্তিতেই পরিচালিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলা সরকার। সে সরকারের সঙ্গেই ভারতের মৈত্রী চুক্তি হয়।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ভিত্তি ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। এ ঘোষণা এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আমাদের সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মোশতাক ও পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় এলেও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে তারা কোন বিতর্ক তোলেন নি। কিন্তু জিয়ার মৃত্যুর পরে তার তৈরি বিএনপিতে স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীলদের সম্পৃক্ত করার পরই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে জিয়াউর রহমানের কথিত স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকে স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের বাইরে ২৬ বছর ক্ষমতায় থাকা সরকারগুলো সুপরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুর কীর্তিকে ছোট করে জিয়াকে বড় বানানোর জঘন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখে। সাম্প্রতিক সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে না পারাই অন্যতম কারণ। স্বাধীনতা পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নানা মত ও দলে বিভক্ত হলেও স্বাধীনতাবিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে কঠিনভাবে।-যোগ করেন শ ম রেজাউল করিম।

শ ম রেজাউল করিম এ সময় আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি যেভাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিল, স্বাধীনতা পরবর্তীতে তাদের কেউ কেউ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সম্মিলিতভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা ও পুনর্গঠনে ভূমিকা না রেখে বরং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছিল। সেই সুযোগে স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশী চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে হত্যা করেছিল। এ জন্য সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে একাত্তর সালের মতো ঐক্যবদ্ধ হবার তাগিদ দিচ্ছে।

ওয়েবিনারের প্রধান বক্তা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম স্বাধীনতার মূল লক্ষ্যকে কোমলমতি শিশু থেকে শুরু করে সর্বস্তরে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন এ সময় প্রদত্ত বক্তব্যে আমলা ও ব্যবসায়ীদের খপ্পরে রাজনীতি আটকে পড়েছে উল্লেখ করে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবী করেন।

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী এ সময় তার বক্তব্যে অবিলম্বে মামুনুল হক ও বাবু নগরীদের গ্রেফতারের দাবী জানান।


আরও খবর



পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় হট্টগোল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদশা (২৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভায়না কালির মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব (প্রতীক মোটরসাইকেল), অন্যজন হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন (প্রতীক আনারস)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকরা ভায়না কালির মোড়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যায়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক ও ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের ভাতিজা আব্দুল আওয়ালকে কথা কাটাকাটির জেরে কিল-ঘুষি মারে। তখন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা আবার লোকজন নিয়ে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনের কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। পরে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় বাদশা নামের এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহত বাদশাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাদশা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হট্টগোল নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু পুলিশের ওপর চড়াও হওয়াটা দুঃখজনক। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন সারা উপজেলায় আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্চে। আজকের ঘটনা তারই অংশ। তারা পুলিশকেও মানছে না।

এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, আমার এক সমর্থককে মারধর করে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ নিয়ে আমার লোকজন জড়ো হলে আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন গুলি করে। পুলিশ গুলি করেনি। এ ঘটনায় তার সমর্থক কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি। আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ৯০

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যায় ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল তলিয়ে গেছে। প্রবল বর্ষণে এখন পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া আরও ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ব্যাপক বন্যার কারণে কয়েকশ শহর পানির নিচে চলে গেছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০ জন মারা গেছেন এবং প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এদিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রদেশের রাজধানী পোর্টো আলেগ্রে বন্যায় কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানকার বিমানবন্দর ও বাস স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধান সড়কগুলো এখন অবরুদ্ধ।

প্রদেশের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলেছে, বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।


আরও খবর



অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়: মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অনুমতি না নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। তবে তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট। স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি অবান্তর বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

মামলার এজহার থেকে জানা গেছে, স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিকবার অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্ত হন ওই নারী। কখনও আবার মিলনের আগে তার অনুমতি নেওয়া হয়নি। এজন্য স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে এফআইআর করেছিলেন তিনি। আদালত সেই এফআইআর খারিজ করে দিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি গুরপাল সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো প্রকার অস্বাভাবিক যৌনতা ধর্ষণ হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি সংক্রান্ত বিষয়টি অবাস্তব। কারণ মহিলার বয়স ১৫ বছরের নীচে নয় এবং বৈবাহিক ধর্ষণ ভারতীয় আইনে এখনও স্বীকৃত নয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণের বলা হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণের সংশোধিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ১৫ বলছরের ঊর্ধ্ব স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর কোনো প্রকার যৌন সম্পর্ক ধর্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে তাই স্ত্রীর সম্মতির বিষয়টি বিবেচ্য হয় না। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, স্বামী তার আইনত বৈধ স্ত্রীর সঙ্গে এক ছাদের নীচে থাকলে অস্বাভাবিক যৌনতা দোষের নয়। তাই এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

আদালত আরও জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬বি ধারা অনুযায়ী একটি ক্ষেত্রেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন স্ত্রী। যদি আইনত বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকেন, তবেই ওই অভিযোগ বৈধ হতে পারে।


আরও খবর



টাইম ম্যাগাজিনে ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের স্বাস্থ্য ক্যাটাগরির ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তাকে ডিজিজ ফাইটার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তালিকায়।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে জাহিদ মালেকের ব্যাপারে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেকের পাঁচ বছর বিতর্কমুক্ত ছিলেন না। করোনা মহামারি নিয়ে তার প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। এরপর তিনি একটি কার্যকর টিকাদান কর্মসূচি সম্পাদন করেন। যার ফলে ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে মাথাপিছু মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবেশী ভারতের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ছিল। জানুয়ারিতে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া সত্ত্বেও, মালেক তার সাড়ে ১৭ কোটি দেশবাসীর উন্নতির জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন।

মার্কিন সাময়িকীটি জানায়, ২০২৩ সালে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে কালাজ্বর নির্মূল করে আলোচনায় আসে বাংলাদেশ। এটি মাছি দ্বারা সংক্রামিত একটি রোগ, যা চিকিৎসা না করা হলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু হয়। একই বছর বাংলাদেশ লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস, মশা দ্বারা সংক্রামিত একটি দুর্বল পরজীবী রোগ নির্মূল করতে সফল হয়েছে। এই জোড়া সাফল্যের মাধ্যমে ইতিহাসের প্রথম জাতি হিসেবে বাংলাদেশ এক বছরে দুটি অসংক্রামক রোগ নির্মূল করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিশুমৃত্যুর হার ব্যাপকভাবে কমানোর জন্য জাহিদ মালেক বাংলাদেশে হলুদের মধ্যে সিসার উপাদান কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিষয়টি জন্য ডব্লিউএইচওর দ্বারা সম্মানিতও হয়েছেন জাহেদ মালেক।


আরও খবর