জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙচুর ও জুতার মালা পরিয়ে আনন্দ মিছিল করার ৪৬ বছর পর সাবেক চীফ হুইপ ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল দ্বিতীয় আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাউফল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন আগামী ১৯ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
ওই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজীসহ ১০ জনকে।
বাদী পক্ষে মামলার শুনানি করেন জেলা জজ আদালতের এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম ও এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমান স্ব পরিবারে নিহত হওয়ার পর বরিশালে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পেশকার বাড়ির সামনে দিয়ে তৎকালীন ছাত্রলীগের একটি মিছিল বেড় হয়। ওই মিছিলে এমপি আসম ফিরোজের নেতৃত্বে হামলা করা হয় এবং অশ্বিনী কুমার টাউন হলের উত্তর পাশে আওয়ামী লীগ অফিসে ঢুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এরপর তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতার মালা পরিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল করা হয়। ওই দিনই বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঢুকে জাতির জনকের ছবি ভাংচুর করা হয়।
বাদী পক্ষের এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম এমপি আসম ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে আ স ম ফিরোজ এমপি সাংবাদিকদের বলেন,‘ এ প্রসঙ্গে আমি কিছু মন্তব্য করতে চাইনা। একটি দল আমাকে একাধিকবার মনোনয়ন দিয়েছে এটা দুষ্ট লোকের দুষ্টামি ছাড়া আর কিছুই না ’।