আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর নামে ‘বনবন্ধুর’ মহাপ্রতারণা!

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নিজের দেওয়া বনবন্ধুউপাধি যোগ করে নিজেকে পরিচয় দিতেন বনবন্ধু জাহিদুর রহমান ইকবাল নামে। নিজের ব্যবহৃত গাড়ির চারপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাণী সম্বলিত ছবি।

মুজিববর্ষ উদযাপনের সুযোগ নিয়ে পেতেছেন মহাপ্রতারণার ফাঁদ।

মুজিববর্ষের লোগো, প্রধানমন্ত্রীর বাণী ব্যবহার করে প্রায় ৪০ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কাছে অনুদান চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। মুজিবর্ষে গাছ লাগানোর কথা বলে অভিনব পন্থায় বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন এ মহাপ্রতারক।

এর বাইরে নিজেকে একাধিক ভুয়া প্রতিষ্ঠানের প্রধান পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন তিনি। ব্যাংক লোন পাইয়ে দেওয়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদনসহ নানা ধরনের কনসালটেন্সির নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

অবশেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের শাহআলী ভবনে নিজের কথিত অফিস থেকে জাহিদুর রহমানকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসতে থাকে তার অভিনব পন্থায় নানা প্রতারণার তথ্য।

গ্রেফতারের সময় কাছ থেকে ২৭০টি সীল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডকুমেন্টস প্রসেসিং ফাইল ১৮৪টি, মুজিববর্ষের লােগো ব্যবহার করা ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী সম্বলিত চিঠি ৫০০টি, সিপিইউ দুটি, প্রিন্টার দুটি, স্ক্যানার একটি, মনিটর দুটি, ল্যাপটপ একটি, মােবাইল দুটি ও একটি টয়োটা করোলা গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদসম্মেলনে এ কথা বলেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুণ-অর-রশীদ।

ডিসি হারুণ-অর-রশীদ বলেন, গত ৩০ বছর ধরে কারওয়ান বাজার এলাকায় গ্রেফতার জাহিদুর রহমান ইকবাল ওরফে বনবন্ধু জাহিদুর রহমান ইকবাল প্রতারণা করে আসছে। মুজিববর্ষের লোগো ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী ব্যবহার করে চলছিলো তার বর্তমানে মূল প্রতারণা। সে প্রায় ৪০ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি দিয়েছে। এর মাধমে তিনি ওই সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক বনবন্ধু জাহিদুর মুজিববর্ষে বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগাবে বলেও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিতেন।

জহিদুর রহমানের নানা প্রতারণার বর্ণনায় ডিসি বলেন, জাহিদুর রহমান প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করতেন। অবৈধভাবে সীল তৈরি ও সংরক্ষণ করে প্রতারণার উদ্দেশ্যে মুজিববর্ষের লোগো ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির কাছে প্রায় ৪০ হাজার চিঠি পাঠিয়েছে।

কনসালটেন্ট গ্রুপ লিমিটেড, এসএম ই কনসালটেন্ট লিমিটেড, ইইএফ কনসালটেন্ট লিমিটেড নামে তিনটি অবৈধ কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং সিইও হিসেবে নিজেকে দাবি করেন। কিন্তু তিনি কোম্পানিগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন লোন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কনসালটেন্সির নামে অর্থ আত্মসাৎ করতেন এ প্রতারক।

জাহিদুর রহমান ব্যক্তিগত গাড়িতে জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড করতেন। যা জাতির জনকের ছবির অবমাননার শামিল। এছাড়া এনবিআর, আয়করের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ব্যাংক থেকে লোন প্রসেসিং, বাংলাদেশ ট্রি প্ল্যান্টেশন ফাউন্ডেশন নামে নামসর্বস্ব্য অবৈধ প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে বৃক্ষরোপণের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিপর্যায় থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, তার বিরুদ্ধে আমরা হাজার হাজার অভিযোগ পেয়েছি। আমরা যখন তার কাছে গেলাম সে তখন বলে, আপনাদের যে পুলিশ ব্যাংক সেটা তো আমার কনসালটেন্সি ফার্ম করে দিয়েছে, তাও নাকি বিনা পয়সায় করে দিয়েছে। সে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের সিইও ও চেয়ারম্যান পরিচয় দিলেও তার পড়াশোনার কোনো সার্টিফিকেট নেই।

আমরা তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করবো। রিমান্ডে নিলে বোঝা যাবে সে কত লোকের কাছ থেকে কি পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

কি পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিসি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচশ লোকের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে রিমান্ডে না নেওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না সে কত টাকা হাতিয়েছে। শুনেছি ২০০৭ সালে একবার সতন্ত্র পদে মেয়র নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছিলেন। এছাড়া অনেক ভুক্তভোগী আমাদের কাছে আসছেন। তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি-না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রতারক বনবন্ধু জাহিদুর রহমান ইকবালের অবৈধ প্রতিষ্ঠান কনসালটেন্ট গ্রুপ লিমিটেড, এসএমই কনসালটেন্ট লিমিটেড ও ইইএফ কনসালটেন্ট লিমিটেডের ব্যানারে ফিনান্সিয়াল কনসালটেন্স, কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন, সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন, ট্রাস্ট রেজিস্ট্রেশন, ফাউন্ডেশন রেজিস্ট্রেশন, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার ডকুমেন্টস প্রসেসিং, ব্যাংক বিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডকুমেন্টস প্রসেসেসিং, টিন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, ফায়ার লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স ডকুমেন্টস প্রসেসিং ইত্যাদির নামে অসংখ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিপুল অংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছে।


আরও খবর



রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফ যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

ইতিকাফের শাব্দিক অর্থ হলো অবস্থান করা, কোনো বস্তুর ওপর স্থায়ীভাবে থাকা। ইতিকাফের মধ্যে নিজের সত্তাকে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে আটকিয়ে রাখা হয় এবং নিজেকে মসজিদ থেকে বের হওয়া ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফের নিয়তে কোনো পুরুষ লোক এমন কোনো মসজিদে অবস্থান করবে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয় এবং মহিলারা নিজ ঘরে সালাতের স্থানে কোনো নির্জন কামরায় অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলা হয়।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- দুনিয়ার সবরকম ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য লাভের নিমিত্তে একমাত্র তারই ইবাদতে মশগুল থাকা। যে মসজিদে নিয়মিতভাবে আজান, ইকামতসহকারে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে সালাত আদায় করা হয় সেই মসজিদেই ইতিকাফ করা অধিকতর সহিহ হবে। ইতিকাফের সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম, অতঃপর ওই সব জুমার মসজিদ যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। এরপর সেই মসজিদ যেখানে মুসল্লির সংখ্যা অধিক হয়ে থাকে। (শামি, দ্বিতীয় খণ্ড ও আলমগিরি, প্রথম খণ্ড)

ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেন, ইতিকাফ সহিহ হবে এমন মসজিদে যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। (হিদায়া, প্রথম খণ্ড)

মহিলারা ঘরে সালাতের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতিকাফ করবেন। নামাজের স্থান নির্ধারিত না থাকলেও ইতিকাফে বসার সময় তা নির্ধারণ করে নিলেও সহিহ হবে। মহিলাদের জন্য মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহ। (ফাতয়ায়ে শামি, দ্বিতীয় খণ্ড)

মানতের ইতিকাফ করার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। সুতরাং মানতের ইতিকাফ কমপক্ষে এক দিন হতে হবে। কেননা, এক দিনের কম সময়ে রোজা শুদ্ধ হয় না। এ ছাড়া রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। নফল ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত কোনো সময় নেই এবং তা পালনের জন্য রোজা রাখাও শর্ত নয়। এ ইতিকাফ অল্প কিছুক্ষণের জন্যও হতে পারে এমনকি মসজিদে না বসেও আদায় করা সহিহ হবে। (তাহতাবি)

ইতিকাফের উপকারিতা : ইতিকাফের ফজিলত ও উপকারিতা অপরিসীম। দুনিয়ার সব রকম ঝামেলা থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে মুক্ত করে একান্ত নিরিবিলি নিভৃতে মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্যই ইতিকাফ করা হয়। ইতিকাফকারী পুরুষ হোক বা মহিলা তারা বহু ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারেন। ইতিকাফকারী ব্যক্তির পুরো সময়টাই ইবাদতের মধ্যে গণ্য হয়ে থাকে। আতা আল খুরাসানি রহ: বলেছেন যে, ইতিকাফকারী সেই ব্যক্তির মতো, যে নিজেকে মহান আল্লাহ তায়ালার সামনে সোপর্দ করে দিয়েছে এবং বলেছে যে, আমি এ স্থান ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমাকে ক্ষমা করা হয়। এ জন্যই ইতিকাফের গুরুত্ব অপরিসীম যে, ইতিকাফের মাধ্যমে বান্দা তার নিজেকে মহান মনিবের ঘরে ইবাদতে মশগুল থেকে তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকে। (বাদউস সনায়ি, দ্বিতীয় খণ্ড)

হজরত সাঈদ ইবনে জুবাইর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণনা করেন- রাসূলুল্লাহ সা: ইতিকাফকারী ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন, সে ইতিকাফ এবং মসজিদে বদ্ধ থাকার করণে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং তার নেকির হিসাব সবধরনের নেককাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তির মতো জারি থাকে। (ইবনে মাজাহ)

রমজানে ইতিকাফের গুরুত্ব : আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের শেষ দশকে সারা রাত জেগে থাকতেন, নিজের পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে রাখতেন, ইবাদতে কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং উম্মুল মুমিনিনদের থেকে দূরে থাকতেন। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: রমজান মাসের তৃতীয় দশকে অধিক পরিশ্রম করতেন, যে রকম কঠোর পরিশ্রম অন্য কোনো মাসে করতেন না। (সহিহ মুসলিম)

হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: প্রত্যেক রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তেকাল করলেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সহিহ বুখারি)

আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: সর্বদা রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন; কিন্তু এক বছর তিনি সফর করার কারণে পরের বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত ইবনে উমর রা: রাসূলুল্লাহ সা: থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: যখন ইতিকাফ করতেন তখন তাঁর জন্য বিছানা বিছানো হতো (আবু লুবাবা ইবনে মুনজির) রা:-এর তাঁবুর খুঁটির পাশে। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা: থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সা: তুর্কি তাঁবুতে রমজানুল মুবারকের প্রথম ১০ দিন ইতকাফ করলেন। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও এরপর তাঁবু থেকে মাথা বের করে বললেন, আমি এই (কদরের) রাতে অনুসন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করেছি। এর পর দ্বিতীয় ১০ দিনও। তারপর স্বপ্নে একজন ফেরেশতা এসে আমাকে বললেন, এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। কাজেই যে ব্যক্তি আমার সাথে ইতিকাফ করেছে সে যেন শেষ ১০ দিনও ইতিকাফ করে। আমাকে এ রাতটি দেখানো হয়েছিল এবং তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। (আমি স্বপ্নে) দেখেছি, এ রাতের সকালে ফজরের সালাতে আমি পানি ও কাদামাটিতে সিজদা করেছি। তোমরা এ রাতের অনুসন্ধান করবে শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে। বর্ণনাকারী বলেন, ছাদ থেকে ওই বৃষ্টি হয়েছিল, তখন মসজিদের ছাদ খেজুরগাছের ডালা দিয়ে নির্মিত ছাপড়ার মতো ছিল। এতে মসজিদের ছাদ থেকে পানি টপকিয়ে পড়েছিল। বর্ণনাকারী সাহাবি বলেন, রমজানুল মুবারকের ২১ তারিখ সকালে রাসূলুল্লাহ সা:-এর কপাল মুবারকে আমি নিজ চোখে কাদামাটির চিহ্ন দেখেছি। (মিশকাত )

নিউজ ট্যাগ: ইতিকাফ

আরও খবর
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে বলে মনে হয় না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি একটি জনবিচ্ছিন্ন দল হয়ে গেছে। জনগণ তাদের ধ্বংসলীলা দেখেছে। তারা (বিএনপি) শুরু থেকেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশে এসেছিল। রক্তের গঙ্গা বইয়ে তাদের দলের উৎপত্তি। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদক বিরোধী সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতা ইংল্যান্ড থেকে দিকনির্দেশনা দেয়, কিন্তু তাদের নেতাকর্মীদের কী হবে সেটা চিন্তা করে না। তাদের ভুল যদি উপলব্ধিতে না আসে তাহলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে বলে মনে হয় না।

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের কথা চিন্তা করে না। তারা শুধু দেশের ক্ষমতায় বসতে চায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন না করে ধ্বংসলীলা শুরু করল, মানুষ পুড়িয়ে মারা শুরু করল। এবার আমরা দেখলাম সেই একই কায়দায় তারা রক্তের হোলি খেলা শুরু করল।

গত নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের ভূমিকার বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, অনেক দেশই তো অনেক কথা বলে। অনেক দেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে হয় তা সবার জানা। কোনো কোনো উন্নত দেশে ২০ থেকে ২৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়। আমাদের এখানে ৪২ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বলেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি তাহলে তো আমাদের কিছু বলার থাকে না। এ দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কী বললো আমার মুখ্য বিষয় না।

এ সময় কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ বিল্পব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জুসহ পুলিশের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হট্টোগোলের মধ্যেই শপথ নিলেন পাকিস্তানের নতুন এমপিরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শপথ নিলেন পাকিস্তানের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক ঘণ্টা বিলম্বে দেশটির ১৬তম জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়। এরপর নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ পাঠ করান বিদায়ী স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ।

নতুন শপথ গ্রহণকারী এমপিদের মধ্যে রয়েছেন- পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল (এসআইসি), জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) সহ প্রধান দলগুলোর নির্বাচিত এমপিরা।

এসময় পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ, পিপিপি-এর কো-চেয়ারম্যান আসিফ জারদারি, চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি, পিটিআই চেয়ারম্যান গহর খান এবং মাওলানা ফজলুর রহমান মতো শীর্ষ রাজনীতিবিদদেরকে শপথ নিতে দেখা গেছে।

তবে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগদানকারী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত এমপিরা শপথ গ্রহণের আগে নির্বাচনে কথিত কারচুপির অভিযোগে পার্লামেন্টে প্রতিবাদ জানায়। এসময় হট্টোগোল শুরু হয়। পরে পিটিআই এমপিদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান স্পিকার। এরপর তিনি এমপিদের শপথ পাঠ করান।

শপথ নেওয়ার সাথে সাথে পিটিআই-এসআইসি এমপিরা স্পিকারকে বলেন, তাদেরকে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলার অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে স্পিকার তাদের জানান, সংসদ হিসেবে নির্ধারিত রেজিস্ট্রি খাতায় নিবন্ধনের পর তারা পয়েন্ট অব অর্ডার উত্থাপন করতে পারবেন।

আগামীকাল শুক্রবার (১ মার্চ) স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। আর ৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে জাতীয় পরিষদ।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভির অনিচ্ছা সত্ত্বেও গত সোমবার পরিষদের সচিবালয় আজকের উদ্বোধনী অধিবেশন আহ্বান করে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন হুঁশিয়ারি দেয় রাজনৈতিক দলগুলো। বলা হয়, তাকে অভিশংসন করা হবে। এমন হুমকির পর প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন।


আরও খবর



অবশেষে সাংবাদিক বৃষ্টির লাশ বুঝে পেল পরিবার

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট থানায় পৌঁছানোর পর মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এর আগে সকালে ঢাকার রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, বেইলি রোডের ঘটনায় নিহত বৃষ্টির ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট এসেছে, তবে নাজমুলের রিপোর্ট এখনো আসেনি। তার রিপোর্ট আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে তার বলে, সিআইডি থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে রোববার রাতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি। তবে তার মরদেহ নানা জটিলতায় হস্তান্তর করা হয়নি মরদেহ।

তার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। মরদেহ রাখা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট মর্গের ডিপ ফ্রিজারে। তবে আজ তার মরদেহ হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

মেয়ের মৃত্যুর খবরে ওইদিনই কুষ্টিয়া থেকে ছুটে ঢাকায় আসেন বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) বাবা সবুজ শেখ। মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি। তবে এর পরই বাধে বিপত্তি। সহকর্মী ও পরিচিতরা দাবি করেন, নিহত তরুণীর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তিনি সনাতন ধর্মের অনুসারী। পরে পরিচয় নিশ্চিত হতে ১ মার্চ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম। এনআইডি অনুযায়ীও ওই সাংবাদিকের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে।

প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগুনের ভয়াবহতা ও মৃত্যুর পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেয়া হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।


আরও খবর



জেলখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখছেন পরীমণি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি ক্যারিয়ারজুড়েই নানা কারণে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। কখনো বিয়ে-বিচ্ছেদ কাণ্ডে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন, আবার কখনো জেলে গিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন।

তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কেন জেলে গিয়েছিলেন সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় তার কাছে। তবুও জেলজীবনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, সেটা নিয়ে বই লিখবেন। যেখানে তিনি কারাবাসের দিনগুলোর গল্প তুলে ধরবেন।

পরীমণি বলেন, আমি কাউকে খুন করিনি, জঙ্গি হামলা করিনি, আমার বাসায় কোনো বোমা ছিল না। আমি আসলে কী করেছি এটাই জানি না। ভালো বিষয় হলো, এখান থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। জেলখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছি।

পরী মনে করেন স্ট্রেট ফরোয়ার্ড বলেই ব্যক্তিজীবনে তার লড়াইটা কঠিন ছিল সবসময়।

এ বিষয়ে অভিনেত্রীর ভাষ্য, একটু স্ট্রেট ফরোয়ার্ড বলে হয়তো আমার সঙ্গে এমনটা হচ্ছে। তবে এখন আমি জানি মানুষ কী পছন্দ করে আর কী পছন্দ করে না। মানুষ চায় নিজের গলাবাজির নিচে সবার গলাবাজি থাকুক। সবাই চায় আমি আস্তে কথা বলি, অন্যেরা যা চায় সেটা করি। সমাজের চাপানো কিছু নিয়ম আছে, সেগুলো মেনে চললেই তুমি লক্ষ্মী মেয়ে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, আমাকে নিয়ে যত নেগেটিভ কথা হয়েছে, ঠিক ততটুকু পজিটিভ কথাও হয়েছে। আমি যখন জেল থেকে বের হই তখন মানুষজন আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে, বিশেষ করে মেন্টালি। তাদের সঙ্গে আমার কিন্তু রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমার কাজের জন্যই আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল।

নিউজ ট্যাগ: পরীমণি

আরও খবর