আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বিআরটিসির তেজগাঁও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চত্বরে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) মহান স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার (যুগ্মসচিব), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর একান্ত সচিব গৌতম চন্দ্র পাল, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী জনাব সৈয়দ মঈনুল হাসান, বিআরটিসির পরিচালক, জিএম, ডিজিএমবৃন্দসহ বিআরটিসির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন জনাব মোহাম্মদ সাইদুর রহমান (উপসচিব), জিএম (প্রশাঃ ও পার্সোঃ)। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটিসির পরিচালক (প্রশাসন) এস এম কারুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্যে তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগষ্টে নিহত তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের। শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করেন বিআরটিসির শ্রমিক নেতা জনাব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, আজম খান, আব্দুল কাদের জিলানী, মোঃ জামশেদ আলী ম্যানেজার অপারেশন, শুকদেব ঢালী ডিজিএম (অপারেশন), ফাতেমা বেগম জিএম (প্রশিক্ষণ ও আইসিডব্লিউএস)। এছাড়াও স্মৃতিচারণ করেন মাননীয় মন্ত্রীর একান্ত সচিব জনাব গৌতম চন্দ্র পাল (যুগ্মসচিব), জনাব মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার (যুগ্মসচিব) প্রশাসন ও অনুবিভাগ, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী জনাব সৈয়দ মঈনুল হাসান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, বাংলার মানুষের মুক্তিই ছিলো বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ। সোনার বাংলা গড়তে হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে প্রাণে লালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণের মধ্যদিয়ে তিনি বাঙ্গালি জাতির মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাই বাঙ্গালি জাতির জন্য আগষ্ট একটি শোকাবহ মাস।

সভাপতির বক্তব্যে বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন আমি জাতির পিতার আদর্শে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের না তিনি সারা বিশ্বের নেতা। তিনি সবসময় মানুষকে নিয়ে ভেবেছেন এবং জীবন দিয়ে মানুষকে ভালোবেসেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ অবস্থান থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

পরিশেষে উপস্থিত সকলে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের নিহত সকল শহীদদের রুহের মাখফেরাত কামনা এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।


আরও খবর



সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর নববর্ষ উদ্‌যাপন, যা বলল ডিএমপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছিল তা উপেক্ষা করে নববর্ষ উদ্‌যাপন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টিকে অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডিএমপি বলেছে, পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদ্‌যাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার।

এতে বলা হয়, উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে ,আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বলছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এ সব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদ্‌যাপনে সরকার কর্তৃক বাঙালির এই আয়োজনে বাধাও প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদ্‌দযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে।

ডিএমপি বলছে, উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারত্বের সঙ্গে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলিত হয়ে আনন্দের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদ্‌যাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

এতে বলা হয়, নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও ঊদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা।


আরও খবর



কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১৬৯, নিখোঁজ ৯১

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ১ মার্চ থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৯। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৯১ জন। খবর বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার ভূমিধসে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারাদেশে ৬৬ জনকে হারিয়েছি। এর মধ্যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬ জন শিশু রয়েছে।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র বলেন, বন্যার কারণে ৩০ হাজার ২১৪টি কেনিয়ান পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর জনসংখ্যার হিসেবে বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ জন। কেনিয়ার রাজধানীতে বাস্তুচ্যুতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এদিকে, ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে কেনিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাসপাতালের সব বিল বহন করবে। বিশেষ করে মঙ্গলবার যারা ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের। এছাড়া বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি উপচে পড়ে সৃষ্ট বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা দিতে কাজ করছে কেনিয়ার সরকার।


আরও খবর



নীতি সুদহার বাড়িয়ে ৮.৫ শতাংশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার (পলিসি রেট) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগামীকাল থেকে নতুন সুদের হার কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করছে। এ নিয়ে ২০২২ সালের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার নীতি সুদহার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এছাড়া স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

আজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ১৫

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে দুদফায় ইসরায়েলের বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এই তথ্য দিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

নুসেইরাত থেকে ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় একটি ছোট মেয়ে শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে নুসেইরাতের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এ ছাড়া নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আরেকটি বাড়িতে হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩০ জন আহত হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অংশ হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস এঞ্জেলেসের (ইউসিএলএ) বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে ইউসিএলএর একজন শিক্ষার্থী কেনজা কারোই আলজাজিরাকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন ওই তহবিল পরিত্যাগ করে। কারোই জানান, প্রাইভেট ইকুইটি কোম্পানির মাধ্যমে সংগ্রহ করা বিপুল অর্থ ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি অস্ত্র তৈরির কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে থাকে। কারোই এসব বিনিয়োগের অর্থ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশেরও দাবি জানান।

এ ছাড়া গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে যারা বিক্ষোভ করছে, তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির সামনে জড়ো হয়েছে কয়েকশ প্রতিবাদকারী। তারা প্রতিবাদ জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রাঙ্গণের বাইরে পর্যন্ত চলে যান। এ ছাড়া সেখানে থাকা তাঁবুতে কেউ কেউ আরও একটি রাত কাটিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।

গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আকাশ ও স্থলপথে চালানো হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৩৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৩৬৮ জন।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি, বোমা উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ভারতের মণিপুরে একটি ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র দুষ্কৃকারীরা গুলি চালিয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে কোচবিহারের ফলিমারিতে বুথের বাইরে থেকে বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করছে পুলিশ। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজারের।

অভ্যন্তরীণ মণিপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত থামানপোকপিতে একটি ভোট কেন্দ্রে সশস্ত্র দুষ্কৃকারীরা গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।

কোচবিহারের মধ্য ফলিমারির ৪/৩৭ বুথ সংলগ্ন এলাকা থেকে ৯টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই প্রচুর বোমাবাজি হয়েছে এলাকায়। তার পর দিনের আলো ফুটলে ৯টি তাজা বোমা লক্ষ করেন এলাকাবাসী। পুলিশে খবর দেওয়া হলে বোমাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছাড়াও ভেটাগুড়ি থেকে তাজা বোমা উদ্ধারের খবর পাওয়া গিয়েছে।

এর আগে কোচবিহারের চাঁদমারি এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকে ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছেন।

উত্তর প্রদেশের নাগিনা থেকে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করেছেন যে, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। বিজেপি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছে এবং ভোটারদের তার পক্ষে ভোট দিতে দিচ্ছে না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ১০টিরও বেশি ইভিএম সঠিকভাবে কাজ করছে না এবং ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকা ক্যামেরাও ত্রুটিপূর্ণ।

পশ্চিমবঙ্গে সকাল ১১টা পর্যন্ত জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার— এই তিন কেন্দ্রে সামগ্রিক ভাবে ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোটগ্রহণ শুরুর ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত সব দল মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ১৫১টি অভিযোগ জমা পড়েছে।

স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় শুরু হয়েছে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা। সাত দফার এই নির্বাচনে আজ প্রথম দফায় ২১টি রাজ্য এবং‌ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে দেশের ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

নির্বাচন কমিশন ১ লাখ ৮৭ হাজার ভোটকেন্দ্র জুড়ে ১৮ লাখেরও বেশি ভোটকর্মী মোতায়েন করেছে। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৮ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ, ৮ ​​কোটি ২৩ লাখ নারী এবং ১১ হাজার ৩৭১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

এসব কেন্দ্রে ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩ কোটি ৫১ লাখ তরুণ ভোটার ছাড়াও প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার।


আরও খবর