আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর সরকারের ওপর লেখা গবেষণা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জের উপর লেখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার : দেশ নির্মাণের মৌলিক রূপরেখা বইটি বাজারে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর কার্যালয়ে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

৪৯২ পৃষ্ঠার এই বইটি প্রকাশ করেছে পাঠক সমাবেশ। ১৪৯৫ টাকা মূল্যের এই বই পাওয়া যাবে শাহবাগ ও কাঁটাবনে পাঠক সমাবেশের লাইব্রেরীতে। লেখক তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার গবেষণালব্ধ এই বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গ্রন্থটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের প্রশাসন ব্যবস্থা, সরকার পরিচালনা পদ্ধতি এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ, মন্ত্রিসভা, বাজেট, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, পরিকল্পনা, উন্নয়ন, কৃষি, সমবায়, দ্বিতীয় বিপ্লব, প্রতিরক্ষা, অবকাঠামো ও যোগাযোগ, নারী উন্নয়ন, বাণিজ্যনীতি, আইন প্রণয়ন, সিভিল সার্ভিস, শিক্ষা ও মানবসম্পদসহ সরকার পরিচালনা সংশ্লিষ্ট ৪৭টি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বৃহৎ পরিসরে গবেষণার আলোকে রচিত এ কাজটি সম্পন্ন করতে লেখক তৎকালীন সরকারি রিপোর্ট, জাতীয় আর্কাইভ, দেশী-বিদেশী পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদন, সাক্ষাৎকার, শতাধিক গ্রন্থ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছেন।

লেখকের নিরবচ্ছিন্ন গবেষণা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিপুল তথ্যভান্ডার সুবিন্যস্তভাবে বইয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের একটি মৌলিক রূপরেখা স্পষ্ট হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে যেভাবে গড়তে চেয়েছিলেন তার একটি প্রতিচ্ছবি এ বইয়ে বিধৃত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান এবং আগামী দিনের গবেষক, চিন্তক, অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক এবং রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য এ গবেষণা দলিলটি দিকদর্শন হিসেবে কাজ করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।


আরও খবর



মুক্তির মহানায়কের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ রোববার (১৭ মার্চ)। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

দিবসটি উদযাপনে এদিন দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন তারা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। তাছাড়া সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। সেই সুবাদে বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন।

তার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড রেজিস্ট্রারে অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

অন্যদিকে, ২৬ মাচর্ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তিনি। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির বহু কাঙ্ক্ষিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসির এক জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।

বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ নেতাকে স্বাধীনতার প্রতীক বা রাজনীতির ছন্দকার খেতাবেও আখ্যা দেয়া হয়। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তার উচ্চকিত প্রশংসা করেন। বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তি কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

শ্রীলংকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কাদির গামা বাংলাদেশের মহান নেতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান। তার স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নগরীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা এবং তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেয়া বঙ্গবন্ধু খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মন্তব্য বইয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্মোহনী এবং অসীম সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে জনগণের নেতৃত্বদান করেছিলেন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধী বলেন, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতা এবং রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি স্বাধীনতার জন্য প্রতিকূলতা ও বিরূপ পরিস্থিতি উপেক্ষা করে অটল সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ সফরের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় মন্তব্য বইয়ে তিনি লেখেন, উপ-মহাদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী, মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষের মনে বঙ্গবন্ধু এক জ্বলন্ত অনুপ্রেরণা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি, স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থপতি এবং পিতা। বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মঞ্চে অন্যতম শ্রেষ্ঠত্বে মর্যাদা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি সেই বিরল নেতা, যার প্রতি ধর্মমত নির্বিশেষে সব মানুষ প্রণাম জানিয়ে ধন্য হয়।

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুকে দেশদ্রোহী হিসেবে চিত্রিত করলেও ইতিহাসই প্রকৃত অবস্থান নিশ্চিত করে, যখন তাঁর এককালীন ঘোরতর শত্রু তাকে মহান দেশপ্রেমিক হিসেবে অভিহিত করে।১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি (বেলুচিস্তান) অফিসার মেজর জেনারেল তোজাম্মেল হোসেন মালিক পরে তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, বস্তুত মুজিব দেশদ্রোহী ছিলেন না (পাকিস্তানে তাকে সেভাবে চিত্রিত করা হলেও)। নিজ জনগণের জন্য তিনি ছিলেন এক মহান দেশপ্রেমিক।

আরেকজন সেনা কর্মকর্তা তৎকালীন পাকিস্তানি জান্তার মুখপাত্র মেজর সিদ্দিক সালিক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণের কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সালিক তার গ্রন্থে লিখেছেন, রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল আশাব্যঞ্জক বাণী শ্রবণ শেষে মসজিদ অথবা গির্জা থেকে তারা বেরিয়ে আসছেন।


আরও খবর



মাস্টার্সের ফল প্রকাশের ৭দিনের মধ্যে জবির হল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স এর ফল প্রকাশিত হওয়ার সাত দিনের মধ্যে হল ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন।

সোমবার (১১ মার্চ) হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.দীপিকা রাণী সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রীদের জানানো যাচ্ছে যে- যাদের মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে তাদেরকে আগামী সাত দিনের মধ্যে হলের আবাসিক সিট ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে তুচ্ছ ঘটনায় মারধরে করেন ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অবৈধভাবে হলে থাকা এক সাবেক শিক্ষার্থী। পরবর্তীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই শিক্ষার্থীর আসন বাতিল করা হয়। আর সেই প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে হল প্রশাসন।


আরও খবর



বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আমদানি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়ছে। এ সময়ে কারেন্সি সোয়াপের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলার রেখে টাকা নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে।

বুধবার রিজার্ভ বেড়ে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত সোমবার ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।

এর আগে গত সপ্তাহে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। গত মাসেই তা ১৯ বিলিয়নের ঘরে ছিল। অবশ্য আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধের পর রিজার্ভ আবার কমবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে কমতেকমতে গত নভেম্বর শেষে ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তবে জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এখন সোয়াপের ফলে রিজার্ভ ফের বাড়ছে।

ব্যাংকাররা জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা অনিশ্চয়তার কারণে প্রবাসী কিংবা রপ্তানিকারকদের অনেকে ডলার ধরে রাখছিলেন। এসব ডলার দেশে আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে এক নির্দেশনার মাধ্যমে রেমিট্যান্সের সুবিধাভোগীর নামেও বৈদেশিক মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট খুলে ডলার রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। এর বিপরীতে সুদ মিলছে ৭ থেকে ৯ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ থেকে দেশে ফিরে আরএফসিডি অ্যাকাউন্ট খুললে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত রেখে ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে দেশে অর্থ আনতে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকিং চ্যানেলে ৪২৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৬ কোটি ডলার বা ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুর দিকে রেমিট্যান্স কম থাকায় অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী আয় বেড়েছে মাত্র ১০৫ কোটি ডলার বা ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ সময় প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৫০৬ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৪০১ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ৮ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। আবার বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি কমিয়ে রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ১৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত অর্থবছর আমদানি কমেছিল ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। কারেন্সি সোয়াপ নীতিমালার আওতায় মঙ্গলবার পর্যন্ত কয়েকটি ব্যাংক প্রায় ৭৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রেখেছে। এ ছাড়াও কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না বললেই চলে। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি আযান, ক্বিরাত ও হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৪ চট্টগ্রামে অবস্থিত বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক-এর আলাউদ্দিন অডিটরিয়ামে সমাপ্ত হয়।

প্রতিযোগিতায় বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক চ্যাম্পিয়ন এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সমাপনী অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন) এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আওয়াল হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও উপবিজয়ী দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক এর এয়ার অধিনায়ক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিমানসেনা এবং অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গত ৩ মার্চ স্বাগতিক ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম শফিউল আজম, ওএসপি, জিইউপি, এনডিসি, পিএসসি উক্ত প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য যে, ৪ দিন ব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৭ টি দল অংশগ্রহণ করে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ১১

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ে একটি ভবনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চান্দগাঁও থানার শংকর দেওয়ানজীহাটে ওসমানগনি ভবনের ৩য় তলায় এই বিস্ফোরণ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের পর ভবনটির তৃতীয় তলায় আগুন দেখা যায়। পরে পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাটে আহত ১১ জনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বিস্ফোরণে ভবনটির বেশ কয়েকটি দরজা-জানালা উড়ে গেছে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ভবনটির তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণে ওই ফ্লোরের ৪টি ফ্ল্যাটে আগুন ধরে। ফ্ল্যাটগুলোতে তিনটি পরিবার ছিল। আগুনে তিন পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রান্নার চুলার গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত।


আরও খবর