আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বন্যার কারণে খেরসনে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিস্ফোরণে বিশাল একটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর সেখানকার হাজার হাজার মানুষ পানীয় জলের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে পড়েছেন।

তিনি বলছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল বিভক্তকারী নিপ্রো নদীর বন্যার পানিতে খেরসন অঞ্চলে কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। আশপাশের কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে।

সেখানকার সেচ ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার ফলে কৃষিতে বিপর্যয় নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ইউক্রেন ও রাশিয়া একে অপরের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে লড়াইয়ে নোভা কাখভকা বাঁধকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করেছে।

আরও পড়ুন<< সঙ্গী ছাড়াই গর্ভবতী চিড়িয়াখানার কুমির

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলেছে, বাঁধ ধ্বংসের ঘটনায় জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েনি। বুধবার বন্যার পানির উচ্চতা বাড়তে পারে আশঙ্কায় খেরসনের আশপাশের এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।

গত বছরের শেষের দিকে রুশ বাহিনীর হাত থেকে খেরসন শহরের নিয়ন্ত্রণ উদ্ধার করেছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ৪২ হাজার মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির ইউক্রেন সংবাদদাতা জেমস ওয়াটারহাউস বর্তমানে শহরটিতে অবস্থান করছেন। তিনি বলেছেন, বন্যার পানিতে অনেক বাড়ির ছাদ পর্যন্ত ডুবে গেছে। উদ্ধারের অপেক্ষায় খেরসনের অনেক মানুষ ছাদ ও গাছে রাত কাটিয়েছেন।

আরও পড়ুন<< খেরসনের বাঁধ উড়িয়ে দিল রাশিয়া

কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, নোভা কাখভকাতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। কাখভকা জলাধারে পানি কমে আসার ফলে তা দক্ষিণ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ কৃষি শিল্পের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ বিশাল এলাকাটি সেচের পানির ওপর নির্ভরশীল।

দূষণ এবং বন্যার কারণে পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতিরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের সরকার। এই পরিস্থিতিকে গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপে সবচেয়ে খারাপ পরিবেশগত বিপর্যয়গুলোর একটি হিসাবে বর্ণনা করেছে ইউক্রেন।


আরও খবর
ক্রিমিয়ায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




রক্তের বিনিময়ে আমরা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, রক্তের বিনিময়ে আমরা দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। কিছু (বড়) দেশ গণতন্ত্র ও নির্বাচনের অতীত সম্পর্কে নাও জেনে থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ, তারা আমাদের দেশে গণতন্ত্র এবং ভোট দেওয়ার অধিকার খুঁজছে।

তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কিছু (বড়) দেশ বাংলাদেশে এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেটি তাদের চাটুকার হবে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের রক্ত ঝরিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও যেসব দেশ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন খুঁজছে তাদের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট এর আগে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালুর প্রস্তাব দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার আইন প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে এবং কমিশনকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন করেছে।

তারা (কিছু বড় দেশ) গণতন্ত্র ও নির্বাচনের অতীত সম্পর্কে নাও জেনে থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ, তারা আমাদের দেশে গণতন্ত্র এবং ভোট দেওয়ার অধিকার খুঁজছে।

সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান, যে পকেট থেকে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, প্রথমে হ্যাঁ/না ভোট এবং রাষ্ট্রপতির ভোটের মাধ্যমে ভোট কারচুপির সংস্কৃতি চালু করে নির্বাচন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেন এবং এরশাদ ও খালেদা জিয়া (জিয়াউর রহমানের স্ত্রী) জিয়ার পথই অনুসরণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বড় দেশগুলো সবসময় বিশ্বের সর্বত্র মাতবরি করার চেষ্টা করে। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অমানবিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের (বড় দেশ) তাদের মতো বন্ধু আছে তাদের শত্রুর কোনো প্রয়োজন নেই।

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি, গুম ও মানুষ হত্যার কথা বলে এমন কিছু দেশকে একপাশে সরিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ ও নূরকে আশ্রয় দিয়েছে এবং বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা বারবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুনি রাশেদকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেছি কারণ আমাদের বিচার বিভাগের বিচারে সে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার তাদের নেই। তারা এখন খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। খুনি ডালিম ও রশিদ পাকিস্তান ও লিবিয়ার মধ্যে তাদের আস্তানা পরিবর্তন করে চলছে, অন্য একজন খুনির হদিস এখনো পাওয়া যায়নি এবং বাকি খুনিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুনিদের বিচারের জন্য আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনি ছিলেন এবং তিনি খুনিদের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন এবং তাদের বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে পোস্টিং দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম। ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোন্নাফী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাদেক খান এমপি, আবদুল কাদের খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম মাজহার আনাম ও মো. আজিজুল হক রানা, পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মেহেরুন্নেছা মেরি ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, মিজবাউর রহমান ভূঁইয়া রতন ও সাজেদা বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন ও গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।


আরও খবর
পাবনার মানুষ অনেক বঞ্চিত : রাষ্ট্রপতি

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সমুদ্রের মাঝে ফ্রান্সের রহস্যে ভরা মঠ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমুদ্রতীরের কাছে এক দ্বীপের উপর মঠ। শুধু ভাটার সময়েই সেখানে পৌঁছানো যায়। ফ্রান্সের এই সৌধের টানে অনেক পর্যটক ভিড় করেন। প্রায় হাজার বছর পুরানো সেই অ্যাবির অনেক রহস্য আজো অজানা থেকে গেছে।

ফ্রান্সের মঁ স্যাঁ মিশেল মধ্যযুগের সবচেয়ে জটিল নির্মাণের অন্যতম দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিত। আজও সেখানে পৌঁছানোর পথ অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। তবে অক্ষত শরীরে একবার সেখানে পৌঁছতে পারলে অনেক রহস্য সমাধানের সুযোগ রয়েছে। আন ল্য পাজ নয় বছর ধরে মঁ স্যাঁ মিশেল অ্যাবির গাইডের কাজ করছেন।

এই অ্যাবি চার্চের অর্ধেক রোমানেস্ক, বাকি অর্ধেক গথিক শৈলি অনুযায়ী তৈরি। আনাচেকানাচে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। সবচেয়ে গভীর রহস্যগুলি আন্ পরে জানাবেন। সবার আগে তিনি একটি দরজার মধ্য দিয়ে দর্শনার্থীদের নিয়ে গেলেন।

এই ফ্লাইং বাট্রেস' গথিক নির্মাণশৈলির বৈশিষ্ট্য। সেগুলি বাইরের কাঠামো ধরে রাখে। একটি অংশ বিশেষ সুন্দরভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। সেটির আরো একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আন ল্য পাজ বলেন, ‘‘এটি এক ফ্লাইয়িং বাট্রেসের উপর গড়ে তোলা হয়েছে, যা আসলে ঘোরানো সিঁড়ি। অনেকটা গ্র্যানাইটের মধ্যে লেসের কাজের মতো। মনে রাখতে হবে, সেই মধ্যযুগেই এটা তৈরি হয়েছে। আমরা প্রায় শীর্ষে পৌঁছে গেছি। এবার বামদিকে শুধু বেল টাওয়ার এবং শেষে একেবারে উপরে  আর্চ্যাঙ্গেল স্যাঁ মিশেলে যাওয়া যায়। সেটিকে আবার সম্ভাব্য ঝড়ঝঞ্ঝা বা বজ্রপাত প্রতিরোধের লাইটনিং রড হিসেবেও কাজে লাগানো হয়। কারণ অতীতে এমন বিপর্যয়ের ফলেই বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> রাশিয়ার সিদ্ধান্তের পরই দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

আজ যেখানে পর্যটকরা ছবি তুলতে ভিড় করেন, হাজার বছর আগে সেখানে বেনিডিক্টাইন সন্ন্যাসীরা বাস করতেন। মধ্যযুগেই হাজার হাজার তীর্থযাত্রী এই অ্যাব দর্শন করতে আসতেন। পর্যটকদের ভিড়ের মাঝে কি বোঝা যায়, যে আজো সন্নাসীরা সেখানে বাস করছেন?

আন জানালেন, আসলে পাঁচ জন সন্নাসী ও সাত জন সন্নাসিনী, অর্থাৎ ১২ জন দিনে তিন বার প্রার্থনা করেন। ফরাসি সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার আওতায় এই সৌধে সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে। এর বদলে তাঁরা সেখানে থাকার সুযোগ পান। অবশ্যই ব্যক্তিগত স্তরে সেই ব্যবস্থা রয়েছে।'

ভ্রমণের শেষে মঁ স্যাঁ মিশেলের সবচেয়ে কালো অধ্যায়ের দিকে নজর দেবার পালা। অত্যন্ত জঘন্য অপরাধীদের জন্য দুটি আইসোলেশন সেল এখনো সেখানে দেখা যায়। ফরাসি বিপ্লব থেকে শুরু করে ১৮৬৩ সাল পর্যন্ত সময়ে গোটা অ্যাবিটা কারাগার হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছে।

আরও পড়ুন>> পাকিস্তানে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩১

আন ল্য পাজ বলেন, ‘‘সম্ভবত অনেক ঘণ্টা বা অনেক দিন ধরে থাকা বন্দিরাই খোদাই করে কিছু লিখেছে। কয়েকজন বন্দি তাদের কয়েক বছরের কষ্টের কথা বিভিন্ন জায়গায় লিখেছে। ভাবুন, এখানে থাকা কত ভয়ংকর ছিল।''

অনেক শতাব্দী ধরে এই মঠ দ্বীপে যা ঘটেছে, তার অনেকটাই এখনো অজানা। গবেষণা চালিয়েও হয়তো অনেক তথ্য কখনোই জানা যাবে না। তাই মঁ স্যাঁ মিশেলকে ঘিরে আজও অনেক অনুমান ও কল্পনা দানা বাঁধছে।


আরও খবর
ক্রিমিয়ায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

৫ বছর পর আবার ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপ। সেবার আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আসরে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। এই আসরে সর্বশেষ ৫ আয়োজনের মধ্যে তিনটিতেই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। তাই অন্যতম ফেভারিট তকমা নিয়েই আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে। সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কারও আজ প্রথম ম্যাচ। দুই দলই বেশকিছু সমস্যায় জর্জরিত। ইনজুরি, অসুস্থতায় উভয় দলের কয়েকজন অপরিহার্য ক্রিকেটার নেই। এরপরও আজ জয়ের জন্যই মাঠে নামবে উভয় দল। কারণ গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে পরাজয় সুপার ফোরে ওঠার রাস্তাটাকে কঠিন করে দেবে।

বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ১০ বছর পর এই ভেন্যুতে ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে একমাত্র ওয়ানডে খেলতে নেমে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার লক্ষ্যেই নামবে বাংলাদেশ। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে এই ম্যাচ দিয়েই দ্বিতীয় দফায় যাত্রা শুরু করছেন সাকিব আল হাসান।

এশিয়া কাপে সর্বশেষ গত বছর টি২০ ফরম্যাটের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। সেদিক থেকে এবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে তারা। অপরদিকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ যেহেতু ওয়ানডে ফরম্যাটে হয়েছে, সেদিক থেকে বাংলাদেশ বর্তমান রানার্সআপ হিসেবেই নামবে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার চেয়ে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে পাশাপাশি অবস্থান দুই দলের। টাইগারদের অবস্থান ৭ নম্বরে আর শ্রীলঙ্কা আছে ৮ নম্বরে। এ কারণে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস থাকছে। কয়েক বছর ধরে দুই দলের মধ্যে বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হয়েছে। সেই উত্তেজনা দুই দলের ক্রিকেটার থেকে বাইরে ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এ ম্যাচকে ঘিরেও থাকছে উত্তেজনা এবং উন্মাদনা।

তবে বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকরা অধীর হয়ে অপেক্ষায় আছেন এবার এশিয়া কাপে দল কেমন করে তা দেখার জন্য। কারণ দলে অনেকগুলো পরিবর্তন এসেছে। নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে থাকা তামিম ইকবাল নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন এবং এশিয়া কাপেও খেলবেন না তিনি। অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দলে ঠাঁই পাননি। ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন ডানহাতি পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী। সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে দল লিটন কুমার দাসের অসুস্থতায়। জ্বর ভালো না হওয়ায় তিনি ছিটকে গেছেন এশিয়া কাপ থেকে। শেষ মুহূর্তে তাই সাড়ে ৯ মাস পর দলে যোগ হয়েছেন এনামুল হক বিজয়। এই দলটিতে ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা ৫ ক্রিকেটার আছেন। সবমিলিয়ে দলটিকে নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

বাংলাদেশ দলের হয়ে আজ কারা ওপেনিং করবেন এটিই বড় প্রশ্ন। দুই বাঁহাতি তানজিদ হাসান তামিম ও নাঈম শেখ আগে থেকেই আছেন দলে। এখন বিজয় যুক্ত হয়েছেন। সঙ্গে আরেকটি চিন্তা রয়েছে ৭ নম্বর পজিশন নিয়ে। সেখানে আফিফ হোসেন ধ্রুব, শেখ মেহেদি হাসান কিংবা শামীম হোসেন পাটোয়ারীর মধ্যে যেকোন একজন খেলবেন। আবার এমনও হতে পারে সাতে মেহেদি হাসান মিরাজ খেলবেন এবং আরেকজন বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে নামবে বাংলাদেশ। পাল্লেকেলেতে সাধারণত ব্যাটিং উইকেট থাকে। ৩-৬ নম্বর পজিশন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব ও মুশফিকুর রহিমের জন্য নির্ধারিত। বোলিংয়ে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম থাকবেন।

মুস্তাফিজুর রহমান হাঁটুর সমস্যায় নাও খেলতে পারেন। তবে কম্বিনেশন বেশ শক্তই থাকছে দলের, শুধু কমেছে অভিজ্ঞতা। একই সমস্যায় রয়েছে লঙ্কানরা। তাদের অন্যতম সেরা লেগস্পিন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ৩ পেসার লাহিরু কুমারা, দিলশান মাদুশঙ্কা ও দুশমন্ত চামিরা দলে নেই ইনজুরির কারণে। তাদেরকে ছাড়া কিছুটা দুর্বল হয়েছে লঙ্কানদের বোলিং আক্রমণ। তবে কাসুন রাজিথা, মাথিশা পাথিরানা, প্রমোদ মাদুশান, বিনুরা ফার্নান্দোকে নিয়ে পেস আক্রমণটা এখনো যথেষ্ট আকর্ষণীয় রয়েছে। এছাড়া স্পিন বিভাগে দুনিথ ভেল্লালাগে, মাহিশ থিকশানা ও লেগস্পিন অলরাউন্ডার দুশান হেমন্ত বাংলাদেশী ব্যাটারদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারে। ব্যাটিংয়েও সমস্যা আছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে আভিস্কা ফার্নান্দো নেই এবং দলে থাকলেও এখন পর্যন্ত ফিটনেস ফিরে পাননি কুসাল পেরেরা।

তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ চাপেই থাকবে লঙ্কানরা। ৫১ বার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়ে মাত্র ৯ বার জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ৪০ বার জিতেছে লঙ্কানরা। আর এশিয়া কাপেও ১৩ বারের মোকাবিলায় ২ জয় বাংলাদেশের, ১১ জয় লঙ্কানদের। তাই এগিয়েই আছে স্বাগতিকরা। তবে গত ৫ বছরে ১০ মোকাবিলায় ৪ জয় বাংলাদেশের, ৬টি শ্রীলঙ্কার। এটাই বড় অনুপ্রেরণা টাইগারদের।

নিউজ ট্যাগ: এশিয়া কাপ

আরও খবর
ভারতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রাক পর্যবেক্ষক দলের তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসতে পারে ইইউ সদরদপ্তর ব্রাসেলস থেকে। ইইউর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকার ইইউ সদস্যভুক্ত দেশের এক রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে ঢাকায় থাকা ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বা সরকার আমন্ত্রণ জানালে জাতীয় নির্বাচনে পূর্ণ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বদলে ছোট একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে পারে ইইউ।

সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে যে, তাদের নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য উপযোগী বলে মনে করছে না। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে তাদের এই মতামত জানিয়েছে।

তবে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের তথ্য নিজস্ব সূত্র থেকে পাওয়ার সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ছোট আকারের একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হতে পারে। ২০১৮ সালেও নির্বাচনে ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

প্রাক পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, প্রাক পর্যবেক্ষক দলের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নির্বাচন সহায়ক পরিবেশ নেই বলে মনে করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় পর্যবেক্ষক দল পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ। তবে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের তথ্য নিজস্ব সূত্র থেকে পাওয়ার সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ছোট আকারের একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হতে পারে।

ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণাঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে যোগোযোগ করা হলে তারা এমন কোনো চিঠি এখনো আসেনি বলে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও আমাদের কাছে মেইল বা সরাসরি কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। এসব চিঠি অধিকাংশ ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে ইসিতে আসে।

গত ৮ থেকে ২৩ জুলাই নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর ছয় সদস্যের একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশ সফর করে। প্রতিনিধি দলটি মূলত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে মূল্যায়ন করে। প্রাকনির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটি বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে।

নিউজ ট্যাগ: ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আরও খবর
পাবনার মানুষ অনেক বঞ্চিত : রাষ্ট্রপতি

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




৯০ দিন পর খুলছে সুন্দরবনের দ্বার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন মাস বন্ধ থাকার পর দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। আগামীকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবন খুলে দেওয়ার হবে।

প্রস্তত হচ্ছে সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, হিরণপয়েন্ট, দুবলাসহ সমুদ্র তীরবর্তী এবং বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান। বনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, ট্যুর অপারেটর, লঞ্চ ও বোটচালকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন দর্শনার্থীদের জন্য।

বনবিভাগ বলছে, পদ্মা সেতু যুক্ত হওয়ায় সড়ক পথে সহজেই এবার অসংখ্য পর্যটক এখানে আসতে পারবেন। সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর প্রজনন ও বিস্তার রক্ষায় গেল ১ জুন থেকে সুন্দরবন এলাকায় পর্যটক প্রবেশ ও নদ-নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ছিল।


আরও খবর