বাংলাদেশে গুগল ফ্লাড ফোরকাস্টিং ইনিশিয়েটিভ
চালু করতে সম্প্রতি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের
অংশীদার হয়েছে গুগল। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবছরই বন্যা
পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে গুগল জানিয়েছে, অ্যালার্ট
প্রযুক্তির মাধ্যমে গুগল ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটিকে এখনো অনেক
প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর কাজ
বিলম্বিত হয়েছে, ফ্রন্ট লাইনার ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং
ইন-পারসন নেটওয়ার্ক ব্যাহত হয়েছে। এই ইন-পারসন নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই অনেক মানুষ বন্যার
পূর্বাভাস-সংক্রান্ত আগাম নোটিশ পাওয়ার ওপর নির্ভরশীল।
এই সিস্টেমগুলোকে শক্তিশালী করতে সামনে
আরো কাজ করতে হবে, যাতে বিপুলসংখ্যক বিপন্ন মানুষ এর ওপর নির্ভর করতে পারে, বন্যাকবলিত
অঞ্চলের আরো মানুষের কাছে সেগুলো পৌঁছে যেতে পারে। এই মানুষগুলোকে রক্ষা এবং তাদের
জীবন বাঁচাতে প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল সরঞ্জামগুলোর বিকাশ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নতিসাধনে
গুগল তার অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাবে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা
পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন,
‘বন্যাকালে চ্যালেঞ্জ উত্তরণে বিডব্লিউডিবি-এটুআই-গুগলের যৌথ ফ্লাড ফোরকাস্টিং ইনিশিয়েটিভ
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যমুনা-পদ্মা
নদী সংলগ্ন ১৪টি জেলায় ইনানডেশন মডেলিং সিস্টেম চালু করেছে।
এখন পর্যন্ত আমাদের পার্টনারশিপ যেভাবে
বাংলাদেশের মানুষকে সাহায্য করছে, তাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আগামী দিনগুলোতে বন্যার
ক্ষয়ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে গুগলের সঙ্গে এ অংশীদারত্ব ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে
বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।