আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

বন্যায় রেলপথে ক্ষতি, ঈদযাত্রায় শঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বন্যায় রেলপথের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশন, রেললাইন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে ব্রিজও ভেঙে গেছে। শুরুতে বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় ৫ থেকে ৮ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছে। চালক ও গার্ডরা বলছেন, চরম ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। অপরদিকে রেলওয়ে প্রকৌশল দপ্তর বলছে, তলিয়ে যাওয়া রেললাইন থেকে ধীরে ধীরে পানি সরছে। কিন্তু লাইনে দীর্ঘ সময় পানি থাকায় মাটি নরম হয়ে গেছে। ফলে উনিশ থেকে বিশ হলেই লাইন দেবে যাচ্ছে। ব্রিজের দুপাশের মাটি ধসে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আসছে ঈদ। এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি যাত্রী নিয়ে একেকটি ট্রেন চলে।

পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত সংস্কার কাজ চলছে। তবে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে শঙ্কা আরও বাড়বে। রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবির বলেন, বন্যায় রেলওয়ে স্টেশন, রেললাইন, ব্রিজের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, তলিয়ে যাওয়া লাইন, স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে পানি নামলেও ওইসব স্থানে মাটি নরম। ট্রেন যথেষ্ট লোড নিয়ে চলাচল করে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমরা ঝুঁকি নিয়েই গতি কমিয়ে ট্রেন চালাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অতিরিক্ত লোকবল দিয়ে দ্রুত কাজ করানো হচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তর মাঠ পর্যায়ে সরঞ্জাম নিয়ে রয়েছে। মজুত করা হয়েছে নির্মাণসামগ্রী। বন্যায় রেলসেতুর দুপাশ থেকে মাটি ধসে গিয়ে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করেছে।

ড. হুমায়ুন কবির বলেন, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রেলপথের বারহাট্টা রেলওয়ে ব্রিজের বেশ ক্ষতি হয়েছে। ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্রিজটি মেরামত করতে দিন-রাত কাজ চলছে। এ ছাড়া সিলেট লাইনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খুবই কম গতি নিয়ে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসহ সন্দেহজনক এলাকায় মালামাল মজুত করে রাখছি। যে কোনো পরিস্থিতিতে যেন দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা যায়। সামনে ঈদুল আজহা, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিয়া জানান, শুধু সিলেট লাইনে নয়, আখাউড়া-চট্টগ্রাম, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রেলপথেও রেললাইন, ব্রিজের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব লাইন এলাকায় রেলপথ থেকে বন্যা এবং পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে গেছে। বেশ কয়েকদিন লাইন এলাকায় পানি জমা ছিল। ব্রিজের দুপাশের মাটি ঠেকাতে কিছু ব্রিজের দুপাশে বালির বস্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনসহ ওই এলাকায় রেললাইন পানির নিচে ছিল। শনিবার ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে ট্রেন চলছে, তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খুব কম গতি নিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, মোহনগঞ্জ এলাকায় বারহাট্টা রেলওয়ে ব্রিজ ভেঙে গেছে। দুপাশের মাটি ধসে বিশাল গর্ত হয়ে গেছে। আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যে ব্রিজটি অস্থায়ীভাবে মেরামত করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ওই ব্রিজ দিয়ে কোনো ট্রেন চলাচল করছে না। ঈদযাত্রায় কোনো শঙ্কা আছে কি না? সবকিছু মাথায় নিয়েই আমরা কাজ করছি। লাইন মেরামত এবং ফের লাইনে পানি উঠলে কী কী করণীয় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতিবছরই লাইন পানিতে তলিয়ে যায়। একই সঙ্গে স্টেশনে পানি ওঠাসহ বিভিন্ন ব্রিজের দুপাশের মাটি ধসে বড় বড় গর্ত হয়। কখনো কখনো ব্রিজসহ দুপাশের লাইন পানিতে ভেসে যায়। বন্যাপরবর্তী সময়ে টেকসই এবং সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগুলো মেরামত এবং পুনর্নির্মাণ করার কথা। কিন্তু বাজেট নেই কিংবা পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে কোনো মতো কাজ শেষ করেই ট্রেন চালানো শুরু হয়। ফলে বন্যা এলে এসব এলাকায় লাইন ব্রিজ এবং স্টেশন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) প্রকৌশলী মো. কামরুল আহসান বলেন, বন্যায় ঝুঁকি নিয়েই ট্রেন পরিচালনা করতে হয়। বন্যায় সড়কপথে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় রেলপথের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা আরও বাড়ে। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে কম গতি নিয়েও ট্রেন চালাতে হয়। আমরা মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত লোকবল এবং সরঞ্জাম রেখেছি। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা যাবে। শুধু সংস্কারই করছি না, নজর দিচ্ছি সামনে ঈদযাত্রা। ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ট্রেন চলে, চলমান ট্রেনের সঙ্গে কোচ বাড়ানো হয়। যাত্রীদের চাপ ২-৩ গুণ বেশি হয়। ওই সময় যাতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায়, সে জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মজুত রাখা হচ্ছে মালামাল।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. মনিরুল ইসলাম ফিরোজী বলেন, বিভিন্ন লাইন এলাকায় এখনো বন্যার পানি রয়েছে। ব্রিজের নিচ দিয়ে তীব্র বেগে পানি নামছে। বারহাট্টা এলাকায় রেলসেতু ভেঙে পড়ায়, সেতুর দুপাশের মাটিও সরে গেছে। কুড়িগ্রাম রেলওয়ে এলাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার রেলপথ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাথর সরে গেছে। কুড়িগ্রামের উলিপুর থেকে রমনা বাজার পর্যন্ত রেলপথে পানি উঠে লাইন তলিয়ে গেছে। ওই পথে ট্রেন চালানো বন্ধ রয়েছে।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের আবু রায়হান

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেনেগালের রাজধানী ডাকারে অনুষ্ঠিত ১১ তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে আবু রায়হান পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১০ মিলিয়ন ফ্রান্ক বা ১৬ হাজার ৬০০ শত মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৯ লাখ টাকা।

এই কেরাত প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছেন তিনি।

রবিবার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।

গত ২ এপ্রিল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সেনেগালের উদ্দেশে রওনা দেন হাফেজ আবু রায়হান। তিনি আর রায়হান ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার একজন শিক্ষার্থী।

গত ডিসেম্বরে লালবাগ শাহী মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বাছাইপর্ব। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচিত করে রায়হানকে। মূল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে মিসর ও সেনেগালের প্রতিযোগী।

২০১৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত টেলিভিশনভিত্তিক রিয়েলিটি শো তিজানুন নূর তথা জিম টিভিতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিলেন রায়হান।

আবু রায়হানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। তার কোরআন পড়ার সূচনা হয় মুফতি আবদুল কাইয়ুম প্রতিষ্ঠিত বল্লভদী আল ইসরাহ একাডেমি মাদরাসায়। তিনি মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার ছাত্র।


আরও খবর



১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৪ এপ্রিল সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামানের স্বাক্ষারিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৌলভীবাজা জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) নকুল চন্দ্র দাস অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি।

রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, সার্ভার হ্যাক হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমার জানা নেই।

জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয়া বিবি (২৭) নামে একজন রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তার আইডি কার্ড না থাকায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান তিনি। আসিয়া আক্তার যে নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সেটি রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধিত, যা গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

আটক ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলী যোহার ও আম্বিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠালে ইউএনও ফতেহপুর ইউনিয়নের সচিব পাপড়ি দত্তকে কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের আইডি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। ওই সময় কয়েক শ’ রোহিঙ্গা নিবন্ধন হয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই করে ওই সময় ইউএনও দেখতে পান ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি ভুয়া নিবন্ধন হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।


আরও খবর



গরমে ঘাম হওয়া ভালো না খারাপ, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঋতু পরিক্রময়া এখন গ্রীষ্মকাল। স্বাভাবিকভাবেই এখন গরম পড়বে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ সময় গরমের তীব্রতা যেন একটু বেশিই হচ্ছে। ফলে নাজেহাল জনজীবন। এ সময় বাইরে বের হলেও কিছুক্ষণ পরপর পানি তৃষ্ণা পায়। বেশিক্ষণ আবার থাকাও যায় না। আর ঘাম তো রয়েছেই।

গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হওয়ায়র ফলে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পানিশূন্যতারও আশঙ্কা থাকে। এ সময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, গরমে ঘাম থেকে যেমন শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, একই সঙ্গে ঘাম মুছে না ফেললে তা থেকে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি গরমে ঘাম হওয়ার ব্যাপারে দেশর একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।

এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, গরমে যাদের ঘাম হয় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ঘাম অতিরিক্ত হলে ওরস্যালাইন বা ডাবের পানি পান করতে হবে। এসবের বিকল্প হিসেবে লবণ মিশ্রিত পানীয় পান করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি পানে লবণের ঘাটতি পূরণ হয়। এটি আসলে ভুল ধারণা। অতিরিক্ত চিনি বা গ্লুকোজ গ্রহণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

তিনি বলেন, যারা ব্লাড প্রেশার, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের বাড়তি লবণ খাওয়া যাবে না। এমন রোগীদের ক্ষেত্র বিশেষ আবার পানি পানেও বিধিনিষেধ থাকে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে ডাবের পানি, ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

ত্বকের জন্য করণীয়: গরমের সময় ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই প্রসাধনী অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। ঘামের সময় ঠান্ডা পানিতে কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে শরীর মুছতে পারেন। এমনটা সম্ভব না হলে যেকোনো শুকনা কাপড়, টিস্যু বা রুমাল দিয়েও ত্বক মুছতে পারেন। ভেজা কিছু দিয়ে শরীর মোছার পর আবার শুকনা কিছু দিয়ে ত্বক মুছা উচিত। কারণ, ত্বক যদি ভেজা থাকে তাহলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শরীরের কিছু কিছু জায়গায় লোম বেশি থাকে। সেসব স্থানে ঘামও বেশি হয়। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লোম ছোট রাখতে হবে। যে পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘাম হয়, ওই পোশাক যত দ্রুত সম্ভব বদলাতে হবে।

অতিরিক্ত ঘামলে করণীয়: ঘাম যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, ক্ষুধামান্দ্য বা অবসন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটা হলে ঠান্ডা জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। যদি সম্ভব হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে নিন। মাথায়ও পানি ঢালতে পারেন। যদি এসব সম্ভব না হয় তাহলে পানি দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে নিতে পারেন। আর এ অবস্থায় তরল খাবার বেশি খেতে পারেন।

নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের তারতম্য থেকে ঘাম অতিরিক্ত হতে পারে। কখনো এমনটা মনে হলে একই তাপমাত্রায় আগের থেকে বেশি ঘাম ও বা ঘামের কারণে যদি লাইফস্টাইল ব্যাহত হয়, তাহলে অবশ্য বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার যদি ঘাম হওয়ার কোনো কারণ না থাকার পরও ঘাম হয়, তাহলে হঠাৎ ঘেমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্য কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, রক্তে সুগার কমে যাওয়া বা হার্ট অ্যাটাক হলেও ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের অতিরিক্ত ঘাম হলে তাৎক্ষণিক চিনি মিশ্রিত পানি পান করাতে হয় এবং সুগার মাপতে হয়। এছাড়াও যেকোনো কারণে ঘামকে অস্বাভাবিক মনে হলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর



মেহেদির রঙ গাঢ় করতে চান? জেনে নিন কৌশল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আমাদের যেকোনো উৎসবের সঙ্গে মেহেদির সম্পর্ক প্রগাঢ়। মেহেদি পরতে ভালোবাসেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ঈদ এলে তো কথাই নেই। তাদের ঈদের কেনাকাটায় যে জিনিসগুলো না হলেই নয় তার মধ্যে একটি হলো মেহেদি। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে নারীর হাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায় যেন। তবে অনেকে মেহেদি দেওয়ার পর মনের মতো রং আসে না বলে মন খারাপ করেন। কিছু উপায় মেনে চললে মেহেদির রঙ গাঢ় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক-

মেহেদির রঙ গাঢ় করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে চিনি এবং লেবুর রস ব্যবহার। মেহেদি যখন শুকিয়ে যাবে তখন লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর শুকিয়ে গেলে হাত মুছে নিতে হবে। এতে রঙ গাঢ় হবে, সেইসঙ্গে হবে দীর্ঘস্থায়ী।

মেহেদি ব্যবহারের আগে হাত-পা শেভ কিংবা ওয়াক্স করবেন না। ফলে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই পরে ওই ত্বকে মেহেদি ব্যবহার করলে গাঢ় রং পাওয়া যায় না। মেহেদি লাগানোর অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন আগে এসব কাজ সম্পন্ন করুন।

মেহেদির রং গাঢ় করার ক্ষেত্রে লবঙ্গ কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে একটি লোহার কড়াই চুলায় বসিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিন। এরপর তাতে কয়েকটি লবঙ্গ দিন। কড়াই থেকে ধোঁয়া বের হলে তার ওপর আপনার হাত দুটি ধরে রাখুন। এতে মেহেদির রং সহজেই গাঢ় হবে। তবে সাবধান থাকুন, গরম কড়াই যেন হাতে না লাগে।

গাঢ় রং পেতে উৎসব বা অনুষ্ঠানের অন্তত ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টা আগে মেহেদি ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১২ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখুন। তাহলেই পাবেন গাঢ় রং।

সরিষার তেল ব্যবহার করুন মেহেদির স্থানে। তারপর একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে স্থানটি ঢেকে ঘুমিয়ে পড়ুন রাতে। সকালে দেখবেন মেহেদির রং অনেকটাই গাঢ় হয়েছে।

মেহেদি তুলে ফেলার পর হাত গরম রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় হাতে ভিক্স বা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সর্দি-কাশির বাম লাগিয়ে ঘুমাতে গেলে। এতে সারা রাত হাত গরম থাকবে। এরপর সকালে উঠে সুন্দর গাঢ় রঙ পাবেন। তবে হাতে বাম লাগানো অবস্থায় সেই হাত দিয়ে কোনো খাবার খাবেন না বা চোখে-মুখে ডলবেন না।

অন্যদিকে সাবান পানি দিয়ে কখনো মেহেদি তুলবেন না। এমনকি মেহেদি তুলে ফেলার পরও কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা ওখানে পানি লাগাবেন না।


আরও খবর



‘হিটস্ট্রোকে’ এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকে। তিনজনই পুরুষ।

এছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও পাঁচজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানায়।

কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুজন নারী। হিটস্ট্রোকে নতুন করে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

তারা জানায়, মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

উষ্ণতাজনিত অসুস্থতার চিকিৎসায় একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ২২ এপ্রিল এই নির্দেশিকা ব্যবহারে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।


আরও খবর