আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

‘বৈসাবি’তে মেতেছে পাহাড়

প্রকাশিত:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুনকে বরণে সেজেছে পাহাড়। গ্রামে গ্রামে এখন সাজ সাজ রব। বর্ষবরণ ঘিরে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান এই তিন পার্বত্য জেলায় আজ শুরু হচ্ছে বিজু উৎসব। বিজু মানে আনন্দ, বিজু মানে হৈ-হুল্লোড়, দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানো। এই উৎসব ঘিরে বসবাসরত পাহাড়িরা মিলিত হচ্ছে মিলনমেলায়।

তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত পাহাড়িদের প্রধান উৎসব বিজু। বাংলা বছরের শেষ দুদিন ও নববর্ষের প্রথম দিন এই উৎসব পালন করা হয়। পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি সম্প্রদায় বিভিন্ন সময়ে নানা উৎসব পালন করলেও সবাই একই সময়ে পালন করে বিজু। তবে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কাছে এটি আলাদা নামে পরিচিত। ত্রিপুরাদের কাছে বৈসু, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই আর চাকমাদের কাছে এটি বিজু। এই তিনের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি। উৎসবটি এই নামেই পরিচিতি পেয়েছে শহর জীবনে।

নদীর জলে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পাহাড়ের নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সে অনুযায়ী আজ সকালে মহাসমারোহে রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান বৈসাবির মূল আনুষ্ঠানিকতা। হ্রদের স্বচ্ছ নীল জলে বাহারি ফুল জানান দিচ্ছে শুরু হলো পাহাড়ের বৈসাবি উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বৃহত্তম এই সামাজিক আয়োজনে ব্যস্ত এখন শহর, নগর আর পাহাড়ি পল্লীগুলো।

বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসিয়ে নতুন বছরের জন্য শুভ কামনা জানিয়ে গঙ্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়। চাকমা জনগোষ্ঠীর ফুল বিজু, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর হাঁড়িবসু আর মারমা সম্প্রদায়ের সূচিকাজ। ঠিক ফুল বিজু নামে অভিহিত না হলেও এই দিন প্রায় সব পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীই পানিতে ফুল ভাসানোর আনুষ্ঠানিকতা পালন করে।

ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে ফুল বিজু উপলক্ষ্যে শহরের রাজবনবিহার ঘাট, পলওয়েল পার্ক, কেরাণী পাহাড়সহ বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসন, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট, বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, সাংক্রান, বিহু-২০২৩ উদযাপন কমিটি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পানিতে ফুল ভাসানো হয়। উৎসবপ্রিয় পাহাড়িরা সারা বছর মেতে থাকেন নানা অনুষ্ঠানে। তবে তার সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় বর্ষবিদায়ের এই উৎসব। চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সংগ্রাই, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, অহমিয়ারা বিহুএভাবে তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে আলাদাভাবে পালন করে এই উৎসব।

উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে এবং কলাপাতা করে পবিত্র এই ফুল ভাসিয়ে দেয় পানিতে, তাই একে বলা হয় ফুল বিজু। পানিতে ফুল ভাসিয়ে নিজ পরিবার এবং দেশ তথা সমগ্র জীবের মুক্তির জন্য গঙ্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়। পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরোনো বছরের দুঃখ-বেদনাই যেন ভাসিয়ে দিয়ে নতুন দিনের সম্ভাবনার আলো জ্বালান পাহাড়ের বাসিন্দারা। পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরোনো দিনের বেদনা ভুলে নতুন দিনের প্রত্যয়ের কথা জানায় ফুল ভাসাতে আসা পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা।

শহরের রাজ বনবিহার ঘাটে হ্রদের পানিতে ফুল ভাসিয়ে দেবাশিষ চাকমা বলেন, ফুল বিজু হলো আমাদের বিজু উৎসবের সূচনার দিন। এই দিন আমরা গঙ্গা দেবীকে ফুল নিবেদন করি। যাতে আমাদের সমগ্র দুঃখ-কষ্ট মুছে যায় এবং নতুন বছরকে যাতে আমরা আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারি।

শহরের কেরাণী পাহাড় এলাকায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট আয়োজিত ফুল ভাসানো অনুষ্ঠানে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আজ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্ববৃহৎ সামাজিক উৎসব বৈসাবির তিন দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ পাহাড়ের বসবাসরত সমগ্র ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের আমি রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৈসাবির শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আমি আশা করি, এই উৎসব আমাদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।

বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, সাংক্রান, বিহু-২০২৩ উদযাপন কমিটি সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের সবচেয়ে বড় এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আমরা কিছুদিন আগে থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছি। আজ ফুল ভাসানেরা মধ্য দিয়ে আগামী তিন দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। সবাই যাতে নতুন বছর ভালোভাবে কাটাতে পারে সেই কামনা করি।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ১২টি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাংলা বর্ষকে বিদায় জানানোর এ অনুষ্ঠান তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব হিসেবে বিবেচিত। এই উৎসব চাকমা জনগোষ্ঠী বিজু নামে, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ সাংগ্রাই, মারমা জনগোষ্ঠীর মানুষ বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী বিষু, কোনো কোনো জনগোষ্ঠী বিহু নামে পালন করে থাকে। বৈসুকের বৈ সাংগ্রাইয়ের সা ও বিজু, বিষু ও বিহুর বি নিয়ে উৎসবটিকে সংক্ষেপে বৈসাবি নামে পালন করা হয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে পাহাড়ের সব জনগোষ্ঠীকে সম্মিলিতভাবে উৎসবে একীভূত করার জন্য এই নামটির প্রচলন করা হয়।


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




জাপায় দ্বন্দ্ব তৈরি সরকারের ইন্ধনে: জি এম কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পার্টিতে (জাপা) দ্বন্দ্ব তৈরিতে সরকার ইন্ধন দেয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বনানীতে আজ মঙ্গলবার জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জি এম কাদের বলেন, স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে বর্তমান সরকার ব্যবসা করছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের দলীয়করণ করেছে। বর্তমানে লুণ্ঠন হচ্ছে। দেশের ব্যাংক খালি হয়ে যাচ্ছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আইনের চোখে জনগণ সমান হবে, কিন্তু তা আজও হয়নি। সরকারের বিরুদ্ধে বলতে গেলে মামলা হয়। আইন করে বৈধভাবে দাবিয়ে রাখা হয়েছে।

জি এম কাদের অভিযোগ করে বলেন, যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীনতা হয়েছিল, সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি এবং আকাঙ্ক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। দেশের বেশির ভাগ মানুষ অনিশ্চতায় দিন কাটাচ্ছে।

যেভাবে দেশে রাজনীতি চলছে, তাতে কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও রাজনৈতিক দল হিসেবে দূরে সরে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যেতে পারে।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: ছাত্রলীগের বিবৃতি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ ছাড়া এ আন্দোলনের প্রতিবাদে সমাবেশও করবে সংগঠনটি। রবিবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ করবে তারা।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ২৯ মার্চ বুয়েট কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকামী মানুষ ও ছাত্রসমাজ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েট প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে একটি অন্যায্য, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ও সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও এই রাষ্ট্রে সাধারণের শিক্ষার অধিকার একটি গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিয়েছে এদেশের ছাত্রসমাজ। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সাম্প্রতিককালে সংবিধানসম্মত ছাত্র-রাজনীতি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমন কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে যা ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান সংবিধানের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।

এতে বলা হয়, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১ অনুযায়ী বুয়েট বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিধায়, সর্বাবস্থায় এই রাষ্ট্রের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের দ্বারা এটি পরিচালিত হতে হবে। কিন্তু তা না করে, এই আইনের কোথাও ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা বুয়েটকে প্রদান করা না হলেও বুয়েট প্রশাসন বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে তা বাস্তবায়ন করছে।

ছাত্রলীগের বিবৃতিতে বলা হয়, মূলধারার প্রকাশ্য ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বুয়েটকে দেশ ও বিশ্ব মানবতাবিরোধী নিষিদ্ধ, অন্ধকার জগতের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার তীর্থস্থানে পরিণত করা হয়েছে। টাঙ্গুয়ার হাওরে জঙ্গি আস্তানায় গোপন মিটিং, শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল মেইলে জঙ্গিবাদের প্রচারণা, ক্যাম্পাসে কিউআর কোডের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালানো, বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডল এ শ্রেণিকক্ষে মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ ইত্যাদি কর্মকাণ্ড বুয়েটকে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে পশ্চাৎ দিকে ধাবিত করছে।

এতে বলা হয়, বুয়েট প্রশাসন ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের বরাদ্দকৃত সিট বাতিলের মাধ্যমে তার সংগঠন করার সাংবিধানিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৮) প্রয়োগ করতে বাধা সৃষ্টি করেছে। এটি একইসঙ্গে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা), অনুচ্ছেদ-৩১ (আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার), অনুচ্ছেদ-৩২ (জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় অধিকার-রক্ষণ), অনুচ্ছেদ-৩৬ (চলাফেরার স্বাধীনতা), অনুচ্ছেদ-৩৭ (সমাবেশের স্বাধীনতা) ও অনুচ্ছেদ-৩৯ (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক্‌-স্বাধীনতা)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরে বুয়েটের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অনাকাঙ্ক্ষিত, দুঃখজনক ও মর্মান্তিক মৃত্যু এদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে, ব্যথিত করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। এদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বহু বছর ধরে সন্ত্রাসজনিত কারণে বহু মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। একইসঙ্গে এদেশের মহান স্বাধীনতা, ভাষা ও ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও মুক্তির সংগ্রামে এদেশের বহু শিক্ষার্থী অকাতরে তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে, অনেকের প্রাণ হরণ করা হয়েছে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছে, স্বাধীনতা উত্তর সময়ে গণতন্ত্র ও শিক্ষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীর প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে ছাত্রলীগ বলছে, এ কারণে শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ এদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনকে মূল্যবান বিবেচনা করে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপদ জীবনযাপন ও শিক্ষা নিশ্চিত করাকে নিজেদের সাংগঠনিক মূলমন্ত্র গণ্য করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে দেশের শিক্ষাঙ্গন থেকে সন্ত্রাস ও অস্ত্র বিতাড়িত হয়েছে, সেশনজট দূর হয়েছে, শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির সোপানে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এমতাবস্থায়, বুয়েট প্রশাসন, শিক্ষকমণ্ডলি ও শিক্ষার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আহ্বান জানাচ্ছে, একটি অন্যায়ের প্রতিকার হিসেবে আপনারা ধারাবাহিক অসংখ্য অন্যায় ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হবেন না। যে মহান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাটিতে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা নির্মিত হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের অংশ হিসেবে আপনারা এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না, রীতি-পদ্ধতি-সামাজিকতা প্রচলন করবেন না যেটি এদেশের সংবিধানকে অমান্য করে, একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করে, শিক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করে, স্বাভাবিক ও পারিবারিক জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করে। আপনাদের এরূপ কর্ম-সিদ্ধান্ত এদেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এদেশের সাধারণ মানুষ যাদের শ্রম-ঘামের বিনিময়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় তারা কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না।

ছাত্রলীগ বলছে, বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথী, বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা-নির্ভরতার একমাত্র ঠিকানা, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শেখানো রাষ্ট্রনায়ক, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে এদেশের তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে অর্থনৈতিক যে উন্নতি সাধন করেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের যে পথনকশা বাস্তবায়ন করে চলেছেন সেখানে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুয়েট নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে চলেছে, আগামীতেও করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে, স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ বুয়েট সঙ্কোচের বিহ্বলতায়’ দেশ গঠনে নিজেদের অবদান ম্লান হতে দিবে না, সংকটের কল্পনাতে’ হবে না ম্রিয়মান। এদেশের ছাত্রসমাজ বুয়েটের প্রতি আহ্বান জানায়, আপনা-মাঝে শক্তি ধর, নিজেরে কর জয়’।


আরও খবর



৭১-এ ফখরুল কোথায় যুদ্ধ করেছেন জানতে চাইলেন কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৯৭১ সালে কোথায় ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা জানান তিনি।

মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্যে করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭১ সালে আপনি কোথায় ছিলেন? কোথায় ট্রেনিং নিয়ে যুদ্ধ করেছেন? জানতে চাই। ২৫ মার্চ নিয়ে গণহত্যার একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তাদের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। এরা দালাল। তাদের জন্য গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোটেনি।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের কাছ থেকে ন্যায্য পাওনা আমরা পাইনি। কথা দিয়ে তাদের নাগরিক ফেরত নেয়নি। পাকিস্তানের হয়ে যারা দালালি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু, দেশের শত্রু।

বিএনপি ক্ষমতার দিবাস্বপ্ন দেখছে উল্লেখ কের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে প্রভু নাই। বিএনপির প্রভুরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। তবে আওয়ামী লীগের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষ নিয়েছে।

এ সময় বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের রান্নাঘরে গিয়ে খুঁজতে হবে কী কী ভারতীয় পণ্য রয়েছে। সবার ঘরেই ভারতীয় পণ্য মিলবে।

কাদের আরও বলেন, রাজনীতি করার জন্য রিজভী একটা শাল পুড়িয়েছে। আরও কয়টা শাল বাসায় আছে, জানতে হবে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জোটে না। রিজভীর মতো ফখরুলও মাথা গরম করলে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো।

বিএনপির আন্দোলন ভুয়া দাবি করে কাদের বলেন, তাদের সমাবেশও ভুয়া। ফিলিস্তিনের গণহত্যার কথা তারা বলে না।


আরও খবর



পবিত্র লাইলাতুল কদর শনিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হবে। এদিন মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্যদিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এছাড়া পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামী রোববার সরকারি ছুটি থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: লাইলাতুল কদর

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আহাদ শিমুল, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)

Image

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে। স্বাধীনতা নিয়ে যারা বিরোধীতা করেছেন তারা সমাজে ঘৃণিত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

ইন্দুরকানী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন শ ম রেজাউল করিম এমপি।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন তাদের আজ আনন্দের দিন। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের রক্তের বিনিময় আজ স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পেয়েছে। তাই তাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একসাথে কাজ করতে চাই। তার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড এম মতিউর রহমান, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ লতিফ হাওলাদার প্রমুখ। পরে স্বাধীনতা দিবসে বিজয়ী প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং ইন্দুরকানী মডেল মসজিদে পরিদর্শন করেন ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র কুরআন খতম, স্বাধীনতার গুরুত্ব, তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর