আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বৈশ্বিক মানবতার স্বার্থে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক মানবতার অভিন্ন স্বার্থে দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জাতিসংঘ সংস্থার ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইউনেস্কো সদরদপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সহিষ্ণুতা ও মর্যাদা সঞ্চারিত করার মাধ্যমে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে আমরা শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং যোগাযোগকে কার্যকর হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছি।

ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমাদের সাফল্য উদযাপনের এক অনন্য মুহূর্ত। এছাড়াও এটি শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরবর্তী ২৫ বছরে সংস্থার কার্যকলাপগুলোকে পুনর্বিবেচনা এবং আত্মসমালোচনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ।

তিনি বলেন, ইউনেস্কোর নীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ১৯৭২ সালে আমাদের প্রাথমিক সদস্যপদ লাভের মাধমে প্রতিফলিত।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা এই সংগঠনকে বিশ্ব শান্তি ও সম্মিলিত সমৃদ্ধি জোরদারের জন্য অন্যতম কার্যকর মঞ্চ হিসেবে বিবেচনা করি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তি-কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশ সর্বদা বিশ্ব শান্তি উদ্যোগের অগ্রভাগে থাকে। তিনি বলেন, শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় আমাদের অংশগ্রহণ এমনই একটি ঘটনা।

শেখ হাসিনা বলেন, বৃত্তি প্রদান, লিঙ্গ-সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি, স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম, আইসিটি শিক্ষার মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষায় আমাদের বিনিয়োগ প্রচুর।

তিনি বলেন, তার সরকার স্কুলে বছরের শুরুতে প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে ৪০ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ মহাপরিকল্পনা আইসিটি ভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষা মহাপরিকল্পনায় আইসিটি চালু করেছি, এর আওতায় প্রায় ৮৩ হাজার স্কুলকে আইসিটি ডিভাইস সরবরাহ করা হয়েছে এবং ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯শ ৩৬ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনেস্কোর এই ঐতিহাসিক ৭৫তম বার্ষিকীতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ইউনেস্কোর মহাপরিচালককে অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউনেস্কো বিশ্বের জন্য আশা ও শান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শান্তির প্রবক্তা এবং মানবতায় দৃঢ় বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, মানুষের অদম্য কর্মস্পৃহা, অসম্ভবকে সম্ভব করার ও অনতিক্রম্য বাধা অতিক্রম করার ক্ষমতায় তার (বঙ্গবন্ধুর) গভীর আস্থা ইউনেস্কোর চেতনা অনুরণিত করে।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার অবশ্যই সৃজনশীল উদ্যোক্তা বিকাশে উৎসাহ যোগাবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইউনেস্কো জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে একটি প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করায় মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে স্থান দেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, জনগণের নেতাকে এই ধরণের গভীর শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমি ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাই।

মহামারি বহু মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি আমাদেরকে উদ্ভাবনী কাজ এবং গতির মাধ্যমে বেঁচে থাকতেও শিখিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের পথে থাকা বিশ্বের সামনে চারটি পরামর্শ তুলে ধরেন।

পরামর্শ তুলে ধরে তিনি বলেন, আসুন আমাদের বিশ্ব মানবতার অভিন্ন কল্যাণের জন্য দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে এই মুহূর্তটি কাজে লাগাই।

প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম পরামর্শে মহামারী আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে উল্লেখ করে বলেন, পুনরুদ্ধারের জন্য, ডিজিটাল সরঞ্জাম ও পরিষেবা, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস, ডিজিটাল বিষয়বস্তু এবং শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে আমাদের একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনা দরকার।

তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, যে প্রযুক্তি-সহায়ক অর্থপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ তৈরির জন্য অবশ্যই সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব গড়তে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার তৃতীয় পরামর্শে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে অবশ্যই একটি বৈশ্বিক গণপণ্য হিসাবে বিবেচনা করা উচিত বলে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের অবশ্যই সবার কাছে, বিশেষ করে, বিশ্বব্যাপী ছাত্র ও শিক্ষকদের কাছে টিকা লাভের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

চতুর্থ ও শেষ পরামর্শে তিনি বলেন, আমাদের জনগণের কল্যাণের জন্য প্রযুক্তি স্থানান্তরকে গুরুত্ব দিয়ে বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে।


আরও খবর



থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।

স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে।

তার সফরে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা প্রসারে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি লেটার অব ইন্টেন্ট (আগ্রহপত্র) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে গত সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউজে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তির পাশাপাশি জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অব ইন্টেন্ট (আগ্রহপত্র) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন এবং রানি সুথিদার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।


আরও খবর



কুকি-চিন আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ৩ ব্যাংকে ডাকাতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ইদানিংকালে আমরা দেখছি কুকি-চিন আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশ ও বিজিবি অভিযান শুরু করেছে। প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীও অভিযানে যোগ দেবে।

বুধবার (০৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রুমাতে সাবস্টেশন বন্ধ করে তারা সোনালী ব্যাংকে যায়। সেইসময় পুলিশ এবং শৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা ছিল তারা তারাবির নামাজ পড়ছিল। আজকে থানচিতে কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকেও তারা চেষ্টা করেছে। এটা প্রতিরোধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব বিষয় দেখা হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কুকি-চিনের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিজিবি অভিযান চলছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও যোগ দেবে।

এরআগে মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ব্যাংকটির ম্যানেজারকেও তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ১৬ ঘণ্টা পর আজ বুধবার বেলা ১টার দিকে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে ঈদকে সামনে রেখে কর্মমুখর তাঁতপল্লী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লীগুলো। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁত শ্রমিকরা। অন্যান্য সময় কিছুটা মন্দাভাব থাকলেও এখন যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন রং এবং সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরূপ লাভ পাচ্ছেন না তারা।

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার বাউইতরা এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে  জামদানি, সামার, জলছাপ, কাতান তৈরি করছেন তাঁতীরা। এই সব শাড়ী জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিনই খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে ভিড় করছেন তাঁত কাঁরখানাগুলোতে।

তাঁত ব্যবসায়ি আব্দুল গফুর জানান, বছরের অন্য সময় তেমন কাজ না থাকলেও ঈদকে সামনে রেখে আমাদের কাজ অনেক বেড়ে গেছে। এবার অর্ডারও বেশি কাজও বেশি।

তাঁত শ্রমিক মোতালেব হোসেনসহ আরো কয়েকজন শ্রমিক জানান, কয়েকদিন হল আমাদের কাজ বেড়ে গেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসতে শুরু করেছে। আশা করছি এবার আমাদের কাজে বেশ লাভবান হতে পারবো। আমরা রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

বেলকুচি উপজেলা হস্ত ও পাওয়ারলুম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বৈদ্যনাথ রায় জানান, এবার আমাদের ঈদের প্রস্তুতি বেশ ভালো। তবে রং ও সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আশানুরূপ লাভ পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। তারপরও আমরা আশাবাদী এবার ঈদে ভালো ব্যবসা হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলায় ১ লাখ ৩৫ হাজার তাঁতশিল্পের উপর ১৪ হাজার ৮৭০ টি পরিবার নির্ভরশীল।


আরও খবর



এনেস্থেসিয়ার ওষুধ ব্যবহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন হাসপাতালে সম্প্রতি এনেস্থেসিয়াজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক জটিলতা নিরসনের জন্যে নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে ও এনেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে নির্দেশনায় এনেস্থেসিয়ায় হ্যালোজেন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব জসীম উদ্দীন হায়দার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-

সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক (নিশ্বাসের সঙ্গে যে চেতনানাশক নেওয়া হয়) হিসেবে হ্যালোথেনের (চেতনানাশক ওষুধ) পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন (চেতনানাশক ওষুধ) ব্যবহার করতে হবে।

সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট হ্যালোথেন/আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের সংখ্যা এবং বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে।

ডিজিডি-এর অনুমোদন ছাড়া হ্যালোজেন ক্রয়, বিক্রয় ও ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সারা দেশের সব অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের (সরকারি/বেসরকারি) নিয়ে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।

নতুন অ্যানেসথেসিয়ার মেশিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: এনেস্থেসিয়া

আরও খবর



ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাস চাপায় শ্যালক–দুলাভাই নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাস চাপায় ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। গতকাল মঙ্গলবার রাতে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা বটতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার হাইওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতরা হলেনউজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের হাবুল সরদারের ছেলে উজ্জ্বল সরদার (২৭) ও তাঁর শ্যালক বাকেরগঞ্জ উপজেলার গুয়াখোলা এলাকার জালাল হাওলাদারের ছেলে দিন ইসলাম (১৮)।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো গোলাম রসুল মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী চেয়ারম্যান পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস রাত সাড়ে ৯টার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত পৌনে ১১টার দিকে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা উজিরপুরগামী একটি মোটরসাইকেল চাপা দেন।

এতে ঘটনাস্থলেই উজ্জ্বল সরদার ও তাঁর শ্যালক দিন ইসলাম নিহত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। ঈদের ছুটিতে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

চেয়ারম্যান পরিবহন বাসটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া করে গৌরনদীর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বাসটি জব্দ করে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আজ বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

 


আরও খবর