দীর্ঘ দশ মাস
পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। তারও বেশি ১৭ মাস পর ফিরেছেন সাকিব আল হাসান।
বলা যায় দুইয়ের জন্যই প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ। যদিও সাদামাটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে
জয়টাও সহজ।
লম্বা সময় পর
ম্যাচটায় ছিল না কোনো রোমাঞ্চ। দ্বিতীয় বললেও ভুল হবে বলা যায় তৃতীয় সারির দল নিয়ে
সফরে এসেছে উইন্ডিজ। সেভাবেই হেরেছে তারা।
নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের
নেতৃত্বে সকালে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তাতে ফলটাও পায় হাতেনাতে।
উইন্ডিজরা ব্যাট
করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হারায় সুনীল অ্যামব্রিসের উইকেট। এরপর ঘণ্টা খানিকের
বৃষ্টি। বিরতি শেষে আরও দুর্বার হয়ে ওঠে সাকিব, মুস্তাফিজ আর অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ।
সাকিব ৭.২ ওভারে
তুলে নেন ৪ উইকেট, মাত্র ৮ রান দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও বাংলাদেশের সেরা বোলিং
পারফর্মেন্স।
উইন্ডিজদের হয়ে
সর্বোচ্চ রান করেন কাইল মায়ার্স। তার ব্যাটে আসে ৫৬ বলে ৪০ রান। এছাড়া ২৮ রান করেন
রবম্যান পাওয়েল।
সাকিব ছাড়াও ৩
উইকেট নেন অভিষিক্ত হাসান, ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজ আর ১ উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ।
উইন্ডিজদের দেয়া
১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন
দাস। লিটন ১৪ (৩৮) রানে ফেরেন আকিল হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে।
তিন নম্বরে ব্যাট
করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তও। মাত্র ১ রান করে সেই আকিল হোসেনের বলেই ক্যাচ দেন।
সাকিব চার নম্বরে
ব্যাট করতে নেমে ১৯ রান করতে খেলেন ৪৩ বল। ফেরার ম্যাচে সাকিবও আকিলের শিকার। তার আগে
৬৯ বলে ৪৪ রান করে তামিম ফেরেন জেসন মোহাম্মদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
১২২ রানের লক্ষ্যে
ব্যাট করতে নেমে আকিলের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও চাপ
সামলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মুশিফকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ।
মুশফিকের ১৯ আর
মাহমুদউল্লাহর ৯ রানে ভর করে ১৬ ওভার ১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। উইন্ডিজদের
হয়ে আকিল হোসেন নেন ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট। বাকি ১ উইকেট নেন জেসন মোহাম্মদ।